• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • স্বর্ণ ব্যবহারে ক্যান্সার চিকিৎসা

    স্বর্ণের ক্ষুদ্র কণা ব্যবহার করে ক্যান্সারের চিকিৎসায় বিপুল অগ্রগতি আনা সম্ভব বলে দাবি করেছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষকরা। স্কটল্যান্ডের এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, স্বর্ণ ক্যান্সারের ওষুধের কার্যকারিতা বৃদ্ধি এবং কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট জানিয়েছে একটি জেব্রাফিশের ওপর এ সংক্রান্ত পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে সুনিশ্চিত ধারণা পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তবে এখনও মানবদেহে এর প্রভাব বিচার করে দেখা হয়নি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, রোগীর দেহে স্বর্ণ ব্যবহারের আগে আরও অনেক কাজ বাকী।
    স্বর্ণ একটি নিরাপদ রাসায়নিক উপাদান। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বর্ণের টুকরাগুলো মূলত ‘গোল্ড ন্যানোপার্টিকেল’ নামে পরিচিত। এডিনবার্গের বিজ্ঞানীরা এগুলোকে একটি কেমিক্যাল ডিভাইসের মধ্যে স্থাপন করেন। পরে সেই ডিভাইসটি একটি জেব্রাফিশের মস্তিষ্কে স্থাপন করা হয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, জেব্রাফিশের মস্তিষ্কের মধ্যে স্বর্ণের টুকরা বসিয়ে তারা দেখেছেন সেটি ওষুধের কার্যকারিতার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। অবশ্য, এখন পর্যন্ত কোনও মানবদেহে এটি পরীক্ষা করে দেখেননি বিজ্ঞানীরা। তবে তারা আশা করছেন একদিন কেমোথেরাপির পাশ্বপ্রতিক্রিয়া কমাতে স্বর্ণের কণা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে।
    টিউমার বা ক্যান্সার ধরা পড়ার পর এর চিকিৎসায় কেমোথেরাপি দেওয়ার সময় শরীরের অন্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকে। কিন্তু স্বর্ণের ছোট কণা ব্যবহার করা হলে তা হবে না বলে আশা করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের দাবি, এ পদ্ধতিতে সুস্থ টিস্যুগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত না করেই আক্রান্ত কোষগুলোকে ধ্বংস করে দেওয়া যাবে।
    ইউনিভার্সিটি অব এডিনবার্গের ক্যান্সার রিসার্চ সেন্টারের গবেষক ড. আসিয়ের আনচিতি-ব্রোচেতা বলছেন, ‘আমরা স্বর্ণের নতুন বৈশিষ্ট্য আবিষ্কার করেছি যা আগে অজানা ছিল। আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে এই ধাতুটির মাধ্যমে মানুষের টিউমারের ভেতরে অত্যন্ত নিরাপদে ওষুধ প্রয়োগ করা যায়।’
    ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট ড. আসিয়েরকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, যদিও রোগীদের ওপর এটা প্রয়োগ করার আগে এটা নিয়ে আরো অনেক কাজ করার আছে। ড. আসিয়ের আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি, টিউমারের ভেতর সরাসরি কেমোথেরাপিকে সক্রিয় করার সক্ষমতাসম্পন্ন একই ধরনের এমন একটি ডিভাইস একদিন মানুষের মধ্যেও স্থাপন করা যাবে। পাশাপাশি কেমোথেরাপি দেওয়ার কারণে মানবদেহে যে খারাপ প্রভাব পড়ে তেও কমিয়ে দেবে এই ধাতুটি।’
    যুক্তরাজ্যের ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট (সিআরইউকে) এবং ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ফিজিক্যাল সাইন্স রিসার্চ কাউন্সিলের অর্থায়নে গবেষণাটি সম্পন্ন হয়েছে। এটির সমন্বয়ের করেছে স্পেনের ইউনিভার্সটি অব জ্যারাগোজার ন্যানোসাইন্স অব অ্যারাগোন ইনস্টিটিউট।

    হজ্ব বিষয়ক ভুল-ভ্রান্তি

    হজ্বই একমাত্র ইবাদত, যার নিয়ত করার সময়ই আল্লাহ তাআলার নিকট সহজতা ও কবুলের দুআ করা হয়। অন্যান্য ইবাদত থেকে হজ্বের আমলটি যে কঠিন তা এ থেকেই স্পষ্ট। হজ্বের সঠিক মাসআলার জ্ঞান যেমন জরুরি, তেমনি তা আদায়ের কৌশল এবং পূর্ব অভিজ্ঞতার আলোকে করণীয় বিষয়গুলোর প্রতি পূর্ণ খেয়াল রাখাও জরুরি। হজ্বে যে সকল ভুল হতে দেখা যায় তা সাধারণত উদাসীনতার কারণেই হয়ে থাকে। তাই নিম্নে সচরাচর ঘটে থাকে এমন কিছু ভুল উল্লেখ করা হচ্ছে। যেন হাজ্বীগণ এ সকল ভুল-ভ্রান্তি- থেকে বেঁচে সুষ্ঠুরূপে হজ্ব আদায়ে সক্ষম হন। আল্লাহ তাআলা তাওফীক দান করুন।

    ইহরামের দুই রাকাত নামাযের জন্য ইহরাম বিলম্বিত করা

    ইহরাম বাঁধার আগে দুই রাকাত নামায পড়ার নিয়ম আছে। তাই অনেককে দেখা যায়, এই দুই রাকাত নামাযের সুযোগ না পাওয়ার কারণে ইহরাম বিলম্বিত করতে থাকে। এমনকি এ নামায পড়তে না পারার কারণে কেউ কেউ ইহরাম ছাড়াই মীকাতে র ভেতরে পর্যন- চলে যায় অথচ ইহরাম ছাড়া মীকাত অতিক্রম করা জায়েয নয়। তারা যেহেতু ইহরামের আগে দুই রাকাত নামায আদায়কে জরুরি মনে করে তাই তারা এমনটি করে থাকে। অথচ ইহরামের আগে নামায পড়া সকল মাযহাবেই মুস্তাহাব; জরুরি কিছু নয়। পক্ষান-রে ইহরাম ছাড়া মীকাত অতিক্রম করা নাজায়েয। সুতরাং ইহরামের আগে নামাযের সুযোগ পেলে তো তা আদায় করা চাই, কিন্তু সুযোগ না পেলে সে কারণে ইহরাম বাঁধাকে বিলম্ব করবে না।-সহীহ মুসলিম ১/৩৭৬; মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা হাদীস : ১২৯০০; মানাসিক মোল্লা আলী কারী পৃ. ৯৮; আলমুগনী ইবনে কুদামা ৫/৮১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২২৩; রদ্দুল মুহতার ২/৪৮১-৪৮২

    ইহরাম বাঁধার নিয়ম সংক্রান্ত- ভ্রান্তি-সমূহ

    অনেকে মনে করে থাকে যে, ইহরামের কাপড় পরে নামায পড়ার পর নিয়ত করলেই ইহরাম সম্পন্ন হয়ে যায়। এ ধারণা ভুল। এগুলো দ্বারা ইহরাম সম্পন্ন হয় না। নিয়ত আরবীতে করা হোক বা বাংলাতে, সশব্দে করা হোক বা মনে মনে এর দ্বারা ইহরাম সম্পন্ন হয় না; বরং নিয়তের পর তালবিয়া পড়লে ইহরাম পূর্ণ হয়। অতএব বোঝা গেল, ইহরাম সম্পন্ন হয় দুই বস’র সমন্বয়ে : ১. হজ্ব বা উমরার নিয়ত করা ও ২. তালবিয়া পড়া।-জামে তিরমিযী ১/১০২; গুনইয়াতুন নাসিক পৃ. ৬৫; মানাকি মোল্লা আলী কারী পৃ. ৮৯

    মক্কাগামীদের জন্য জিদ্দায় ইহরাম বাঁধা

    কেউ কেউ আগে থেকেই ইহরাম বাঁধা ঝামেলা মনে করে এবং ভাবে যে, ইহরাম বেঁধে নিলেই তো ইহরামের নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়ে যাবে। বিমান যেহেতু জিদ্দায় অবতরণ করবে তাই জিদ্দায় ইহরাম বাঁধার ইচ্ছায় ইহরামকে বিলম্বিত করে। অথচ মীকাতের বাইরের হাজ্বীদের জন্য ইহরাম ব্যতীত মীকাত অতিক্রম করা জায়েয নেই। উপমহাদেশ থেকে গমনকারী হাজ্বীদের জন্য মীকাত হল কারনুল-মানাযিল ও যাতু ইরক যা অতিক্রম করেই জেদ্দায় যেতে হয়। যদি কেউ বিনা ইহরামে মীকাত অতিক্রম করে তবে তার জন্য পুনরায় মীকাতে ফিরে এসে ইহরাম বেঁধে যাওয়া জরুরি। যদি তা না করে তবে দম ওয়াজিব হবে। যেহেতু বিমানে থাকা অবস্থায় মীকাতের জায়গা নির্ধারণ করা কঠিন বা ঐ সময় ঘুমিয়ে পড়া, অন্যমনষ্ক থাকা ইত্যাদি হতে পারে। তাই বিমানে চড়ার আগে কিংবা বিমানে উঠেই ইহরাম বেঁধে নেওয়ার কথা বলা হয়।-মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা হাদীস : ১৫৭০২; মানাসিক মোল্লা আলী কারী পৃ. ৮৪; গুনইয়াতুন নাসিক পৃ. ৬০; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২২১; আলমুগনী ইবনে কুদামা ৫/৭৬; রদ্দুল মুহতার ২/৪৭৭

    সেলাইবিহীন কাপড় বা চপ্পলের জন্য ইহরাম বিলম্বে বাঁধা

    কেউ কেউ ইহরামের কাপড় না পরে বিমানে উঠে যায়। অথবা মদীনা থেকে গাড়িতে উঠে পড়ে। এরপর যখন গাড়ি বা বিমানের মধ্যে পরিধানের কাপড় বদলিয়ে ইহরামের কাপড় পরা কষ্টকর হয় কিংবা কাপড় লাগেজে থেকে যায়। তখন তারা সেলাইবিহীন কাপড় পরতে না পারার কারণে ইহরাম বিলম্বিত করতে থাকে। এমনকি ইহরাম ছাড়া মীকাত অতিক্রম করে ফেলে। ফলে দম ওয়াজিব হয়ে যায়। অথচ মীকাত অতিক্রমের আগে সেলাইযুক্ত কাপড়ের অবস্থায়ই যদি ইহরাম বেঁধে নিত এবং গাড়ি বা বিমান থেকে অবতরণের পরেই ইহরামের কাপড় পরে নিত তবে তার অন্যায়টা দম ওয়াজিব হওয়ার মতো বড় হত না। ইহরাম অবস্থায় এ কয়েক ঘণ্টা (১২ ঘণ্টার কম) সেলাই করা কাপড় পরে থাকার কারণে একটি পূর্ণ সদকা ফিতর আদায় করে দিলেই চলত।-জামে তিরমিযী ১/১৭১; মানাসিক মোল্লা আলী কারী পৃ. ৩০০; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২৪২; রদ্দুল মুহতার ২/৫৪৭

    ইহরামের কাপড় পরিবর্তন করা যাবে না

    কেউ কেউ মনে করে, যে কাপড়ে ইহরাম বাঁধা হয়েছে সে কাপড় হালাল (ইহরাম শেষ) হওয়ার আগ পর্যন- বদলানো যাবে না। এটা একটা ভুল ধারণা। ওই কাপড় নাপাক না হলেও বদলানো যাবে।-মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা হাদীস : ১৫০১০, ১৫০১১; মানাসিক মোল্লা আলী কারী পৃ. ৯৮; গুনইয়াতুন নাসিক পৃ. ৭১

    তাওয়াফের সময় ছাড়াও ইযতিবা করা

    অনেককে দেখা যায়, ইহরামের প্রথম থেকেই ইযতিবা (বাম কাঁধের উপর চাদর রেখে ডান বগলের নিচ দিয়ে নিয়ে পরিধান করা) করে থাকে এবং হালাল হওয়া পর্যন- এ অবস্থায় থাকাকে শরয়ী হুকুম মনে করে। এটি ভুল। এভাবে নামায পড়লে নামায মাকরূহ হবে। আবার কেউ কেউ তাওয়াফের সময় ইযতিবা করে এবং এ অবস্থায় সায়ীও করে থাকে এবং তাওয়াফের মতো সাঈতেও তা করা শরয়ী বিধান মনে করে। অথচ সাঈতে ইযতিবা’র বিধান নেই। এমনকি সকল তাওয়াফেও এটি সুন্নত নয়; বরং যে তাওয়াফের পর সাঈ করতে হয় শুধু সেই তাওয়াফেই ইযতিবা করতে হয়। সুতরাং নফল তাওয়াফে ইযতিবা নেই। কেননা নফল তাওয়াফের পর সাঈ নেই।-ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২২৫; মানাসিক মোল্লা আলী কারী পৃ. ১২৯; আলমুগনী ইবনে কুদামা ৫/২১৭