• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • ‘প্রয়োজনে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে খাবার ভাগ করে খাবো’

    প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, চলমান রোহিঙ্গা ইস্যুতে সারাবিশ্ব আজ জেগে উঠেছে। রোহিঙ্গাদের প্রতি নির্যাতন বন্ধ করতে মিয়ানমারকে অনুরোধ করা হচ্ছে সব দেশ থেকে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে রোহিঙ্গা ইস্যুটি তুলে ধরবেন বলে তিনি জানান।
    বৃহস্পতিবার দশম জাতীয় সংসদের সপ্তদশ অধিবেশনের সমাপনী বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের কষ্ট হলেও মানবিক কারণেই মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে খাবার ভাগ করে খাওয়া হবে। কিন্তু তাদের কোনো কষ্ট হতে দেওয়া হবে না। কেননা তারা আমাদের আশ্রয়ের জন্য এসেছে। তাদের আমরা ফেলে দিতে পারি না। মিয়ানমারের মতো নাফ নদী কিংবা বঙ্গোপসাগরের দিকে আমরা তাদের ঠেলেও দিতে পারি না। মানবিক দিক বিবেচনা করে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছি। আশা করি মিয়ানমারের চেতনা ফিরে আসবে, তাদের নাগরিকদের ফেরত নিয়ে নিরাপদে বসবাসের ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে।
    মিয়ানমারে নিজের দেশের নাগরিকদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালানো হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দেশটির পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ওপর হামলার পরই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। যারা দোষী তাদের খুঁজে বের করা হোক, শাস্তি দেওয়া হোক। কিন্তু নিরীহ মানুষের ওপর এমন নির্যাতন কেন? সেখানে গিয়ে দেখেছি কী করুণ অবস্থা। শিশু, নারী, বয়োবৃদ্ধই বেশি এসেছে। তাদের কাছ থেকে যে ভয়াবহ ঘটনা  শোনা যায়, পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী যেভাবে আক্রমণ করেছিল সেটিই ফুটে উঠেছে। একাত্তরেও আমাদের এক কোটি শরণার্থী ভারতে গিয়েছিল। এখনো মিয়ানমারে ঘর-বাড়িতে আগুন জ্বলছে। আমাদের ওপর বিরাট বোঝা হলেও মানবিক কারণে আমরা তাদের আশ্রয় দিতে বাধ্য হয়েছি। তিনি বলেন, কীভাবে এবং কেমন করে রাখবো সেটাই বড় সমস্যা। ৩ লাখের বেশি মানুষ এসেছে। আরও আসছে। মিয়ানমারকে জানিয়েছি, সন্ত্রাসীদের কাউকে প্রশ্রয় দেব না। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সারাবিশ্ব জেগে উঠেছে। সব দেশ থেকে মিয়ানমারকে অনুরোধ করা হচ্ছে নির্যাতন বন্ধ করে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত নিতে। ৪৫টি দেশের প্রতিনিধি ঘটনাস্থলে গিয়ে সার্বিক অবস্থা দেখে এসেছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদও মিয়ানমারকে হত্যাকাণ্ড-নির্যাতন বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। আশ্রয় দেওয়ার জন্য তারা বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য ভারত, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া রিলিফ পাঠিয়েছে। রিলিফ যাতে সুষ্ঠুভাবে বণ্টন হয় সেজন্য সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দিয়েছি। আমাদের দলের পক্ষ থেকেও আশ্রিত রোহিঙ্গাদের  যেন কষ্ট না হয় সেই কাজ করা হচ্ছে। যারা এসেছে তাদের জন্য ছবিসহ আইডি কার্ড করা হচ্ছে। ২ হাজার একশ’ একর জায়গায় সাময়িকভাবে রাখা হবে। এছাড়া ভাষানচরে একটি জায়গা নির্ধারণ করেছি, সেখানে অস্থায়ী আবাসিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাদের নিরাপত্তার ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসন সজাগ রয়েছে। তিনি বলেন, বাবা-মা, ভাই-বোন সবাইকে মেরে ফেলা হয়েছে। অনেক শিশুর আপনজন বলে কেউ নেই। এ ধরনের করুণ কাহিনী সেখানে চলছে। এ দৃশ্য আমার পক্ষে সহ্য করা সম্ভব নয়। কারণ রিফিউজি হিসেবে থাকার কষ্ট আমি ও আমার বোন শেখ রেহানা বুঝি। আমাদের যতই কষ্টই হোক না কেন আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছি। কিন্তু মিয়ানমারকে তাদের নাগরিকদের ফেরত নিতেই হবে। তাদের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নেই।
    বিপদে পড়ে আশ্রয় নিয়েছে, তাদের যেন কোনো কষ্ট না হয় সেজন্য দেশবাসীর কাছে আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জনস্রোতের সঙ্গে মূল দোষী সন্ত্রাসীরা ঢুকতে না পারে, আশ্রয় না পায় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। ত্রাণ যেসব আসছে সেগুলোও ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছি।

    পেট্রোল ও ডিজেল চালিত গাড়ি নিষিদ্ধের পরিকল্পনা চীনের

    গাড়ির সবচেয়ে বৃহৎ বাজারের দেশ চীন দেশ থেকে পেট্রোল ও ডিজেল চালিত গাড়ি উৎপাদন ও বিক্রি নিষিদ্ধের পরিকল্পনা করেছে।
    এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যেই ‘প্রয়োজনীয় গবেষণা’ শুরু হয়েছে বলে দেশটির শিল্প উপমন্ত্রী। তবে কখন থেকে নিষিদ্ধর পরিকল্পনা কার্যকর হবে তার সুস্পষ্ট তারিখ এখনো ঠিক হয় নি।
    চীনের সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে জিন গুওবিন বলেন, ‘গাড়ি শিল্প উন্নয়নে এই পদক্ষেপগুলো গভীর পরিবর্তন আনবে এটা নিশ্চিত।
    গতবছর চীন ২৮ মিলিয়ন গাড়ি তৈরি করে। যা বিশ্বের প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ।
    এদিকে বায়ুদূষণ ও কার্বন নি:সরণ কমাতে ২০৪০ সালের মধ্যেই ব্রিটেন ও ফ্রান্স পেট্রোল ও ডিজেল চালিত গাড়ি উৎপাদন ও বিক্রি নিষিদ্ধের ঘোষণা দিয়েছে।
    চীনা মালিকানাধীন গাড়ি নির্মাতা-প্রতিষ্ঠান ভলভো বলেছে, ২০১৯ সালের জুলাই থেকে তারা তাদের নির্মিত গাড়িতে বৈদ্যুতিক মটর ব্যবহার শুরু করবে। ২০২৫ সালের মধ্যে ভলভো সারা বিশ্বে ১ মিলিয়ন বৈদ্যুতিক মটর ব্যবহৃত গাড়ি বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। বিবিসি।