• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • সু চির সম্মতিতেই রোহিঙ্গা নির্যাতন

    মিয়ানমারে মুসলমান সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতনের অনুমোদন সেদেশের নেত্রী অং সান সু চির অনুমোদনেই হয়েছে বলে ধারণা করছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার যেইদ রাদ আল হুসেইন। এজন্য মিয়ানমারের নেতাদের একসময় বিচারের মুখোমুখি হতে হবে বলে তিনি বলছেন। বিশ্বে মানবাধিকার রক্ষার বিষয়গুলো দেখভাল করে জাতিসংঘের এই প্রতিষ্ঠানটি, যার প্রধান মি. হুসেইন।
    বিবিসিকে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘যে মাত্রায় এবং যেভাবে সেখানে সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে, তা অবশ্যই দেশের উঁচু পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ওই অভিযানে কয়েক হাজার মানুষ মারা গেছে এবং লাখ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন’।
    মি. হুসেইন বলছেন, ‘এজন্য মিয়ানমারের নেতাদের একসময়ে গণহত্যার অভিযোগের মুখোমুখি হতে হবে’। যদিও এসব অভিযোগের ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি অঙ সান সু চি, যিনি একসময় শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন।
    বিবিসির সংবাদদাতা জাস্টিন রোল্যাট বলছেন, ‘’মিয়ানমারের নেতাদের ভবিষ্যতে বিচারের মুখোমুখি দাড়াতে হতে পারে, জাতিসংঘের এই নজরদারি প্রতিষ্ঠানটির প্রধানের এই বক্তব্য খাটো করে দেখার সুযোগ নেই।’’
    এ মাসের শুরুর দিকেই জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে দেয়া বক্তব্যে মি.হুসেইন বলেছিলেন, মিয়ানমারে যে ব্যাপক বা পরিকল্পিতভাবে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন চালানো হয়েছে, তাতে গণহত্যার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যাবে না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হলোকাস্টের পর জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো একটি কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছেন, যেখানে কোন গোত্রকে নিশ্চিহ্নকে করার চেষ্টাকে গণহত্যাকে বলে বর্ণনা করা হয়েছে। কিন্তু তার এই বক্তব্যের পর কি অং সান সু চির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা পারে?
    জাস্টিন রোল্যাট বলছেন, মিয়ানমারে গণহত্যা হয়েছে কিনা, সেটি প্রমাণের দায়িত্ব যেইদ রাদ আল হুসেইনের নয়। কিন্তু তিনি হয়তো আন্তর্জাতিক একটি তদন্ত চাইতে পারেন।
    যদিও হাই কমিশনার বলছেন, সেটিও কঠিন একটি কাজ। তিনি বলছেন, ‘কেউ যদি গণহত্যা চালানোর পরিকল্পনা করে, সেটি তো তারা কাগজ কলমে করবে না। হয়তো আপনি কোন নির্দেশনার প্রমাণও পাবেন না। তবে এখন আমরা যা দেখছি, তার ভিত্তিতে ভবিষ্যতে কোন আদালত যদি এরকম কোন তদন্তের আদেশ দেয়, তাতে আমি অবাক হবো না’।
    অগাস্টে এই অভিযান শুরুর পর সাড়ে ছয় লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। শত শত গ্রাম পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। সেখানে ব্যাপক হত্যা আর গণধর্ষণের বর্ণনা দিয়েছেন পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা। স্যাটেলাইটে তোলা ছবি বিশ্লেষণের পর যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, বার্মার (মিয়ানমার) রাখাইন রাজ্যে গত দুইমাসে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।
    অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে আরো ৪০টি গ্রামের ভবনসহ বহু ঘরবাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে বলে সংস্থাটি দেখতে পেয়েছে। ২৫শে অগাস্টের পর রাখাইনে এ নিয়ে ৩৫৪টি গ্রাম আংশিক বা পুরোপুরি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

    বারী সিদ্দিকি স্মরণে জাপান প্রবাসিদের শোক সভা

    খ্যাতিমান সংগীত শিল্পী , গীতিকার , সুরকার ও বাঁশী বাদক প্রয়াত বারী সিদ্দিকি’র স্মরনে শোক সভার আয়োজন করা হয়েছিল জাপান প্রবাসি বাংলাদেশী কমিউনিটির পক্ষ থেকে ।

    ১৭ ডিসেম্বর ‘১৭ রোববার টোকিওর কিতা সিটি আকাবানে কিতা কুমিন সেন্টার এ আয়োজিত একই শোক সভায় শোক জানানো হয় সদ্য প্রয়াত ঢাকা উত্তর এর অত্যন্ত জনপ্রিয় মেয়র আনিসুল হক , চট্টলাবীর খ্যাত মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী , নায়ক রাজ রাজ্জাক , স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠ যোদ্ধ্বা শিল্পী আব্দুল জব্বার সহ বিজয়ের এই মাসে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ্বে বীর শহীদদের প্রতি ।
    সভার শুরুতেই তাঁদের সকলের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধ্বা জানানোর জন্য দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় ।
    নীরবতা পালন শেষে গোলাম মাসুম জিকো’র গ্রন্থনা ও সম্পাদনায় এবং মোস্তাফিজুর রহমান জনি’র সহযোগিতায় শিল্পী বারী সিদ্দিকি এবং মেয়র আনিসুল হক এর উপর এক প্রামাণ্য চিত্র দেখানো হয় ।
    এরপর প্রবাস প্রজন্ম জাপান সন্মাননা ‘১৪ প্রাপ্ত শিল্পী বারী সিদ্দিকির জাপান সফর কালীন স্মৃতিচারণ মূলক বক্তব্য রাখেন রাহমান মনি , কাজী ইনসানুল হক । এসময় বারী সিদ্দিকির পুত্র সাব্বির সিদ্দিকির সাথে টেলিফোনে কথোপকথন হয় যা , লাউড স্পীকারের মাধ্যমে সকলকে শুনানো হয় । টেলিফোনে সাব্বির সিদ্দিকি পুত্র জাপান প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন , আমার বাবার প্রতি আপনাদের সকলের এতো ভালোবাসা বাবা যদি দেখতে পারতেন তাহলে , বাবা কতোই না খুশী হতেন ।
    এরপর জাপান কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নুর খান রনি , এডভোকেট হাসিনা বেগম রেখা , আলমগীর হোসেন মিঠু , সালেহ মোঃ আরিফ দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব মোঃ বেলাল আহমেদ প্রমুখ ।
    এরপর শিল্পী বারী সিদ্দিকির প্রতি শ্রদ্ধ্বা জানিয়ে তার করা জনপ্রিয় গান গুলো পরিবেশন করেন জাপান প্রবাসী বাংলাদেশী শিল্পী রা ।
    প্রথমেই প্রবাস প্রজন্ম’র খুদে শিল্পী তনুতা ঘোষ শিল্পী বারী সিদ্দিকির একমাত্র মেয়ের জন্য করা ‘তুমি আইও পরাণের বন্ধু , আইও বাউল বাড়ি’ গানটি কচি কন্ঠের মিষ্টি গলায় গেয়ে শুনালে উপস্থিত দর্শক শ্রোতা মুদ্গ্ব হয়ে শুনেন । তনুতার মা পপি ঘোষ এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন কমিউনিটির পক্ষ থেকে এমন মহতী আয়োজনের জন্য ।
    এরপর উত্তরণ বাংলাদেশ কালচারাল গ্রুপ বারী সিদ্দিকির জনপ্রিয় গান গুলি পরিবেশন করে । গানের মাঝে মাঝে উত্তরণ শিল্পীরা বিভিন্নভাবে বারী সিদ্দিকিকে স্মরণ করেন । এ ছাড়া ও স্বরলিপি কালচারাল একাডেমীর বাদল বাদ্যযন্ত্রহীন খালি কন্ঠে শিল্পী বারী সিদ্দিকির অত্যন্ত জনপ্রিয় ‘ শোয়া চান পাখী আমার’ গানটি গেয়ে শোনালে পিনপতন নিঃশব্দে দর্শক শ্রোতা তার মাধ্যমে বারী সিদ্দিকিকে অনুধাবন করেন ।
    মহতী এই শোক সভাটি পরিচালনা করেন বিশ্বজিত দত্ত বাপ্পা ।