• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • যাও পর্বতে অগ্ন্যুৎপাত তৎপরতা

    উত্তরপূর্ব জাপানের মিয়াগি এবং ইয়ামাগাতা জেলা জুড়ে অবস্থিত যাও পর্বতে অগ্ন্যুৎপাত সংশ্লিষ্ট কম্পন ঘটেছে। আবহাওয়া কর্মকর্তারা স্থানীয় লোকজনকে এই অগ্ন্যুৎপাত সংশ্লিষ্ট পরিবর্তনগুলোর ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছেন।

    জাপানের আবহাওয়া এজেন্সি স্থানীয় অধিবাসীদের এই মর্মে সতর্ক করে দিচ্ছে যে অগ্ন্যুৎপাত সংঘটিত হলে পর্বতের উমানোসে কালদেরা এলাকা থেকে উদগীরিত পাথর ১.২ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত উড়ে গিয়ে পড়তে পারে।

    কর্মকর্তারা বলছেন, গত রবিবার একবার এবং আজ বিকেল ৩টার মধ্যে দুইবার পর্বত এলাকায় অগ্ন্যুৎপাত সংশ্লিষ্ট কম্পন অনুভূত হয়। তাদের মতে, কম্পনগুলো উষ্ণ ভূগর্ভস্থ পানি এবং আগ্নেয় গ্যাসের বিচলনের ইংগিত বহন করে

    সুপার ব্লু ব্লাড মুন দেখা যাবে আজ

    আজ রাতটা হবে অন্যরকম। মানুষ প্রতীক্ষা করছে এক বিরল মহাজাগতিক দৃশ্য উপভোগের জন্য। এক অপার্থিব অভিজ্ঞতার সাক্ষী হবে গোটা বিশ্ব। রাতের আকাশে একই সঙ্গে আজ দেখা যাবে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ, সুপার মুন ও ব্লু-মুন। অবলোকন করা যাবে রক্তিম চাঁদ। শেষবার এমনটা ঘটেছিল ১৫২ বছর আগে। জ্যোতির্বিদরা এ বিরল ঘটনার নাম দিয়েছেন ‘সুপার ব্লু ব্লাড মুন এক্লিপস’।
    উত্তর আমেরিকা, এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, রাশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়া অঞ্চল থেকে দেখা যাবে এ অত্যাশ্চর্য দৃশ্য। চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা ৫১ মিনিটে, চলবে রাত ১০টা ৮ মিনিট পর্যন্ত। তবে বাংলাদেশ থেকে এ চন্দ্রগ্রহণ দেখতে হলে আকাশে চাঁদ ওঠা পর্যন্ত, অর্থাৎ সন্ধ্যারাত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
    প্রসঙ্গত, একই মাসে দু’বার পূর্ণিমার চাঁদ দেখা গেলে দ্বিতীয় পূর্ণিমার চাঁদকে বলা হয় ব্লু-মুন। নামে ‘নীল চাঁদ’ হলেও নীল রঙের সঙ্গে এ চাঁদের কোনো সম্পর্ক নেই। তাছাড়া এসময় চাঁদকে স্বাভাবিকের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি উজ্জ্বল দেখাবে বলে এ চাঁদকে বলা হচ্ছে ‘সুপার মুন’। চন্দ্রগ্রহণের সময় একই সঙ্গে দেখা যাবে ‘ব্লাড মুন’ও। পৃথিবীর ছায়ায় অবস্থানের কারণে চাঁদ রক্তিম বা রক্তরঙা হয়ে ওঠে।

    জাপান চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক

    চীনের রাজধানী বেইজিংএ, জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারোও কোওনো এবং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হয়েছেন।

    আজ দুই মন্ত্রী, একসাথে মধ্যাহ্নভোজের পাশাপাশি প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা ব্যাপী এক বৈঠকে মিলিত হন।

    বৈঠকের প্রারম্ভে মিঃ ওয়াং, চীন এবং জাপানের একযোগে কঠোর পরিশ্রম করে যেতে হবে যাতে করে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নের পথ থেকে কোনভাবেই ফিরে আসা যাবে না বলে উল্লেখ করেন।

    এর জবাবে মিঃ কোওনো, চলতি বছর উভয় দেশের শীর্ষ নেতাদের পরস্পরের দেশ সফরসহ বিভিন্ন বিনিময় এগিয়ে নেয়ার মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নে তাঁর ইচ্ছা ব্যক্ত করেন।

    মন্ত্রীরা, জাপান, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যকার ত্রিপক্ষীয় শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেচিয়াংএর জাপান সফরের আয়োজন করতে একমত হন। উল্লেখ্য, চলতি বসন্তে জাপান এই শীর্ষ বৈঠক আয়োজনের ইচ্ছা পোষণ করছে।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রীদ্বয়, পূর্ব চীন সাগরে চীনের নৌ তৎপরতা জোরদার এবং উত্তর কোরিয়ার হুমকি মোকাবিলার উপায় নিয়ে মত বিনিময় করেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

    আজ বিকেলে মিঃ কোওনো, চীনের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা ইয়াং জিয়েচি এবং প্রধানমন্ত্রী লি কেচিয়াংএর সঙ্গেও বৈঠকে মিলিত হন।

    দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট হ্যাক করলো বাংলাদেশি হ্যাকাররা

    ভারতের দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ওয়েবসাইট হ্যাক করে শুক্রবার তাতে নিজেদের পরিচয় লিখে দেয় বাংলাদেশি হ্যাকাররা। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই তদন্ত শুরু করেছে দিল্লী পুলিশের সাইবার দমন শাখা। কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
    বিশ্ববিদ্যালয় পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওয়েবসাইট খুললেই নজরে আসছিল হ্যাকারদের বার্তাটি। অ্যাডমিনদের উদ্দেশে সেখানে লেখা, ‘তোমাদের সিস্টেম এখন আর সুরক্ষিত নয়। দ্রুত মেরামত কর। না হলে আমরা আবার এখানে ঢুকে পড়ব। আমরা বাংলাদেশি।’
    এর পরই বিষয়টি পুলিশে জানানো হয়। যদিও হ্যাকাররা কোনো তথ্য চুরি করতে পারেনি বলেই বিশ্ববিদ্যালয়টি জানিয়েছে। এমনকি, ওয়েবসাইটির কোনো ক্ষতি হয়নি বলেও জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই বলে দাবি করা হয়েছে দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয় এবং পুলিশের তরফে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত এ কে আহুজা ওয়েবসাইট হ্যাক হওয়ার বিষয়টি মেনে নিয়েছেন। তার কথায়, ‘কীভাবে এমন ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব তথ্য সুরক্ষিত রয়েছে।’ টাইমস অব ইন্ডিয়া।

    কোরআন যারা বুকে ধারণ করে তারা জঙ্গি হতে পারে না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    মাদরাসার সাথে জঙ্গীবাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, যারা বুকে ও মাথায় কোরআন ধারণ করে তারা জঙ্গী হতে পারেনা।
    প্রকৃত মুসলমানরা কখনো জঙ্গিবাদে বিশ্বাস করে না, তাদের কেউই এই জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত না। গতকাল (শনিবার) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জমিয়াতুল মোদার্রেছীন আয়োজিত মাদরাসা শিক্ষকদের ঐতিহাসিক মহাসম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, প্রথমে বলা হতো মাদরাসার ছেলেরা জঙ্গি। কিন্তু আমি প্রথম থেকেই বলেছি মাদরাসার সঙ্গে জঙ্গিবাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
    মুসলমানরা কখনো জঙ্গিবাদে বিশ্বাস করে না, তাদের কেউই এই জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত না। মাদরাসার আলেমরা শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষা দেন। তাদের নৈতিক-মূল্যবোধ সম্পন্ন আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলেন। কিন্তু একটা শ্রেণি আছে যারা মুসলমান ও ইসলামের প্রতি কালেমা লেপন করার জন্য জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে কোনো জঙ্গি নেই। কারণ, আমাদের দেশের মানুষ আজান পড়লেই মসজিদে ছুটে যায়। এর বড় কারণ আপনারা (আলেমগণ)। আপনারা সুশিক্ষা ও ধর্মের শিক্ষা দিয়েছিলেন বলেই আজকে বাংলাদেশ ধর্ম শিক্ষায় আলোকিত। আমার জোর গলায় বলতে পারি অন্যান্য দেশে যে সমস্ত জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসের আক্রমণ হয় সে সমস্ত দেশ থেকে বাংলাদেশ আলাদা। তিনি বলেন, সারা পৃথিবীতে মুসলমানদের নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। মুসলমানদের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। ষড়যন্ত্র কোথায় দাঁড়িয়েছে- এ বিষয়গুলো খেয়াল না করলে আমরা পথ হারিযে ফেলবো। পৃথিবী ব্যাপি বলা হচ্ছে ‘অল হিউমন আর নট টেরোরিস্ট বাট অল টেরোরিস্ট আর মুসলিম’ (সকল মানুষ সন্ত্রসী নয়, তবে সকল সন্ত্রাসীই মুসলমান) এটা দিয়ে কি বার্তা দেয়া হচ্ছে সেটা আপনাদের বুঝতে হবে। যারা জঙ্গীপনা করছেন তারা ইসলাম ধর্ম ও মুসলমানদের ওপর কালিমা লেপন করতেই এসব করছেন।
    আলেমরা জঙ্গিবাদের বিরোধিতা করে তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান বলেন, আপনারা দেশ ও সমাজের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে আপনারা প্রধানমন্ত্রীর ডাকে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন বলেই আজ বাংলাদেশ একটি নিরাপদ স্থানে পরিণত হয়েছে। আজকে সে জন্য বলতি পারি আমাদের দেশের মানুষ ধর্মভীরু কিন্তু ধর্মান্ধ নয়। এরা জঙ্গী সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশয় দেয় না। এরা খাঁটি মুসলমান। প্রধানমন্ত্রী একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ হিসেবে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ তাহাজুদের সাথে আদায় করে, কোরআন তেলোয়াত করে দিনের কাজ শুরু করেন। আমরা আলেম-ওলামাদের জন্য যখন যা প্রয়োজন বলেছি তিনি তাই করেছেন। কারণ তিনি ইসলাম প্রিয়। সবসময়ই আলেম-ওলামাদের ভালোবাসেন ও পছন্দ করেন। আপনাদের সব চাওয়া-পাওয়া বাস্তবায়নে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে দেখেছেন কওমী মাদরাসার সনদের সীকৃতি ‘অনেকদিন চেষ্টা হয়েছে অনেক প্রচেষ্টা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী সর্বশেষ শিক্ষামন্ত্রীর মাধ্যমে কওমী মাদরাসার স্বীকৃতি দিলেন। তিনি আলেম-ওলামাদের যে ভালো বাসেন এবং ইসলামের প্রতি যে অগাধ বিশ্বাস রয়েছে তারই স্বীকৃতি হল কওমী মাদরাসার স্বীকৃতি। একইভাবে আপনাদের প্রাণের দাবি ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছেন।
    এরপরও আপনারা অনেক ছোট-খাট দাবি রয়েছে। দেখুন আমরা পথ চলা শুরু করেছি। আমাদের সবকিছুই সুসম্পন্ন হবে ইনশাআল্লাহ। আপনাদের দাবি বড় কিছু নয়, সময়মতো ক্ষমতা অনুযায়ী করা হবে। যেগুলো দাবি তুলেছেন এগুলোর সবগুলোই একের পর এক পূরণ করা হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। কামাল বলেন, আপনারা যে ধর্মের কথা নবিজীর কথা আল্লাহর কথা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিচ্ছেন সে জন্যই আমরা আজ আলোকিত।এটিই আমাদের এগিয়ে যতে সহায়তা করছে।

    জাপানের ৫৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার ডিজিটাল মুদ্রা চুরি

    জাপানের ৫৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার চুরি হয়ে গেছে। দেশটির অন্যতম ডিজিটাল মুদ্রা বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান কয়েনচেক ইনকরপোরেশন জানিয়েছে, তাদের ইন্টারনেট নেটওয়ার্কে সাইবার হামলা চালিয়ে ৫৩৪ মিলিয়ন ডলার সমপরিমাণের ডিজিটাল অর্থ চুরি করা হয়েছে।
    শুক্রবার এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর কয়েনচেক ইনকরপোরেশন তাদের নেটওয়ার্কে সব ধরনের ক্রিপ্টো-কারেন্সি সঞ্চয় ও উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। তবে বিটকয়েন লেনদেন চলছে। ঘটনা সত্যি হলে ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবস্থায় সবচেয়ে বড় চুরির ঘটনা এটি। -বিবিসি

    টোকিওতে তুষারপাতে জনজীবন বিপর্যস্ত, আহত বেশ কয়েকজন

    জাপানের রাজধানী টোকিও মঙ্গলবার ঘন তুষারপাতে ঢাকা পড়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে হাজার হাজার ভ্রমণকারী আটকা পড়েছে এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
    জাপানের আবহাওয়া বিভাগ টোকিওর কোনো কোনো এলাকায় ২৩ সেন্টিমিটার পর্যন্ত তুষারপাত রেকর্ড করেছে। ২০১৪ সালের পর থেকে এটাই সবচেয়ে বেশি তুষারপাতের ঘটনা। সোমবার সন্ধ্যায় তুষারপাতের কারণে গণপরিবহনগুলো অচল হয়ে পড়ে। পুরু বরফ থাকায় এগুলো রাস্তায় আটকা পড়ে। ফলে অফিস ফেরত মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। সরকারি টিভি চ্যানেল এনএইচকে জানিয়েছে, অন্তত ১৮০ জন বরফাবৃত রাস্তায় চলতে গিয়ে সামান্য আহত হয়েছে এবং ৭শ’র মতো সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
    তুষারপাতের কারণে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট টোকিওর বিমানবন্দরে আসতে পারেনি বা সেখান থেকে ছেড়ে যায়নি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নারিতা বিমানবন্দরে নয় হাজারের বেশি লোক রাতের বেলা আটকা পড়ে। এএফপি।

    কবরের পাশে মোনাজাতে কাঁদলেন খালেদা জিয়া

    ছোট ছেলে হওয়ায় আরাফাত রহমান কোকোর প্রতি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ভালবাসা ছিল একটু বেশিই। সেই আদরের ছেলেই কিনা মাকে চিরবিদায় জানিয়ে শুয়ে আছেন বনানী কবরস্থানে। তার জন্মবার্ষিকী, মৃত্যুবার্ষিকী ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে পরিবারের সদস্যদের কথা বলার সময় কোকোর কথা আসলে কেঁদে ফেলেন বিএনপি চেয়াপারসন। সেই ছেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে গতকাল (বুধবার) বনানী করবস্থানে নিজেও অঝঁরে কাঁদলেন, কাঁদালেন তার সাথে থাকা পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও বিএনপি নেতাকর্মীদেরও। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠপুত্র আরাফাত রহমান কোকো। গতকাল ছিল তার তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। কোরআনখানি, শ্রদ্ধা নিবেদন, দোয়া-মাহফিলের মাধ্যমেই দিনটি পালন করেছে পরিবারের সদস্য ও বিএনপি নেতাকর্মীরা। দিবসটিতে গতকাল বাদ আসর বনানী কবরস্থানে কোকোর কবর জিয়ারত করেন তার মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এসময় তিনি চেয়ারে বসে প্রায় আধা ঘণ্টা আস্তে আস্তে কোরআন শরিফ পড়েন। কোরআন পড়া শেষ করে তিনি কবর জিয়ারত করেন। কবর জিয়ারত শেষ হলে ছেলের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এসময় তিনি ছেলের জন্য দোয়া করতে করতে অঝঁরে কেঁদে ফেলেন। তার কান্না দেখে উপস্থিত পরিবারের সদস্য ও দলের নেতাকর্মীরা চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। তারাও কেঁদে ফেলেন। খালেদা জিয়ার সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন কোকোর বড় খালা, এক মামা, দুই মামী। দলের নেতাদের মধ্যে ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টু, মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী, ডাঃ এজেডএম জাহিদ হোসেন, রুহুল কবির রিজভী, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, আমানউল্লাহ আমান, ফজলুল হক মিলন, শ্যামা ওবায়েদ, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, হেলাল খান, নুরে আরা সাফা, আফরোজা আব্বাস, কাজী আবুল বাশার, মুন্সি বজলুল বাসিত আঞ্জু, আহসানউল্লাহ হাসান, শফিউল বারী বাবু, সাইফুল আলম নীরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, এসএম জাহাঙ্গীর, মামুন হাসান, রাজীব আহসান প্রমূখ। এদিকে কোকোর রুহের মাগফিরাত কামনা করে সকাল থেকেই কবরের পাশে কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বাদ মাগরিব বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবনে ফাতেহা পাঠ, কুরআন খতম এবং বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। একই সময়ে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, আব্দুল কাইয়ুম, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর আগে সকালে আরাফাত রহমান কোকোর তৃতীয় মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজের নেতৃত্বে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা বনানী কবরস্থানে তার কবর জিয়ারত করেন। এছাড়া যুবদল, ছাত্রদল, মুক্তিযোদ্ধা দল, মহিলা দলসহ বিএনপির সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারাও কোকোর কবর জিয়ারত করে দোয়া মোনাজাত করেন।
    রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন কোকো : মীর নাছির
    বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেছেন, ২০০৭ সালে জরুরী অবস্থা জারির মাধ্যমে সেনা সমর্থিত তত্ত¡াবধায়ক সরকার ক্ষমতায় এসে জিয়া পরিবারের উপর রাষ্ট্রীয় নির্যাতন শুরু করে। শুধুমাত্র জিয়া পরিবারের সন্তান হওয়ায় সেদিন কারাবরণের পাশাপাশি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল আরাফাত রহমান কোকোকে। গতকাল (বুধবার) দলীয় কার্যালয় মাঠে আরাফাত রহমান কোকোর ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর বিএনপির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
    সভাপতির বক্তব্যে নগর বিএনপির সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, শহীদ জিয়া এবং বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো একজন ক্রিকেট প্রেমী হিসেবে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে যে ভূমিকা রেখেছিলেন জাতি তা কখনো ভুলবে না। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, সহ-সভাপতি এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, হারুন জামান, শফিকুর রহমান স্বপন, নিয়াজ মোহাম্মদ, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইসকান্দর মির্জা, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মোঃ সিরাজ উল্লাহ প্রমুখ। পরে দলীয় কার্যালয় জামে মসজিদে আরাফাত রহমান কোকোর মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

    জাপানে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির আলোচনা শুরু

    কম্পানিসমূহের ভাল উপার্জন ও মুনাফার প্রেক্ষাপটে কর্মীদের বেতন আরও বেশি হারে বৃদ্ধি করতে ম্যানেজাররা রাজি হন কি না, সেদিকে দৃষ্টি রেখে জাপানের ব্যবসায়ী ও শ্রমিক ইউনিয়ানের নেতৃবৃন্দ বেতন বৃদ্ধির বার্ষিক দরকষাকষি আরম্ভ করেছেন।

    জাপান ব্যবসা ফেডারেশন বা কেইদানরেন সোমবার থেকে রেংগো বা জাপানের শ্রমিক ইউনিয়ান কনফেডারেশনের সাথে আলোচনা শুরু করেছে।

    এই আলোচনায় কেইদানরেনের চেয়ারম্যান সাদাইউকি সাকাকিবারা এবং রেংগো’র প্রেসিডেন্ট রিকিও কোযু তাঁদের মৌলিক নীতিকৌশলের সমন্বয় সাধন ক’রে নেবেন।

    কেইদানরেনের কর্মকর্তারা ৩ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধির দাবি জানানোর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছেন। এটি করা হয়েছে দেশকে মুদ্রাসংকোচনের আবর্ত থেকে বের ক’রে আনার প্রধানমন্ত্রী শিনযো আবে’র আহ্বানে সাড়া দিয়ে।

    ওদিকে রেংগো’ও, বড় বড় কম্পানিতে পূর্ণকালীন বেতনভোগী কর্মীদের সাথে আয় ব্যবধান কমিয়ে আনার জন্য, অস্থায়ী কর্মী এবং ছোটখাট কম্পানির কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির জন্য ম্যানেজারদের আহ্বান জানাবে। রেংগোর অন্যান্য মুখ্য দাবি’র মধ্যে ওভারটাইম কমানোর লক্ষ্যে কর্মস্থলের সংস্কার অন্তর্ভূক্ত।
    বেতন বৃদ্ধির দরকষাকষি তুঙ্গে পৌঁছাবে মার্চ মাসে।

    রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রস্তুতি
    আজই স্পিকারের কাছে চিঠি কাল সিইসির সাক্ষাৎ
    বাংলাদেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংবিধান অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষণগণনা। ওইদিন থেকে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
    রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে চার কমিশনার ও ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিবকে নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজই স্পিকারের কাছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আয়োজনের আইনি ও সাংবিধানিক দিকগুলো তুলে ধরে চিঠি পাঠাবে ইসি। আর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা নিয়ে আগামীকাল বুধবার বিকাল ৩টায় সংসদ সচিবালয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)। ইসির সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
    গতকাল নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ ইত্তেফাককে বলেন, সংবিধান অনুসারে মঙ্গলবার থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হবে। আগামী একমাসের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। সেইভাবে প্রস্তুত হচ্ছে কমিশন।
    ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল দায়িত্ব গ্রহণ করা বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পাঁচ বছরের মেয়াদ এ বছরের ২৩ এপ্রিল শেষ হবে। আর সংবিধান অনুযায়ী মেয়াদ অবসানে পূর্ববর্তী নব্বই হতে ষাট দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে সংবিধানের ১২৩ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদ অবসানের কারণে উক্ত পদ শূন্য হইলে মেয়াদ-সমাপ্তির তারিখের পূর্ববর্তী নব্বই হইতে ষাট দিনের মধ্যে শূন্য পদ পূরণের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে।’ আইনজ্ঞরা বলছেন, মেয়াদ পূরণের আগের ৯০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে বলতে প্রথম ৩০ দিনকে বোঝাবে। নির্বাচন কমিশনও তাই মনে করে।
    সংসদ সদস্যদের ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিধান থাকায় সংসদের চলতি ১৯তম অধিবেশনের মধ্যেই এ নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ অধিবেশনটি চলার সিদ্ধান্ত রয়েছে।
    সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তারা জানান, গতবারের মতো এবারও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সম্পন্ন হতে যাচ্ছে। সংসদে ক্ষমতাসীন দলের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে অন্যকোন দল থেকে প্রার্থী মনোনয়ন দেয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ক্ষমতাসীন দল থেকে যাকে মনোনয়ন দেয়া হবে তিনিই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন। এ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয় প্রকাশ্যে। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গোপনে অন্য দলের প্রার্থীকে ভোট সুযোগ সংসদ সদস্যদের (এ নির্বাচনের ভোটার) নেই।
    সংবিধান অনুসারে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কারো বয়স ৩৫ বছরের নিচে হলে, সংসদ সদস্য নির্বাচনের যোগ্য না হলে এবং সংবিধানের অধীন অভিশংসন দ্বারা রাষ্ট্রপতির পদ থেকে অপসারিত হলে তিনি অযোগ্য বিবেচিত হবেন। এছাড়া রাষ্ট্রপতি নির্বাচনী আইন অনুসারে সংসদ সদস্যরা প্রস্তাবক ও সমর্থক না হলে কেউ প্রার্থী হতে পারবেন না।

    এবার খালি মাঠে গোল করতে দেব না: মওদুদ

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেছেন, আমরা এবার ভোট বর্জন করবো না। আমরা নির্বাচন করব, খালি মাঠে গোল করতে দেব না, একদলীয় নির্বাচনও করতে দেব না। সেজন্য আমাদের আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। বিএনপি একবার মাঠে নামলে সরকার গণজোয়ার দেখবে।
    শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮২তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনায় বিএনপির নেতা এ কথা বলেন। এই সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরাম।
    মওদুদ আহমদ বলেন, ডিএনসিসি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পরাজিত হবে জেনেই এ নির্বাচন স্থগিত করেছে সরকার। আমাদের নামে কোনো বেল দিলে পরের দিন গিয়েই তারা চেম্বার জজের কাছে গিয়ে স্থগিত করে নেয়। সরকার যদি ডিএনসিসি নির্বাচন নিয়ে সিরিয়াস হতো তাহলে অ্যাটর্নি জেনারেল নির্বাচন স্থগিতের পরে দিন গিয়ে কেন আপিল করলেন না? সুতরাং এটা বোঝা যায়, সরকার এবং নির্বাচন কমিশন পরিকল্পনা করে রিট করেছেন এবং তারা চেয়েছেন এ নির্বাচন স্থগিত থাকুক।
    ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, আমাদের ওপর কতো অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন। তারা এক দিকে জাতীয় নির্বাচনের জন্য টিম গঠন করেছে আর আমরা অনেকটা বন্দি অবস্থায় আছি। সভা করতে দেয় না, ঘরোয়া একটা বৈঠক করতে দেয় না। আমার গ্রামে ঘরোয়াভাবে নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করার সুযোগ দেয় না পুলিশ। সারা দেশেই এ অবস্থা।
    বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় এবং সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান শামীমের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জয়নুল আবদিন ফারুক, আবু নাসের রহমাতুল্লাহ, খালেদা ইয়াসমিন প্রমুখ।

    ফুকুওকাতে বানরের গরম পানিতে স্নান উপভোগ

    পশ্চিম জাপানের ফুকুওকা জেলায় অবস্থিত একটি চিড়িয়াখানায় বানরের একটি দল, তীব্র শীতল আবহাওয়া থেকে রক্ষা পেতে গরম পানিতে আশ্রয় গ্রহণ করেছে।

    ফুকুওকা শহরের চিড়িয়াখানাটির কর্মীরা, জাপানী বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী ঐতিহ্যগতভাবে সর্বাধিক ঠাণ্ডার দিন আজ ৫০টি বানরের জন্য একটি পুল গরম পানি দিয়ে ভরে দেন।

    চিড়িয়াখানা পরিদর্শনকারী ৩১ বছর বয়সী জনৈক মহিলা, অল্প বয়সীদের সাথে নিয়ে বানরদের স্নানের দৃশ্য প্রত্যক্ষ করে হৃদয়ে উষ্ণতা অনুভব করেন বলে জানান।

    চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ, আগামী মাসের শেষ নাগাদ পর্যন্ত প্রত্যেক শুক্র ও রবিবার বানরদের জন্য গরম পানিতে স্নানের ব্যবস্থা করবে।

    রেকর্ড জয়ে বাংলাদেশের জবাব

    ‘এখন বাংলাদেশের ড্রেসিং রুম চাপমুক্ত’, চন্ডিকা হাতুরুসিংহের বিদায়ের পর সংবাদমাধ্যমকে এমনটা জানিয়েছিলেন ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। প্রমাণের জন্য প্রতিপক্ষ হিসেবে যে দলটিকে পেল বাংলাদেশ সেটির কোচই এখন হাতুরুসিংহে! সেই শ্রীলঙ্কাকে গুড়িয়ে ২ ম্যাচ হাতে রেখেই ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে মাশরাফির দল। যেন তেন ভাবে নয়, ওয়ানডে ইতিহাসে নিজেদের সবচেয়ে বড় জয়ে দিয়েই হাতুরুসিংহেকে ‘জবাব’ দিল ‘কোচহীন’ বাংলাদেশ। গতকাল সিরিজে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে হাতুরুর দলকে ১৬৩ রানে হারিয়েছে মাশরাফি-সাকিবরা। বাংলাদেশের দেয়া ৩২০/৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৫৭ রানেই (৩২.২ ওভারে) মুখ থুবড়ে পড়ে লঙ্কান ব্যাটিং লাইনআপ। রানের দিক থেকে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয় ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ২০১২ সালে খুলনায় অতিথিদের ১৬০ রানে হারিয়েছিল তারা। আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের আগের সবচেয়ে বড় জয়টি ছিল ৯০ রানের। মাশরাফির নেতৃত্বে গত বছর শ্রীলঙ্কা সফরে এই জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।
    আগের ম্যাচেই সেঞ্চুরি গড়েছে মিরপুরের হোম অব ক্রিকেট। শততম ওয়ানডে উদযাপনে ছিলনা কোন বাড়তি আয়োজন, ছিলনা স্বাগতিক দলের অংশগ্রহণও। যদিও দর্শকহীন গ্যালারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রোমাঞ্চকর এক ম্যাচই জিতে নিয়েছে জিম্বাবুয়ে। তবে গতকাল শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আবহ ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। চিরচেনা সেই রুপই যেন ফিরে পেয়েছিল হোম অব ক্রিকেট। প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা বলে যতটুকু, তার চাইতে হাতুরুসিংহ সেই দলের কোচ বলেই ‘বদলা’ নেবার এমন সুযোগ চাক্ষুস করতে উন্মুখ হয়েছিল গ্যালারিপূর্ণ দর্শক। তাদের নিরাশ করেন নি মাশরাফি-সাকিব-তামিমরা।
    হাতুরু বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার পর তার দলের বিপক্ষে প্রথম লড়াই। ম্যাচের আগের আবহে বেজেছে সেই লড়াইয়ের দামামা। দলের জন্য তা বাড়তি চাপ না হয়ে পারেই না। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা যেন সেটিকেই করে নিলেন অনুপ্রেরণা। একেকটি শটে হয়তো আছড়ে ফেললেন চাপ। দল গড়ল বড় স্কোর।
    চাপকে জয় করার অভিযানে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়েছেন দলের অভিজ্ঞ সেনানীরাই। তামিম ইকবালের ব্যাট আরও একবার ভরসার বার্তা পাঠিয়েছে ড্রেসিং রুমে। সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটও কথা বলেছে পরিস্থিতি অনুযায়ী। টস জয়ী বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু এনে দেন তামিম ও এনামুল হক। যদিও দুই প্রান্তের ব্যাটিং ছিল দুই রকম। তামিমের ব্যাটে ছিল বরাবরের নির্ভরতা। তবে এনামুল ছিলেন ছটফটে। প্রথম ওভারেই বেঁচে যান ¯িøপে সহজ ক্যাচ দিয়ে। তাতে থেমে থাকেনি তার শট খেলার চেষ্টা।
    শ্রীলঙ্কানরাও ছিলেন উদার। যেন পণ করেছিলেন এনামুলকে আউটই করবেন না! রান আউট ও স্টাম্পিংয়ের সুযোগ হাতছাড়া হলো, অল্পের জন্য ক্যাচ জমল না হাতে। শেষ পর্যন্ত এনামুল ফিরেছেন থিসারা পেরেরার বাউন্সারে কিপার নিরোশান ডিকভেলার দারুণ ক্যাচে। ৩৭ বলে ৩৫ রানের ইনিংসটির পথেই অবশ্য এনামুল পৌঁছেছেন একটি মাইলফলকে। বাংলাদেশের হয়ে দ্রæততম হাজার রানের রেকর্ডে ছুঁয়েছেন শাহরিয়ার নাফিসকে (২৯ ইনিংস)।
    জুটি ভাঙলেও ততক্ষণে বাংলাদেশ পেয়ে গেছে শক্ত ভিত। ১৫ ওভারে রান ৭১। প্রয়োজন ছিল তখন রানের গতিতে একটু দম দেওয়া। সাকিবের ব্যাট জানে পরিস্থিতির দাবি মেটাতে। তাই জুটি যেমন গড়ে উঠল, বাড়ল রানের প্রবাহও। তিনে উঠে আসার পর সাকিবের ব্যাটে দায়িত্বশীলতার যে নতুন ছায়া, সেটির ছোঁয়ায় আবারও সমৃদ্ধ দলের ইনিংস। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ইনিংসের মেরুদÐ সাকিব-তামিম জুটি। শুরু থেকে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান করেছেন সাকিব। তামিম পঞ্চাশ স্পর্শ করেন ৭২ বলে। তবে তার পর বাড়ান গতি। আসেলা গুনারতেœর টানা দুই বলে বেরিয়ে এসে মারেন ছক্কা। দুজনের জুটির সময় লঙ্কান বোলারদের মনে হচ্ছিলো অসহায়। তবে হুট করেই দারুণ এক ডেলিভারি করে তামিমকে ফিরিয়ে দেন আকিলা দনঞ্জয়া। জুটি বা তামিম, সেঞ্চুরি হয়নি কারও। জুটি থেমেছে ৯৯ রানে। আগের ম্যাচে ৮৪ রানে অপরাজিত থাকা তামিম এবার আউট ৮৪ রানেই।
    দারুণ দুটি জুটি গড়ে উঠেছে এরপরও। তৃতীয় উইকেটে সাকিব ও মুশফিক তুলেছেন ৫৭। চতুর্থ উইকেটে মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ ৫০। তিনে ব্যাট করার চ্যালেঞ্জ জয়ের পথে আরেক ধাপ এগিয়েছেন সাকিব। ৬৩ বলে ৬৭ করে ফিরেছেন গুনারতেœর দারুণ ফিরতি ক্যাচে। মুশফিকের ব্যাট ছিল আরও উত্তাল। দারুণ সব শটের প্রদর্শনী সাজিয়ে ৫২ বলে করেছেন ৬২। মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিক পরপর দুই ওভারে আউট হওয়ায় শেষ দিকে রানের গতি কমে গিয়েছিল একটু। শেষ দিকে দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে ৩২০ রানের ঠিকানায় নিয়ে গেছেন সাব্বির। শেষ দুই বলে ছক্কা-চারসহ ১২ বলে সাব্বির করেছেন ২৪।
    ব্যাটিংয়ে শেষের সেই মোমেন্টাম বোলিংয়ের শুরুতেও দলের জন্য অনুপ্রেরণা। সেই শুরুটা করলেন নাসির হোসেন। দলীয় মাত্র ২ রানের মাথায় ওপেনার কুশল পেরেরাকে বোল্ড করে যে উৎসবের শুরু সেটির শুভ পরিণয় পেয়েছে রুবেলের ধনঞ্জয়াকে ফিরিয়ে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে। মাঝে সাকিব দ্যুতির ৩ উইকেট, মাশরাফি-রুবেলের জোড়া আঘাত আর মুস্তাফিজের কাটার শিকারে মাত্র ৩২.২ ওভারেই গুটিয়ে যায় হাতুরুর শ্রীলঙ্কা। অনুমিতভাবেই ম্যাচ সেরার পুরস্কারটি ওঠে ব্যাটে-বলে দ্যুতি ছড়ানো সাকিবের হাতে।

    ওয়ারডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয়
    রান প্রতিপক্ষ সময় ভেন্যু
    ৩২৯/৬ পাকিস্তান ১৭ এপ্রিল ২০১৫ মিরপুর
    ৩২৬/৩ পাকিস্তান ৪ মার্চ ২০১৪ মিরপুর
    ৩২৪/৫ শ্রীলঙ্কা ২৮ মার্চ ২০১৭ ডাম্বুলা
    ৩২২/৪ স্কটল্যান্ড ৫ মার্চ ২০১৫ নেলসন
    ৩২০/৭ শ্রীলঙ্কা ১৯ জানু. ২০১৮ মিরপুর

    ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বড় জয়
    ব্যবধান লক্ষ্য প্রতিপক্ষ তারিখ ভেন্যু
    ১৬৩ ৩২০ শ্রীলঙ্কা ১৯ জানু. ২০১৮ মিরপুর
    ১৬০ ২৯৩ উইন্ডিজ ২ ডিসে. ২০১২ খুলনা
    ১৪৬ ২৭৯ স্কটল্যান্ড ১৭ ডিসে. ২০০৬ মিরপুর
    ১৪৫ ২৭৪ জিম্বাবুয়ে ৭ নভে. ২০১৫ মিরপুর
    ১৪১ ২৮০ আফগানিস্তান ১ অক্টো. ২০১৬ মিরপুর

    স্কোর কার্ড
    ত্রিদেশীয় সিরিজ, ৩য় ওয়ানডে
    বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা, মিরপুর
    টস : বাংলাদেশ
    বাংলাদেশ ইনিংস রান বল ৪ ৬
    তামিম ক ডিকবেলা ব ধনঞ্জয়া ৮৪ ১০২ ৭ ২
    বিজয় ক ডিকবেলা ব থিসারা ৩৫ ৩৭ ৩ ১
    সাকিব কট এন্ড বোল্ড গুণারতেœ ৬৭ ৬৩ ৭ ০
    মুশফিক বোল্ড থিসারা ৬২ ৫২ ৪ ১
    মাহমুদউল্লাহ ক থিসারা ব প্রদীপ ২৪ ২৩ ২ ১
    সাব্বির অপরাজিত ২৪ ১২ ৩ ১
    মাশরাফি ক ধনঞ্জয়া ব প্রদীপ ৬ ৫ ১ ০
    নাসির এলবি ব থিসারা ০ ১ ০ ০
    সাইফউদ্দিন অপরাজিত ৬ ৫ ১ ০
    অতিরিক্ত (বা ৪, লেবা ১, ও ৭) ১২
    মোট (৭ উইকেট, ৫০ ওভার) ৩২০
    উইকেট পতন : ১-৭১ (বিজয়), ২-১৭০ (তামিম), ৩-২২৭ (সাকিব), ৪-২৭৭ (মাহমদুউল্লাহ), ৫-২৮৪ (মুশফিক), ৬-২৯৭ (মাশরাফি), ৭-২৯৮ (নাসির)।
    বোলিং : লাকমাল ৯-০-৬০-০, প্রদীপ ১০-০-৬৬-২, ধনঞ্জয়া ১০-০-৪০-১, থিসারা ৯-০-৬০-৩, গুণারতেœ ৫-০-৩৮-১, সিলভা ৭-০-৫১-০।
    শ্রীলঙ্কা ইনিংস (লক্ষ্য ৩২১) রান বল ৪ ৬
    কুশল বোল্ড নাসির ১ ৩ ০ ০
    থারাঙ্গা ক মাহমুদউল্লাহ ব মাশরাফি ২৫ ৩৫ ৩ ০
    মেন্ডিস ক রুবেল ব মশরাফি ১৯ ৩৪ ১ ০
    ডিকবেলা বোল্ড মুস্তাফিজ ১৬ ২২ ০ ০
    চান্ডিমাল রানআউট (সাকিব) ২৮ ৩৯ ০ ১
    গুণারতেœ ক সাইফউদ্দিন ব সাকিব ১৬ ১৯ ২ ০
    থিসারা ক মাহমুদউল্লাহ ব সাকিব ২৯ ১৪ ৩ ২
    সিলভা ক মুশফিক ব সাকিব ০ ১ ০ ০
    ধনঞ্জয়া ক সাকিব ব রুবেল ১৪ ১৭ ৩ ০
    লাকমাল বোল্ড রুবেল ১ ৬ ০ ০
    প্রদীপ অপরাজিত ০ ৫ ০ ০
    অতিরিক্ত (লেবা ৬, নো ১, ও ১) ৮
    মোট (অলআউট, ৩২.২ ওভার) ১৫৭
    উইকেট পতন : ১-২ (কুশল), ২-৪৩ (থারাঙ্গা), ৩-৬২ (মেন্ডিস), ৪-৮৫ (ডিকবেলা), ৫-১০৬ (চান্ডিমাল), ৬-১১৭ (গুণারতেœ), ৭-১১৭ (সিলভা), ৮-১৫০ (থিসারা), ৯-১৫২ (লাকমাল), ১০-১৫৭ (ধনঞ্জয়া)।
    বোলিং : নাসির ৪-০-২০-১, মাশরাফি ৮-১-৩০-২, রুবেল ৫.২-০-২০-২, মুস্তাফিজ ৫-০-২০-১, সাকিব ৮-১-৪৭-৩, সাইফউদ্দিন ২-০-১৪-০।
    ফল : বাংলাদেশ ১৬৩ রানে জয়ী।
    ম্যান অব দ্য ম্যাচ : সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ)।

    একবার রক্ত পরীক্ষাতে শনাক্ত হবে ক্যান্সার

    একবার রক্ত পরীক্ষা থেকেই বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার শনাক্ত করার কথা জানিয়েছে জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল। তারা এই পদ্ধতি ব্যবহার করে ক্যান্সারের আটটি সাধারণ ধরন খুঁজে পেয়েছেন। নতুন এই উদ্ভাবনীটিকে চিকিত্সা বিজ্ঞানের জন্য যুগান্তকারী উদ্ভাবন হিসেবে উল্লেখ করেছেন যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞরা।
    গবেষণা দলটি প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার চিহ্নিত করে জীবন বাঁচানোর লক্ষ্যে এ ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেন। তারা এমন একটি রক্তপরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছেন যাতে রক্তপ্রবাহে থাকা টিউমারের পরিবর্তিত ডিএনএ ও প্রোটিনের ক্ষুদ্র চিহ্ন শনাক্ত করা যায়। ক্যান্সারের মধ্যে বেড়ে ওঠা ১৬টি জিনের মধ্যে পরিবর্তন এবং রোগীর রক্তে নির্গত হওয়া আটটি প্রোটিন নিয়ে গবেষণা করে এই পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন বিজ্ঞানীরা।
    ডিম্বাশয়, পাকস্থলী, অগ্ন্যাশয়, খাদ্যনালী, মলাশয়, ফুসফুস বা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত এক হাজার ৫ জন রোগীর ওপর পরীক্ষামূলকভাবে এ পদ্ধতিটি প্রয়োগ করা হয়। এই পরীক্ষায় ৭০ শতাংশ ক্যান্সারই শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। যুগান্তকারী এই রক্ত পরীক্ষার নাম দেয়া হয়েছে ‘ক্যান্সার সিক টেস্ট’। ক্যান্সার সিক টেস্টের জন্য রোগীদের ৫০০ ডলারের মতো খরচ হবে।
    জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব মেডিসিন ডাক্তার ক্রিশ্চিয়ান টমাসেট্টি বলেছেন, প্রাথমিকভাবে ক্যান্সার নির্ণয় করাটা খুবই জরুরি। এতে খুব ভাল ফলাফল পাওয়া যায়। এই উদ্ভাবনটি ক্যান্সারে আক্রান্তদের মৃত্যুর হার অনেকাংশে কমিয়ে দেবে। যত দ্রুত ক্যান্সার চিহ্নিত করা যায়, তত দ্রুত রোগের চিকিৎসায় সফল হওয়া যাবে।
    তবে এবার যাদের ক্যান্সার শনাক্ত হয়নি এমন ব্যক্তিদের মধ্যে পদ্ধতিটির পরীক্ষা চালাচ্ছে ক্যান্সার গবেষণা দলটি। পদ্ধতিটি কার্যকর বলে নিশ্চিত হলে বছরে মাত্র একবার রক্ত পরীক্ষাতেই যে কেউ তার দেহে ক্যান্সারের অস্তিত্ব আছে কিনা তা জানতে পারবেন।-বিবিসি

    জাপানের সাথে আসিয়ানের সম্পর্ক

    এবারে রয়েছে একটি সংবাদ বিশ্লেষণ। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া দেশ সমূহের সমিতি আসিয়ান, জাপানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদারে পরিণত হয়েছে। আসিয়ান হল ১০ সদস্যের এক আঞ্চলিক সম্প্রদায় এবং এর মোট জনসংখ্যা হল ৬৩ কোটি। এর মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের পরিমাণ হল ২ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি ডলার এবং এশিয়াতে চীন ও জাপানের পর এর স্থান হল তৃতীয়। গত বছর, আসিয়ান তার প্রতিষ্ঠার ৫০ তম বার্ষিকী পালন করেছে এবং পরবর্তী অর্ধ শতকের দিকে নতুন এক অধ্যায় শুরু করতে চলেছে। এই সংস্থা জাপানের কাছ থেকে কি প্রত্যাশা করছে এবং জাপান কি ধরনের ভূমিকা পালন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে? জাপান আসিয়ান কেন্দ্রের মহাসচিব মাসাতাকা ফুজিতাকে আমরা এই প্রশ্ন করি।

    জাপান ও আসিয়ানের মধ্যেকার ভবিষ্যত সম্পর্ক নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে হলে আমাদেরকে ফুকুদা মতবাদের দিকে দৃষ্টিপাত করতে হবে। ১৯৭৭ সালে তৎকালীন জাপানি প্রধানমন্ত্রী তাকেও ফুকুদা জাপানের আসিয়ান নীতির ভিত্তি হিসাবে এই মতবাদ প্রবর্তন করেন। তিনটি নীতির উপর ভিত্তি করে এটি গড়ে তোলা হয় যার মধ্যে প্রথমটি হল- জাপান সামরিক শক্তিতে পরিণত হবে না। দ্বিতীয় নীতি হল, আসিয়ান দেশগুলোর সাথে খোলাখুলি ভাবে সমঝোতার উপর ভিত্তি করে জাপান সম্পর্ক গড়ে তুলবে। জাপান আসিয়ানের সাথে সমপর্যায়ে সহযোগিতা করবে হল তৃতীয় নীতি। এই নীতিগুলো শুনতে ভালো লাগলেও আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি যে এগুলো শুধুমাত্র ধারণা হয়েই বিদ্যমান ছিল বাস্তবে এর কোন প্রয়োগ দেখা যায় নি।

    ওই মতবাদ গৃহীত হওয়ার পর ৪০ বছরের বেশি সময় অতিবাহিত হয়েছে এবং আসিয়ান প্রতিষ্ঠার পর পাঁচ দশক কেটে গেছে। এই সময়ের মধ্যে জাপান ও আসিয়ানের মধ্যেকার সম্পর্ক ব্যাপক হারে পরিবর্তিত হয়ে তা এখন দৃঢ় এক অংশিদারিত্বে পরিণত হয়েছে। প্রথম দিকে, জাপানের সাথে আসিয়ানের সম্পর্ক অনেকটাই একপক্ষীয় ছিল যেখানে জাপানের অবদান ছিল অনেক বেশি। এর কারণ ছিল উভয়ের মধ্যেকার বিরাট অর্থনৈতিক ব্যবধান। তবে আজকের দিনে, এই সম্পর্ক আর একপক্ষীয় নয়। সময়ের সাথে সাথে আসিয়ান প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে এবং এর প্রভাব বিস্তার করেছে।

    তবে এটাও ঠিক যে জাপানের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো আসিয়ানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সংগঠন গড়ে তোলার অন্যতম কারণ ছিল সমন্বিত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলোর সাহায্য নিয়ে এটি সম্ভব হয়েছে। কোম্পানিগুলো এই অঞ্চলে ব্যবসা করতে শুরু করলে, নিয়মাবলী শিথিল করার জন্য তারা স্থানীয় সরকারের প্রতি অনুরোধ রাখে। কর্তৃপক্ষ তাদের এই আহ্বানে সাড়া দেয় এবং নিজেদের নীতিমালা পর্যালোচনা করে দেখে।

    আসিয়ানের ১০টি সদস্য দেশের মধ্যে একটি হল মিয়ানমার। মিয়ানমার হল তুলনামূলকভাবে নতুন এক সদস্য এবং সম্প্রতি সেদেশে প্রশাসন পরিবর্তন হয়েছে। আঞ্চলিক সম্প্রদায়ের মধ্যে কিভাবে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে হবে এবং কিভাবে অন্যদের জবাবে সাড়া দিতে হবে তা খুব গুরুত্বপূর্ন এক বিষয়। আসিয়ান গ্রুপটির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের দেশ রয়েছে এবং এই দেশগুলোর অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও ভিন্ন।

    অপর এক গুরুত্বপূর্ণ দিক হল স্থানীয় শিল্পগুলোকে প্রতিপালন করা। সাধারণত, সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ থেকে আসা মুনাফার অর্ধেক পরিমাণ অভ্যন্তরীণ শিল্পে পুনরায় বিনিয়োগের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে আসিয়ানের ক্ষেত্রে মুনাফার শুধুমাত্র ২৫ শতাংশ পুনরায় বিনিয়োগ করা হয় কেননা এই বিনিয়োগের সুবিধা নিতে পারে এই ধরনের স্থানীয় কোম্পানির সংখ্যা খুব বেশি নয়। এই বিষয়ে জাপান সহযোগিতা প্রদান করছে। আইন প্রণয়নে স্থানীয় লোকের সাথে সহযোগিতা, সমাজের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ছোট আকারের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো বা নারী উদ্যোক্তাদের সাহায্য করার মাধ্যমে জাপান এই কাজ করছে।

    আসিয়ানে যে সকল বেসরকারী কোম্পানিগুলো ব্যবসা করছে তাদের উচিত নিজেদেরকেও ওই অঞ্চলের বলে বিবেচনা করা এবং স্থানীয় লোকজনের যাতে উন্নতি ঘটে সেই লক্ষ্য নিয়ে চলা। সফল এক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের মূল চাবিকাঠি হল অন্য দেশের বা অঞ্চলের দৃষ্ঠিভঙ্গী বিবেচনা করে পারস্পারিক লাভজনক সম্পর্ক বজায় রাখতে প্রচেষ্টা চালানো।

    সংবাদ বিশ্লেষণটি এখানেই শেষ হল। এতে আজ শুনলেন জাপান আসিয়ান কেন্দ্রের মহাসচিব মাসাতাকা ফুজিতার মতামত।