জাপানের শিন্টো মন্দিরে সামুরাই তলোয়ার নিয়ে হামলা, নিহত ৩

জাপানের রাজধানীর টোকিওর টোমিওকা হাচিমাংগু মন্দিরে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে সামুরাই তলোয়ার ও ছুরি নিয়ে হামলায় ৩ জন নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার হামলাকারী শিন্টো মন্দিরটির প্রধান পুরোহিত ও তার বোন নাগাকো টোমিওকাকে হত্যা করে।
পরবর্তীতে শিগেনাগা নামের ওই ব্যক্তি হামলায় তার সহযোগী ও প্রেমিকাকে হত্যা করে, সে নিজেও আত্মহত্যা করে। ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা সামুরাই তলোয়ার ও ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গেছে, ৫৮ বছর বয়সী নাগাকো টোমিওকো গাড়ি থেকে নামার সময় তার উপর হামলা করা হয়। শিগেনাগার সহযোগী নারী প্রথম নাগাকোর ড্রাইভারকে তলোয়ার দিয়ে আঘাত করে। ড্রাইভার ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। কিন্তু টোমিওকার বুকে ও ঘাড়ে গভীর ক্ষত চিহ্ন পাওয়া গেছে, পরে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
সন্দেহভাজনরা তখন মন্দিরের অন্য অংশ চলে যায়। পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছে, আমাদের বিশ্বাস সন্দেহভাজন শিগেনাগা প্রথমে তার সন্দেহভাজন সহযোগীকে ছুরি চালিয়ে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করে। জাপানের স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, শিগেনাগা ও টোমিওকার মধ্যে কে হবে মন্দিরটির প্রধান পুরোহিত সেটা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল।
শিগেনাগা টোমিওকা ১৯৯০ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত শিন্টো মন্দিরটির প্রধান পুরোহিত ছিলেন। ২০০১ সালে তার পিতা এসে তাকে বরখাস্ত করে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং নাগাকো টোমিওকাকে দ্বিতীয় প্রধান পুরোহিত নিয়োগ করেন। ২০১০ সালে তাদের বাবা পদত্যাগের পরে নাগাকো টোমিওকা প্রধান পুরোহিত হন। ২০০৬ সালে শিগেনাগা হুমকি চিঠি দিয়েছিলেন যে নাগাকোকে নরকে পাঠাবেন।
শিন্টো জাপানের আদি ও স্থানীয় ধর্ম। টোমিওকা হাচিমাংগু মন্দিরটি ১৬২৭ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত যা আগস্টের ফুকাগাওয়া হাচিমান সামার ফেস্টিভ্যালের জন্য জনপ্রিয়। মন্দিরটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এটি প্রথম ওই মন্দিরগুলোর মধ্যে যারা শিন্টো মন্দিরে পর্যটক ও দান আকর্ষণ করতে সুমো টুর্নামেন্ট আয়োজন শুরু করেছিল। জাপানের রাজা ও রাণী ২০১২ সালে এই মন্দির সফর করেছিলেন। বিবিসি।