তুরস্কে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি উদ্‌যাপন

তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের স্বীকৃতি উদ্‌যাপন করা হয়েছে। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা (ইউনেসকো) কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় গতকাল ৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

উপস্থিতির একাংশদূতাবাসের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনের শুরুতেই ছিল রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ। এ সময় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রদর্শিত হয়। এ ভাষণের পরিচিতি ও প্রসারের লক্ষ্যে তা বাংলা, ইংরেজি ও তুর্কি ভাষায় আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চ ভাষণের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দীকী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণই ছিল স্বাধীনতার ঘোষণা। এ ভাষণ ছিল দেশবাসীর প্রতি স্বাধীনতা সংগ্রামের দিকনির্দেশনা। যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ইউনেসকোর এই স্বীকৃতি শুধু এ ভাষণের স্বীকৃতি নয়; বঙ্গবন্ধুর উদ্দীপ্ত ও প্রেরণাদায়ী নেতৃত্ব এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতিগঠনে তাঁর অপরিমেয় অবদানের স্বীকৃতি। এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি আকাঙ্ক্ষারও স্বীকৃতি। তার বক্তব্যের পর আগত অতিথিদের কয়েকজন সভায় বক্তব্য রাখেন।
উপস্থিতির একাংশঅনুষ্ঠানে তুরস্কে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশি, বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে আগত অতিথিদের বাংলাদেশি খাবারের মাধ্যমে আপ্যায়ন করা হয়।