উ. কোরীয় ফ্যান ক্লাব খুলেছে জাপানি নারীরা
উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে যে হারে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলছে, তাতে যেকোনো সময় পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে, এরকম একটি আতঙ্কের মধ্যে আছে জাপান। সেকারণে খুবই সতর্ক অবস্থায় রয়েছে দেশটি। কিন্তু এর মধ্যেই কয়েকজন জাপানি নারী গড়ে তুলেছেন ‘উত্তর কোরিয়া ফ্যান ক্লাব’। এর সব সদস্যই নারী বলে জানা গেছে।
উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচির কারণে যে কয়েকটি দেশ সবচেয়ে বেশি হুমকি ও আতঙ্কের মুখে তার একটি হলো প্রতিবেশী জাপান। পিয়ংইয়ং যেসব ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় সেগুলোর বেশিরভাগই নিক্ষেপ করা হয় এই জাপানের উপর দিয়ে। তবে জাপানে উত্তর কোরিয়া ফ্যান ক্লাবের নেতা বলছেন, ক্লাবটি গঠন করার পর থেকে অনেকেই তাদের কড়া সমালোচনা করছেন। তিনি অভিযোগ করেন যে তার দলের সদস্যদেরকে হুমকি-ধমকিও দেয়া হচ্ছে। এমনকি অনেকে এমন অভিযোগও করছেন যে, তারা নাকি কিম জং উনের গুপ্তচর হিসেবেও কাজ করছেন।
কিন্তু এসব অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেছেন, তারা উত্তর কোরিয়ার নেতার রাজনীতিকে সমর্থন করেন না। তবে এই কমিউনিস্ট রাষ্ট্রের শিল্প সংস্কৃতি ও সঙ্গীতকে তারা খুবই পছন্দ করেন। তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার সংস্কৃতিই তাদের আগ্রহের কেন্দ্রে। তাই তারা উত্তর কোরিয়ার সামরিক পোশাকের আদলে জামা কাপড় পরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উত্তর কোরিয়ার গান বাজনা ও শিল্প সংস্কৃতিকে তুলে ধরেন।
ক্লাবটির প্রতিষ্ঠাতা চুনহুন বলেন, তারা যখন এই ক্লাবটি গঠন করেন তখন অনেকেই তাদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করে মেসেজ দিয়েছিলেন। এসব মেসেজ তারা পেয়েছেন জাপানের দক্ষিণপন্থী বিভিন্ন গ্রুপের কাছ থেকে। উত্তর কোরিয়ার একটি নারী ব্যান্ড দল মোরানবং এর অনুসরণে এই ফ্যান ক্লাবটি তৈরি হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন এই মোরানবং ক্লাবের সদস্যদের নির্বাচন করে থাকেন। মোরানবংকে দেখা হয় উত্তর কোরিয়ার ‘স্পাইস গার্লস’ হিসেবে। ক্লাবের প্রধান চুনহুন বলেন, জাপানে তাদের যেমন সমালোচক রয়েছে তেমনি রয়েছে প্রচুর ভক্ত সমর্থকও। বিবিসি।