• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • অক্সফোর্ডে পড়ালেখা করে ঠাঁই হলো রেলস্টেশনে

    ফেসবুকের সাহায্যে গৃহহীন ৭৬ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের সন্ধান পাওয়া গেল। গত ২১ এপ্রিল ভারতের অবিনাশ সিংহ নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী ওই বৃদ্ধের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন। ওই বৃদ্ধের নাম রাজা সিংহ ফুল। তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র। বর্তমানে তার থাকার কোনো স্থায়ী বাসস্থান নেই।
    অবিনাশ সিংহের ফেসবুক পোস্ট থেকে জানা গেছে, ১৯৬০ সালে অক্সফোর্ড থেকে ভারতে ফিরে আসেন। ভাইয়ের মোটর ব্যবসায় সাহায্য করার জন্য তাকে দেশে আনা হয়েছিল। ভাইয়ের মৃত্যুর পর রাজা সিংহ ব্যবসা ঠিকমতো ধরে রাখতে পারেননি। সম্পত্তি খুইয়ে তার ঠাঁই হয় দিল্লির রেলস্টেশনে।
    ফেসবুক পোস্ট থেকে আরো জানা গেছে, ভদ্রলোকের সন্তান-সন্ততি যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনে থাকেন। কিন্তু রাজা সিংহের সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ নেই। তিনি দিল্লি স্টেশনে থাকেন এবং সেখানকার সরকারি শৌচালয় ব্যবহার করেন। পরে বাবা খড়ক সিংহ মার্গের ভিসা কেন্দ্রে যান। সেখানে তিনি ভিসা ফরম ফিলআপের কাজ করেন। মানুষজন দয়া-দাক্ষিণ্য করে তাকে কিছু টাকা-পয়সা দিয়ে সাহায্য করেন। আবার কেউ কেউ কিছুই দেন না। দিনে তার সর্বমোট ১০০ টাকা উপার্জন হয়।
    এই প্রসঙ্গে রাজা সিংহ ফুলের বক্তব্য, খাবারের জন্য নিজেকে রোজগার করতে হয়। লঙ্গরখানায় খাওয়ার জন্য তাকে নিজের পকেট থেকে কিছু দিতে হবে। যত দিন না তিনি তা করতে পারছেন তত দিন পর্যন্ত লঙ্গরখানায় খাওয়ার তার অধিকার নেই।
    অক্সফোর্ড থেকে পাস করার পরেও তিনি কোথাও চাকরি করেন না কেন? ভারতের জাতীয় স্তরের একটি সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, দশটা-পাঁচটার কাজে কোনোদিনই তার আগ্রহ ছিল না।
    ফেসবুকে অবিনাশ সিংহের পোস্টটি ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই রাজা সিংহের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি ‘গুরুনানক সুখ সলা’বৃদ্ধাশ্রমে রয়েছেন। তার অদম্য উদ্যম, ভিসা কেন্দ্রের জীবিকা থেকে তাকে বিরত করতে পারেনি।

    প্যারালাইসিসের আশঙ্কায় খালেদা জিয়া, হতে পারেন অন্ধ: ব্যক্তিগত ৩ চিকিৎসক

    এখনই যথাযথ সুচিকিৎসা না পেলে প্যারালাইজড হয়ে কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারেন কারাগারে বন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এমনকি তিনি অন্ধও হয়ে যেতে পারেন। এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। তারা হলেন- নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ওয়াহিদুর রহমান, অর্থপেডিকস বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. সিরাজ উদ্দিন আহমেদ ও চক্ষু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. আবদুল কুদ্দুস।
    শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে তারা প্রত্যেকেই দাবি করেন, কারাগারে খালেদা জিয়াকে উপযুক্ত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়। তার বয়স এবং রোগের ভয়ংকর অবনতির ফলে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হলে বিশেষায়িত হাসপাতালে নিতে হবে।
    নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ওয়াহিদুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, খালেদা জিয়ার এখন বেশি সমস্যা হচ্ছে ঘাড়ের হাড় ক্ষয়। এটি ক্ষয় হয়ে নার্ভটা চাপা পড়ে গেছে। ব্রেন থেকে যে নার্ভগুলো ঘাড় দিয়ে হাড়ের দিকে যায়, সেই নার্ভগুলো চাপা পড়ে গেছে। এতে তার বাম হাতের শক্তি কমে যাচ্ছে। তিনি বাম হাতে কিছুই ধরে রাখতে পারছেন না। প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছে। খালেদা জিয়ার হাতের আঙুলগুলো ফুলে গেছে। আগে থেকে তার এ সমস্যা।  তাছাড়া তার কোমরের হাড়ও ক্ষয় হয়ে সেখানে যে স্পাইনাল কড আছে সেটাও চাপা পড়ে গেছে। এই হাড় অনেক শীর্ণ হয়ে গেছে। এ কারণে তিনি এখান থেকে ওখানে হেঁটে যেতে পারেন না। এসব সমস্যার কারণে যদি ঠিকমতো চিকিৎসা না হয় তাহলে তার প্যারালাইসিস হয়ে যেতে পারে। প্রস্রাব-পায়খানার কন্ট্রোল নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তার হাত-পা অবশ হয়ে যেতে পারে। এসব কারণে আমাদের মনে হয়েছে, তার যে চিকিৎসা দরকার তা কোনভাবেই কারাগারে সম্ভব নয়।
    অর্থোপেডিকস বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. সিরাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি বহুদিন থেকে ম্যাডাম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করি। তার স্বজনরা যারা দেখা করতে গেছেন, তাদের কাছে শুনেছি, তিনি হাঁটতে পারেন না। এর কারণ, তার পায়ের হাড় ক্ষয় হয়ে গেছে। তাকে দুইজন ধরিয়ে হাঁটা-চলা করান। তার দুই হাঁটুর অবস্থা করুণ। এগুলোর চিকিৎসা করতে হলে ফিজিওথেরাপি এবং ভালো পরিবেশে দরকার-যা কারাগারে সম্ভব নয়। যদি এ অবস্থা তাকে রেখে দেওয়া হয় তাহলে তিনি কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলবেন।
    চক্ষু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. আবদুল কুদ্দুস বলেন, ২০১৫ ও ২০১৭ সালে তার চোখে অপারেশন করা হয়। তার চোখের পানি শুকিয়ে যাওয়ার রোগ আছে। আমরা জেনেছি খালেদা জিয়ার চোখ লাল হয়ে গেছে এবং প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছে। ঠিকমত তাকাতে পারছেন না। তার সুচিকিৎসা করানো না হলে চোখের কর্নিয়া নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তিনি অন্ধ হয়ে যেতে পারেন।
    প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের পর খালেদা জিয়াকে ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে একটি কক্ষে নেয়া হয়। গত ২৯ মার্চ তার অসুস্থতার কারণে ঢাকার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে একটি দল তাকে কারাগারে পরীক্ষা করে। ১ এপ্রিল চিকিৎসায় গঠন হয় মেডিকেল বোর্ড। আর ৭ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে এনে বেগম জিয়ার বেশ কিছু এক্সরে করানো হয়। বিএনপি তাকে ঢাকার বেসরকারি হাসপাতাল ইউনাইটেডে ভর্তি করার দাবি করছে।

    তারেকের নাগরিকত্ব বাতিলের সুযোগ রয়েছে

    প্রচলিত আইন অনুযায়ী যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাগরিকত্ব বাতিল করতে পারে সরকার। কিন্তু নাগরিকত্ব বাতিল করার আগে তারেক রহমানকে কারণ দর্শানো নোটিস দিতে হবে। নাগরিকত্ব বাতিল করা হলে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হবে না বলে আইনমন্ত্রী বলেছেন।
    আইন অনুযায়ী অবশ্য তারেক রহমান নিজেও বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে তাকে সরকারের নিকট লিখিত আবেদন করতে হবে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাগরিকত্ব বাতিল বা বর্জনের সুযোগ নেই।
    ১৯৫১ সালের দ্য সিটিজেনসিপ অ্যাক্ট-এর ১৬ (৬) ধারা অনুযায়ী উভয়পক্ষের এ সুযোগ রয়েছে। আইনের ১৬ (৪) উপ-ধারায় বলা আছে কেউ যদি একটানা দেশের বাইরে অন্য কোনো দেশে বসবাস করে তা যদি সরকারি কোনো কাজ বা আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাজ না হয় তবে সরকার সেই ব্যক্তির নাগরিকত্ব রহিত বা বাতিল করতে পারে। আবার ওই ব্যক্তি লিখিত আবেদনের মাধ্যমে নাগরিকত্ব বর্জন করতে পারেন। তবে সরকার যদি নাগরিকত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে চান সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে কারণ দর্শানো নোটিস দিতে হবে তথা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে।
    যদি কেউ প্রতারণামূলকভাবে নাগরিকত্ব লাভ করে সে ক্ষেত্রে বিচারিক ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তির নেতৃত্বে একটি কমিটির তত্ত্বাবধানে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার উল্লেখ আছে আইনে।
    প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ১৩টি দুর্নীতি মামলার অভিযোগে ওই বছরের ৭ মার্চ তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করে। ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তিনি সবকটি মামলা থেকে জামিন পান এবং অসুস্থতার কারণে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। একই বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান লন্ডনে চলে যান। অর্থাৎ তারেক রহমান টানা প্রায় ১০ বছর যুক্তরাজ্যে অবস্থান করায় সরকার এখন তার নাগরিকত্ব বাতিল করতে পারে।

    ইতিহাস সৃষ্টি করলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন

    উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। সামরিক সীমান্ত পেরিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশ করেছেন তিনি। কোরীয় যুদ্ধ-পরবর্তী ৬৫ বছরে এই প্রথম উত্তরের কোনো নেতার পা পড়ল দক্ষিণে।

    শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টায় (বাংলাদেশ সময় ৬.৩০) বিরল সফরে নয় সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছান উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম। এরইমধ্যে দক্ষিণ কোরীয় নেতা মুন জায়ে ইন-এর সঙ্গে ঐতিহাসিক বৈঠকে বসেছেন তিনি। স্থানীয় সময় তিনি দুই কোরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চল পানমুনজামে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন। পরে দুই নেতা পানমুনজামের নিরপেক্ষ এলাকায় স্থাপিত বিশেষ মঞ্চে যান। সেখানে তাদের গার্ড অব অনার জানায় দক্ষিণ কোরিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল। আনুষ্ঠানিকতা শেষে সকাল সাড়ে দশটায় দক্ষিণ কোরিয়ার পিস হাউসে আলোচনায় বসেছেন তারা।

    ১৯৫৩ সালে কোরীয় যুদ্ধ অবসানের ৬৫ বছর পর এবারই প্রথম কোনও উত্তর কোরীয় রাষ্ট্রনায়ক আলোচনার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছালেন। এর আগে দুই কোরিয়ার নেতারা দুইবার আলোচনায় বসলেও দুইবারই সেই আয়োজন হয়েছিল পিয়ংইয়ং এ। এবারের বৈঠকের পুরো পরিকল্পনা আগে থেকেই তৈরি করা হয়েছে।

    স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে নয়টায় দুই কোরিয়ার নেতা সীমান্তে উপস্থিত হয়ে হাত মেলান। দক্ষিণ কোরিয়ায় কিম জং উন পা রাখার পর দুই নেতা সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন। এরপরই কিমের অনুরোধে উত্তর কোরিয়ার মাটিতে কিছুক্ষণের জন্য দাঁড়ান দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন। পরে তারা অনুষ্ঠান মঞ্চে হাজির হন।

    আনুষ্ঠানিতকা শেষে সকাল সাড়ে দশটায় শুরু হওয়া আলোচনা চলবে মধ্যাহ্নভোজনের বিরতির আগ পর্যন্ত। বিরতিতে দুই নেতা নিজেদের দেশে ফিরে যাবেন। নিজ দেশে মধ্যাহ্নবোজনের পর বিকেলের দুই নেতা দুই কোরিয়ার মাটি ও পানি ব্যবহার করে একটি পাইন গাছের চারা রোপণ করবেন। শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে এই চারা লাগানোর পর দ্বিতীয় দফা আলোচনায় বসবেন দুই নেতা। সম্ভাব্য চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে শেষ হবে আলোচনা। এরপর দুই নেতা দক্ষিণ কোরিয়ায় রাতের খাবারে অংশ নেওয়ার আগে একটি যৌথ বিবৃতি দেবেন।

    দক্ষিণ কোরিয়ার আয়োজিত এই রাতের খাবারের মেন্যু আগেই জানানো হয়েছে। খাবারে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের পছন্দের খাবার সুইস পটেটো ডিশ রোসটো থাকবে। পড়াশোনার জন্য সুইজারল্যান্ডে থাকার সময়ে এই খাবার পছন্দ করতেন তিনি। এছাড়াও আয়োজনে থাকবে উত্তর কোরিয়ার বিখ্যাত ঠাণ্ডা নুডলস ও পানীয়।

    রাতের খাবারের পর নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার আগে দুই দেশের প্রতিনিধিরা এক সাথে বসে ‘স্প্রিং অব ওয়ান’ নামে একটি ভিডিওচিত্র দেখবেন।

                                                    

    খালেদা জিয়ার অসুস্থতা ভয়াবহ পর্যায়ে, তাকে মুক্তি দিন : মির্জা ফখরুল

    কারাগারে গুরুতর অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলমা আলমগীর বলেছেন, ক্রমান্নয়ে কারাগারের মধ্যে তার অসুস্থতা ভয়াবহ পর্যায়ে যাচ্ছে। তাঁর স্বাস্থ্য ভেঙে পড়েছে। শুধু মাত্র কালকে ছাড়া গত ১৪ দিন যাবৎ আমরা কেউ তার সঙ্গে কোনো সাক্ষাৎ করতে পারি নাই। গতকাল মঙ্গলবার তার পরিবারের সদস্যরা দেশনেত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন তাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি- তিনি এতই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন দোতলা থেকে নিচের তালায়ও আসতে পারছেন না। তার এই অবস্থার জন্য সরকার দায়ী। এর জবাব দিতে হবে সরকারকে।
    আজ বুধবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
    মির্জা ফখরুল, আমরা জানি- এই সরকার বেগম জিয়াকে কেন আটকে রেখেছে? তার একটি মাত্র কারণ হচ্ছে তারা অত্যন্ত আতঙ্কিত যে যদি বেগম খালেদা জিয়া বাহিরে থাকেন তাহলে গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য যে আন্দোলন হচ্ছে- এই আন্দোলনকে তারা কোনভাবেই প্রতিরোধ করতে পারবেন না। এবং তাদের পরাজয় অবশ্যম্ভাবী হবে।নেত্রীকে একটি ভূয়া সাজানাে মামলায় ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারী সরকার অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকিয়ে রেখেছে।এবং এটি কোনো কারাগার? এমন একটি কারাগার যেটা পরিত্যাক্ত কেউ সেখানে বাস করে না সেই কারাগারে তাকে একটি স্যাঁতস্যাঁতে ঘরের মধ্যে রাখা হয়েছে।
    তিনি বলেন, বেগম জিয়ার চিকিৎসার জন্য আমরা বারবার সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়ে আমরা বলেছি- তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা ব্যক্তিগত চিকিৎসকদেরকে দিয়ে চিকিৎসা করার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল বিশেষ করে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া প্রয়োজন। আমরা বারবার বলেছি তাকে চিকিৎসার জন্য যে ধরনের এমআরআই করার দরকার সেটা অন্য কোথাও সম্ভব না। এর ব্যবস্থা অন্য কোথাও নেই। এতো কিছু বলার পরেও কয়েকদফা ডাক্তাররা যাওয়ার পরেও এখন ও পর্যন্ত তাকে কোনভাবেই নিজস্ব চিকিৎসকদেরকে দিয়ে তার পছন্দ মতো চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না।যার জন্য আমাদের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন তারপরেও না দেয়া অত্যন্ত দুঃখজনক।
    তিনি বলেন, অবিলম্বে সংসদ ভেঙে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করে আগামী নির্বাচন দিতে হবে ।সেইসাথে খুব দ্রুত কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, সকল রাজবন্দীর মুক্তি, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির জন্য সরকারকে আহ্বান জানান তিনি।
    বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করতে গিয়ে সরকারের লোকজনই এখন গর্তে পড়ে গেছে বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারেক রহমান বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিহার করেননি। তিনি বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। তারেক রহমানকে নিয়ে যারা বিতর্ক সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন তারা নিজেরাই এখন গর্তে পড়েছেন।
    মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনতে হবে। এ সরকারের অপশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।
    স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক ভাবে হয়রানি ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে মিথ্য মামমলায় কারাগরে আটকে রেখেছে। কারণ সরকার চায় ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মত প্রতারণার নির্বাচন করতে। কিন্তু এবার তাদের সে স্বপ্ন পূরণ হবে না।
    মোশাররফ বলেন, বিএনপি ও খালেদা জিয়াকে বাহিরে রেখে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না, হতে দেয়া হবে না। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সংসদ ভেঙে সবার অংশ গ্রহণে নির্বাচন করতে বাধ্য করা হবে।
    স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকার আইয়ুব খানের পথ অনুসরণ করছে। ১৯৬৮ সালে আইয়ুব খান সরকারও উন্নয়নের মিছিল করেছিলো। তার পরে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে গেছে। শেখ হাসিনা সরকারও উন্নয়নের মিছিল করেছে। এবার গণতন্ত্র ফিরে আসবেই। আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত।
    তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ও খালেদা জিয়াকে বাহিরে রাখতে খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রেখেছে। এখন তারেক রহমানের পেছনে লেগেছে তাকে ছোট করতে। কিন্তু সরকারকে বলতে চাই এসব করে কোনো লাভ হবে না, জনগণের জোয়ারে ষড়যন্ত্রের সব বাধ ভেঙে যাবে।
    মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপার্সন এর উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জয়নুল আবদীন ফারুক। এছাড়া উপস্থিত আছেন ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড় এম জাহিদ হোসেন, উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, ক্রিড়া সম্পাদক আমিনুল হক প্রমুখ।
    মানবন্ধনে আরও অংশ নেন ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন,চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদ অ্যাডভোকেট আব্দুল সালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম বাবুল,সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামিমুর রহমান প্রমুখ।
    এদিকে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসুচি ছিল। তবে পুলিশ সেখানে করতে না দেয়ায় তারা দলীয় অফিসের সামনে করে।
    বেলা ১১টায় শুরু হয়ে এ মানববন্ধন শেষ হয় দুপুর ১২টায়।পূর্ব ঘোষিত এ মানববন্ধনে যোগ দিতে সকাল সাড়ে ৯টা থেকেই বিএনপি ও এর অঙ্গ–সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন। ফকিরাপুল মোড় থেকে কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড় পর্যন্ত ছিলো নেতাকর্মীদের দখলে।
    ‘আমার নেত্রী আমার মা, বন্দি থাকতে দেবো না, বন্দি রাখা যাবে না’, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, মুক্তি চাই’, ‘খালেদা জিয়ার কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে,’- ইত্যাদি শ্লোগান দিতে থাকেন নেতাকর্মীরা। এসময় তাদের হাতে খালেদা জিয়ার ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ডও দেখা যায়।
    খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গত ২২ এপ্রিল থেকে বিএনপি নতুন সাত দিনের কর্মসূচি শুরু করেছে। তারই অংশ হিসেবে আজ এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন হলো।
    এ কর্মসূচি ঘিরে সকাল থেকেই বিএনপি কার্যালয়ের আশে-পাশে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে পুলিশ। মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ।
    এদিকে মানববন্ধনে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বক্তব্য চলাকালে নেতাকর্মীদের কর্মসূচি ছেড়ে চলে যেতে দেখা যায়। আর সভাপতি হিসেবে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য শেষ না হতেই মানববন্ধন ফাঁকা।
    ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব এক দৌঁড়ে রাস্তার বিপরীতে চলে যান, এ সময় তার সঙ্গে অন্তত ২০ নেতাকর্মী দৌঁড় দেয়।
    এদিকে হাবিবুর রশিদ হাবিবের দৌঁড় দেখে উপস্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। অনেকের কৌতূহল তৈরি হয়, তিনি কেন এভাবে দৌঁড় দিলেন?
    এ সময় এক কর্মী বলেন, কৌশলগত কারণে তিনি এভাবে চলে গিয়েছেন।
    মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার বক্তব্যে বলেন, অনুমতি নেয়ার পরও আজকে পুলিশের এই যে আচরণ তা গণতান্ত্রিক নয়।

    হৃদরোগের চিকিৎসায় আইপিএস কোষের ব্যবহার

    এবারে রয়েছে একটি সংবাদ বিশ্লেষণ। ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রথমবারের মত বিশ্বে এক স্বাস্থ্য গবেষণা চালায় যেখানে গুরুতর হ্রদরোগে ভুগছেন এমন এক রোগীর চিকিৎসার জন্য আইপিএস কোষ থেকে তৈরি কোষ তাঁর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়।
    বুধবার জাপান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্যানেল প্রথমবার এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে। আগামী মাস পর্যন্ত এই প্যানেলের আলোচনা চলবে এবং এতে প্রধানত এই ধরনের গবেষণার নৈতিক ও প্রযুক্তিগত দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে।

    প্রশ্ন হল আইপিএস কোষ ভিত্তিক চিকিৎসা থেকে কী প্রত্যাশা করা যায়? এই বিষয় নিয়ে আজ আমরা জাতীয় ইনস্টিটিউট অব হেলথ সাইন্সের কোষ ভিত্তিক চিকিৎসা পণ্য বিভাগের প্রধান ইয়োজি সাতোর সাথে কথা বলেছি। পুনঃউৎপাদন সংক্রান্ত চিকিৎসা বিদ্যার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও তিনি একজন বিশেষজ্ঞ।

    মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশনের মত গুরুতর হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা সংক্রান্ত গবেষণার উপরেই সাম্প্রতিক এই আলোচনায় মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করা হয়। এই রোগের চিকিৎসার জন্য আইপিএস কোষ থেকে প্রথমে হৃৎপেশী কোষ গঠন এবং পরে এই কোষগুলোকে শিটের আকারে পরিণত করে তা রোগীর হৃৎপিণ্ডে প্রতিস্থাপন করা হয়।

    হৃদরোগ হল এমন এক অবস্থা যখন হৃৎপিণ্ড সারা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে যথেষ্ট পরিমাণ রক্ত সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়। এরকমের পরিস্থিতিতে হৃৎযন্ত্রকে শুধুমাত্র একটি পাম্প হিসাবে দেখা হয় যার প্রধান কাজ হল রক্ত সরবরাহ করা। পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে দাঁড়ালে এই ধরনের রোগীর চিকিৎসার জন্য বর্তমানে একটি মাত্র উপায় হল হ্রদযন্ত্র প্রতিস্থাপন।সমস্যা হল প্রতিস্থাপন করা সম্ভব এই ধরনের হ্রদযন্ত্র তাৎক্ষণিক ভাবে সবসময় পাওয়া যায় না।

    আইপিএস কোষ ব্যবহারের অন্যতম ইতিবাচক দিকটি হল এই কোষগুলো এমন এক দাতার শরীরে নির্মাণ করা সম্ভব যার রোগ প্রতিরোধের ধরণ রোগীর সাথে মিলে যায়। ভবিষ্যতে এর থেকে এমন এক চিকিৎসা ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব যেখানে অঙ্গ প্রত্যাখানের ঝুঁকি অনেক কম। তবে এই প্রযুক্তি প্রয়োগ করার আগে নিরাপত্তা ব্যবস্থার মূল্যায়ন করা উচিত। আইপিএস কোষ থেকে গঠিত হৃদকোষগুলো প্রতিস্থাপনের জন্য নিরাপদ কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা উচিত। এই ধরনের অস্ত্রোপচার কার্যকরী ফলাফল বয়ে আনবে কিনা সে বিষয়েও মনোযোগ দেয়া উচিত। আরও সুনির্দিষ্ট ভাবে বলতে গেলে কোষগুলো ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা, নবগঠিত হ্রদকোষগুলো প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো মানের কিনা এবং সেগুলোর গঠন প্রক্রিয়ার মত বিভিন্ন বিষয় জানার জন্য পরীক্ষা চালাতে হবে।

    সর্বশেষ গবেষণার আর একটি সমস্যা হল রোগী ব্যতীত বিভিন্ন লোক দান করা কোষের ব্যবহার। রোগী ব্যতীত অন্যান্য লোকজন দান করা প্রাথমিক কোষগুলোকে পুনঃউৎপাদন সংশ্লিষ্ট ওষুধ তৈরির জন্য ব্যবহার করা হয়। এই ধরনের কোষ পাওয়ার ব্যাপারে জাপানে সঠিক আইনি ব্যবস্থা নেই।অঙ্গ প্রতিস্থাপন বিষয়ে জাপানে আইন থাকলেও পুনঃউৎপাদন সংশ্লিষ্ট ওষুধের বিষয়ে কোন আইনি ব্যবস্থা নেই। আমার ধারণা জনগণের সাথে বোঝাপড়া করার পর এই ধরনের ব্যবস্থা গঠন করা উচিত।নতুন চিকিৎসা ব্যবস্থা গড়ে তোলার সময় শুধুমাত্র উদ্ভাবনকারীদের চিন্তাভাবনাই নয় বরং বিভিন্ন ধরনের দৃষ্টিভঙ্গী বিবেচনা করা উচিত।

    এই ছিল আজকের সংবাদ বিশ্লেষণ। এতে আজ শুনলেন আইপিএস কোষ ব্যবহার করে হ্রদরোগের চিকিৎসা বিষয়ে জাতীয় ইনস্টিটিউট অব হেলথ সাইন্সের কোষ ভিত্তিক চিকিৎসা পণ্য বিভাগের প্রধান ইয়োজি সাতোর মতামত।

    বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি নাবি তামিজার মৃত্যু

    বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি জাপানের নাবি তাজিমা ১১৭ বছর বয়সে মারা গেলেন। শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় মারা যান এই বৃদ্ধা। গত জানুয়ারি থেকে তিনি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ছিলেন।
    তাজিমার জন্ম ১৯০০ সালের ৪ আগস্ট। তাঁর ঘরে সাত ছেলে, দুই মেয়ে রয়েছে। তাঁদের রয়েছে নাতি-পুতিসহ ১৬০ সদস্য। গত বছর সেপ্টেম্বরে জ্যামাইকার ভায়োলেট ব্রাউনের মৃত্যুর পর নাবি তাজিমা সবচেয়ে বেশি বয়সী নারীর স্বীকৃতি পান।

    পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে তারেক রহমানের লিগ্যাল নোটিশ

    বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান পাসপোর্ট জমা দিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়েছেন- পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের এমন বক্তব্যকে বানোয়াট ও অসত্য বলে দাবি করে আজ সোমবার লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। আগামী দশ দিনের মধ্যে ওই বক্তব্য প্রত্যাহার করা না হলে ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলা দায়ের করা হবে।
    নোটিশে বলা হয়েছে, তারেক রহমান তার পাসপোর্ট বর্জন করেননি। সেটি তার নিজের কাছেই রয়েছে।
    শনিবার লন্ডনে এক সভায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১২ সালে তারেক জিয়া তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে জমা দিয়ে তার বাংলাদেশি নাগরিকত্ব সারেন্ডার করেছে। সে কিভাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হয়?
    প্রতিমন্ত্রীর এ বক্তব্য দুটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হলে তা নজরে আসলে বিএনপির আইন সম্পাদক কায়সার কামালকে লিগ্যাল নোটিশ দিতে বলেন তারেক রহমান।এরপরই ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠানো হয়।

    খালেদা জিয়ার কিছু হলে সমস্ত দায় সরকারের : মির্জা ফখরুল

    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কারাবন্দী বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে সুচিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না। তার সঙ্গে দলটির সিনিয়র নেতারা ও আত্মীয় স্বজনকে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না। এটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এর পেছনে সরকারের ভয়ঙ্কর কোনো অসৎ উদ্দেশ্য আছে। আমরা তার বিনা সুচিকিৎসার কারণে অবনতিশীল শারীরিক অসুস্থতায় উদ্বিগ্ন। মিথ্যা মামলায় প্রতিহিংসার বিচারে বর্ষিয়ান একজন নেত্রীকে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
    ফখরুল সরকারকে সাবধান করে দিয়ে বলেন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে বা কোনো কিছু হলে তার সম্পূর্ণ দায়-দায়িত্ব শেখ হাসিনা সরকারের। বয়স্ক অসুস্থ একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে আর জেলে রাখবেন না।তাকে জামিন দিন।
    আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
    মির্জা ফখরুল বলেন, কারাগারে বেগম খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসা দিচ্ছে না সরকার। তার চিকিৎসা নিয়ে সরকার কূট-কৌশল করছে। তাকে নিয়মিত থেরাপি দেয়া দরকার। কিন্তু কারাগারে সেটা সম্ভব নয়। কারাগারে তাকে কোনো সুবিধাও দিচ্ছে না সরকার।
    তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সরকার কাউকে দেখা করতে দিচ্ছে না। দলের নেতারা ও আত্মীয় স্বজন কেউ দেখা করতে পারছে না। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সরকার কাউকে তার জন্য দেখা করতে দিচ্ছে না।
    তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য কারাগারে ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে বলে আমরা যে খবর পাচ্ছি, তাতে সারাদেশ জাতি উৎকন্ঠিত। গতকাল শুক্রবার তার পরিবারের সদস্যরা পূর্ব সিদ্ধান্তে সাক্ষাৎ করতে পারেননি। তার আগের তারিখে বৃহস্পতিবার আমিসহ আমাদের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও নজরুল ইসলাম খানকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে, অথচ সুস্পষ্টভাবে কোনো কারণ দেখানো হয়নি।
    জেলের ভেতর থেকে টেলিফোনের মাধ্যমে মির্জা আব্বাসকে জানান যে, আজ সম্ভব হচ্ছে না। অর্থাৎ প্রায় ১০ দিন যাবৎ পরিবারের সদস্যরা এবং দল দেশনেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পায়নি। এতে করে উদ্বেগ আরও বেড়েছে।
    বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা সংবাদপত্র সূত্রে জানতে পেরেছি যে, সরকার কর্তৃক গঠনকৃত একটি মেডিকেল টিম তাকে পরীক্ষা করতে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে প্রফেসর মালিহার রশীদের নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি মেডিকেল টিম তাকে দেখতে যান। আমরা সংবাদপত্রের মাধ্যমে আরও জানতে পেরেছি যে, তিনি বেশ কিছু ব্যাধিতে আক্রান্ত, এর মধ্যে এক্যুইট রিউমেটিক আর্থারাইটিস তাকে বেশ কষ্ট দিচ্ছে। তারা অবিলম্বে তার পছন্দনীয় হাসপাতাল ইউনাইটেড হাসপাতালে তার চিকিৎসার জন্য সুপারিশ করেছেন। বিশেষ করে কয়েকটি রক্ত পরীক্ষা এবং এম আর আই পরীক্ষা তার জন্য অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। অথচ এ ব্যাপারে কারা কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত স্পষ্টভাবে কোনো বক্তব্য আমাদের দেননি বা জাতির সামনে তুলে ধরেননি।
    তিনি বলেন, সরকারি ডাক্তারদের সুপারিশকৃত অর্থপেডিক বেডরুম তাকে সরবরাহ না করা, তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের দিয়ে তার চিকিৎসা না করানো, দলের নেতারা ও পরিবারের সদস্যদের তার সঙ্গে দেখা না করতে দেয়া অত্যন্ত হীনউদ্দেশ্যমূলক। সরকারের মন্ত্রীদের এ বিষয়ে মন্তব্য এবং কটুক্তি সব শিষ্টাচার বহির্ভূত এবং চক্রান্তের বহিঃপ্রকাশ।
    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।

    উ. কোরিয়ার প্রতিশ্রুতিতে সন্তুষ্ট নয় জাপান

    উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা ও আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ বন্ধের প্রতিশ্রুতিতে সন্তুষ্ট হতে পারছে না জাপান। শনিবার দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইৎসুনোরি ওনোদেরা একথা জানিয়ে বলেছেন, টোকিও পিয়ংইয়ংয়ের ওপর সর্বোচ্চ চাপ অব্যাহত রাখবে। খবর এএফপি’র।
    ওয়াশিংটনে জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের আরো বলেন, ‘আমরা উত্তর কোরিয়ার এই প্রতিশ্রুতিতে আশ্বস্ত হয়ে বসে থাকতে পারি না।’ ইৎসুনোরি বলেন, পিয়ংইয়ং পরমাণু অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্রের মতো গণবিধ্বংসী মরণাস্ত্র চূড়ান্তভাবে পরিত্যাগ না করা পর্যন্ত জাপান তাদের ওপর চাপ প্রয়োগের নীতি থেকে সরে আসবে না।
    উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন শনিবার এক ঘোষণায় বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও দক্ষিণ কোরিয়াকে স্বাগত জানানোর অংশ হিসেবে তার দেশ পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা ও আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ বন্ধ রাখবে। এএফপি।

    গণঅভ্যুত্থান ঘটাতে হবে -মির্জা ফখরুল

    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মানুষের মুক্তির জন্য গণ-অভ্যুত্থান ঘটাতে হবে। সরকারের বিভিন্ন রোল মডেলকে মিথ্যাচার মন্তব্য করে তিনি বলেন, এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হবে। আর মুক্তি পাওয়ার একটি পথ, সেটা হচ্ছে, জনগণ।

    তিনি বলেন, জনগণের কাছে যেতে হবে। জনগণকে জাগিয়ে তুলতে হবে। গণ-অভ্যুত্থান ঘটাতে হবে। শুধু দেশনেত্রীর মুক্তির জন নয়, এটা বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির জন্য। অন্যথায়, এই ফ্যাসিস্ট বাংলাদেশকে যে অবস্থায় নিয়ে গেছে, সেখান থেকে বের হওয়ার আসার জন্য অন্য কোন পথ আছে বলে, আমরা অন্তত মনে করি না।

    আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি’ শীর্ষক এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব বলেন।

    আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ও আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, গণ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, সহ-প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

    মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, মানুষের কাছে যাওয়া ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। মানুষের কাছে যেতে হবে। মানুষকে নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। বেগম জিয়ার সাজার বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, বলতে আমাদের কোনো দ্বিধা নেই, নিম্ন আদালতের হাকিম সাহেব অপেক্ষা করতে থাকেন, উপর থেকে কি নির্দেশ আসবে। এরপর সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। উচ্চ আদালতে, কিছুটা ভরসা ছিল যে, তারা দেখেন রায়টা ঠিক হচ্ছে কি না। কিন্তু এখন সেটাও দেখে না!

    সকল রাজনৈতিক দল ও যারা গণতন্ত্র চান তাদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আসুন, আমরা একটি ইস্যুতে একমত হই। সেটা হলো, আমরা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে চাই। এই ইস্যুতে একটি জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি হওয়া প্রয়োজন।

    কোটা সংস্কার আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে পারেন না। তিনি রাগ করে বলেছেন। উনি এটা করতে পারেন না। তার সেই এখতিয়ার নেই। এই ঘোষণাটা সংবিধানের বাইরে। আর ছাত্ররা চেয়েছিল কোটা পদ্ধতির সংস্কার।

    কিন্তু তিনি সেটা না করে কোটা পদ্ধতি উঠিয়ে দিয়েছেন! জানেন যে, এটা কোর্টে উঠলে আটকে দেয়া হবে। যার ফলে এখন পর্যন্ত গেজেট হয়নি। এখন পর্যন্ত অন্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

    বিচ্ছিন্ন আন্দোলন করে বা ছাত্রদের কিংবা একটি শ্রেণীর আন্দোলন করে কোনো লাভ হবে না মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যদি সিস্টেমের আন্দোলন না করা হয়, যদি গণতন্ত্রের আন্দোলন না করা হয়, যদি না অধিকারের জন্য আন্দোলন করা হয়।

    কারণ জনগণের প্রতিনিধিত্ব থাকলেই তো সেই সরকার জনগণের কথা চিন্তা করবে। এই কারণে আমরা বলেছি, আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার চাই। আর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে। সেই নির্বাচন অবশ্যই তত্ত্বাবধায়ক ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে। এর বাইয়ে হলে সেই নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে না।

    ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, যে নীল-নকশায় ৫ জানুয়ারির নির্বাচন করা হয়েছিল, সেই অবস্থায় এখনো পরিবর্তন হয়নি। আরো ভয়াবহ অবস্থা রয়েছে।

    দেশ এক মহা-সংকটে মন্তব্য করে তিনি বলেন, গত ২০০৮ সালের পরে যারা ক্ষমতায় আসলো এবং আসার পরে যখন তারা সব কিছু তাদের মত করে সাজিয়ে নিতে শুরু করলো, বিশেষ করে সংবিধানকে তাদের মত করে পরিবর্তন করলেন। ঠিক তখন থেকে রাজনীতির ভবিষ্যৎ মোড় পরিবর্তন হওয়া শুরু হয়েছে।

    কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে অর্থ সচিবের পদত্যাগ

    নারী সাংবাদিকদের প্রতি যৌনঘটিত মন্তব্য করাকে কেন্দ্র করে জাপানের প্রশাসনিক অর্থ সচিব পদত্যাগ করছেন।

    অর্থমন্ত্রী তারো আসো বুধবার সন্ধায় সাংবাদিকদের বলেন, তার সহকারী জুনিচিরো ফুকুদা জানিয়েছেন, তার পক্ষে দাপ্তরিক দায়িত্ব পালন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

    আসো জানান, তিনি ফুকুদার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।

    গতসপ্তাহে এক সাপ্তাহিক পত্রিকায় এই মর্মে সংবাদ পরিবেশিত হয় যে, ফুকুদা মদ্যপানকালে নারী সাংবাদিকদের প্রতি যৌনঘটিত মন্তব্য করেছেন।

    বিশ্ব অর্থনীতি বদলে দিতে পারে জাপানের এক দ্বীপের মাটি

    জাপান একটি যৌগিক আগ্নেয়গিরির দ্বীপমালা। ৬৮৫২টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত এই দ্বীপমালা। তবে জাপানের বৃহত্তম চারটি দ্বীপ হোনশু, হোক্কাইদো, ক্যুশু এবং শিকোকু দ্বীপেই রয়েছে জাপানের মোট ভূখণ্ডের ৯৭ ভাগ। অর্থাৎ অন্য দ্বীপগুলোর আয়তন খুবই কম। কিন্তু এবার জাপানের একটি ছোট্ট দ্বীপ নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে বিশ্ববাসীকে।
    কারণ এই দ্বীপের মাটিতে পাওয়া গেছে দুর্লভ ও মূল্যবান খনিজ পদার্থ। এই খনিজ পদার্থের মধ্যে রয়েছে এমন কিছু দুর্লভ খনিজ উপাদান যা ব্যবহৃত হয় স্মার্টফোন, মিসাইল সিস্টেম, রাডারের যন্ত্রপাতি এবং উন্নত প্রযুক্তির যানবাহনে।
    এসব মূল্যবান খনিজের একটি উত্তরিয়াম। ক্যামেরা লেন্স, সুপারকন্ডাকটরস এবং স্মার্টফোন তৈরিতে ব্যবহৃত হয় এই উত্তরিয়াম। গবেষকরা ধারণা করছেন, ছোট্ট এই দ্বীপে মোট ১৬ মিলিয়ন টন মাটি পাওয়া যেতে পারে। যার প্রতিটা কনাই কিনা  মহামূল্যবান। এ কারণে এই দ্বীপের মাটির অসাধারণ সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের মতে, এই মাটি-ই হতে পারে অন্যতম ‘গেম চেঞ্জার’।
    জাপানের গবেষকদের প্রকাশ করা এই প্রবন্ধে বলা হয়েছে, জাপান উপকূল থেকে ১২০০ কিলোমিটার দূরে এই দ্বীপের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই খনিজের মধ্যে রয়েছে উত্তরিয়াম, ইউরোপিয়াম, টারবিয়াম এবং ডিসপ্রোসিয়াম।
    বিশ্বকে ‘সেমি-ইনফিনিট’ সরবরাহের ক্ষেত্রে এটি হতে পারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উত্স। যদিও মার্কিন জিওলোজিক্যাল সার্ভের মতে, শোষণযোগ্য আকরিক আমানতগুলো অনেক বেশি কেন্দ্রীভূত থাকার কারণে এটি ঠিক কতটা ব্যবহার পর্যায়ে নিয়ে আসা যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। কিন্তু এই ধরনের দুর্লভ খনিজ উপাদানের উত্স পৃথিবীতে খুব কমই রয়েছে।
    ২০১৫ সালের তথ্য অনুযায়ী, প্রযুক্তির জন্য অতি প্রয়োজনীয় দুর্লভ খনিজ উপাদানের শতকরা ৯৫ ভাগই নিয়ন্ত্রণ করে চীন। জাপানের এই খনিজ উত্স চীনের সাথে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে জাপানকে দারুণভাবে এগিয়ে দেবে।
    সারা বিশ্বের দুর্লভ খনিজ উপাদানের বাজারকেও বদলে দিতে পারে জাপানের এই দ্বীপের মাটি। স্মার্টফোন, মিসাইল সিস্টেম, রাডারের যন্ত্রপাতি এবং উন্নত প্রযুক্তির এলইডির বাজারে জাপানের এই খনিজ উপাদান বিশ্ব অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।-সিএনএন

    তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও দন্ডিত ব্যক্তি তারেক রহমানকে যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে আদালতের মুখোমুখি করার অঙ্গীকার করেছেন।
    মঙ্গলবার বিকেলে এখানে ওভারসিজ ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটে (ওডিআই) ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন গল্প : নীতি, অগ্রগতি ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে মূল বক্তা হিসেবে ভাষণ দেয়ার পর প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমরা যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলছি এবং অবশ্যই একদিন আমরা তাকে দেশে ফিরিয়ে আনবো। তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
    তারেক রহমানের মতো একজন দণ্ডিত ব্যক্তিকে আশ্রয় দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্য সরকারেরও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্য একটি অবাধ স্বাধীনতার দেশ এবং এটি সত্যি যে, যে কোন ব্যক্তি এখানে আশ্রয় নিতে এবং শরণার্থী হতে পারে। তবে তারেক রহমান অপরাধের কারণে আদালত কর্তৃক একজন দণ্ডিত ব্যক্তি। আমি বুঝতে পারি না, একজন দন্ডিত ব্যক্তিকে কিভাবে যুক্তরাজ্য আশ্রয় দিয়েছে।’
    রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ মিয়ানমারের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখিয়ে আসছে।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মন্ত্রীরা উভয় দেশ সফর করেছেন। সংকটের সমাধান খুঁজে বের করতে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমারের সকল প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
    তিনি বলেন, মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আগ্রহ দেখালেও বাস্তবে তারা কিছুই করেনি। তাই আমরা চাচ্ছি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ ব্যাপারে মিয়ানমারের ওপর আরো চাপ সৃষ্টি করুক। বাসস

    চিকিৎসা পাচ্ছেন না খালেদা জিয়া -রিজভী

    বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে গুরুতর অসুস্থ হলেও তাকে কোনো চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না; এমন অভিযোগ দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর।
    তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে নিঃশেষ করার জন্যই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাকে পরিকল্পিতভাবে সাজা দিয়ে কারাবন্দী করে এখন চিকিৎসার সুযোগও দেওয়া হচ্ছে না। এটা জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করতে বহুমুখী চক্রান্তের অংশ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
    আজ রোববার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
    রিজভী অভিযোগ করে বলেন, সরকারি মেডিকেল বোর্ড মামুলি প্রহসনের এক্স-রে ও রক্ত পরীক্ষা করে ফিজিওথেরাপির সুপারিশ করেছে। একজন বয়স্ক নেত্রী যিনি দীর্ঘদিন ধরে হাঁটু ও চোখের সমস্যায় ভুগছেন; তাকে কারাগারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখায় আরও বেশকিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছে।
    খালেদা জিয়ার শারীরিক সমস্যার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, তার দুই হাঁটু প্রতিস্থাপন করা হয়েছে এবং সম্প্রতি চোখের অপারেশনও হয়েছে। এমনকি সরকারি মেডিকেলের চিকিৎসক বোর্ড বলেছে তার এক্স-রে রিপোর্টগুলোতে দেখা যাচ্ছে ঘাড়ে ও কোমরের হাড়ে সমস্যা আছে। এমন অবস্থায় আধুনিক চিকিৎসার যুগে এমআরআই-সহ উন্নত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া শুধুমাত্র এক্স-রে ও রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট ও সঠিক রোগ নির্ণয় সম্ভব নয়।
    দেশনেত্রীকে যেদিন বিএসএমএমইউ হাসপাতালে আনা হয়েছিলো সেখানে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের ডাকা হলেও তাদেরকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার সুযোগ ও পরামর্শ নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেন রিজভী।
    খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য অতি দ্রুত তার নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানিয়ে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, সরকারি হুকুমে কারসাজিমূলকভাবে খালেদা জিয়ার জামিনকে স্থগিত করা হয়েছে। এসব ঘৃণ্য চক্রান্ত বাদ দিয়ে খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান তিনি।
    এসময় রিজভী কর্তৃপক্ষকে খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতের আহ্বান জানান।