টি-২০ অধিনায়ক সাকিব

৩ বছর আগে দুই অধিনায়ক ফর্মুলাকে বেছে নিয়ে তার সুফল পেয়ে এবার তিন অধিনায়ক ফর্মূলা প্রয়োগ করলো বিসিবি। ২০১৪ সালে মুশফিকুর রহিমের হাত থেকে ওয়ানডে এবং টি-২০ অধিনায়কত্ব নিয়ে এই দুই ফরমেটের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সে দায়িত্বটা তুলে দিয়েছিল বিসিবি মাশরাফির উপর। তিন ফরমেটের ক্রিকেটে তিন অধিনায়ক চায় বিসিবি, সম্প্রতি শ্রীলংকা সফরের মাঝপথে মাশরাফিকে বিসিবি এবং টীম ম্যানেজমেন্ট তা তা জানিয়ে দিলে শুধু অধিনায়ক পদ থেকেই নয়, টি-২০ ক্রিকেটককেও আনুষ্ঠানিকভাবে গুডবাই জানিয়েছেন টি-২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফি (২৮ ম্যাচে ১০ জয়)। মাশরাফির পরিবর্তে এই ফরমেটের ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে বিসিবি’র প্রথম পছন্দ যে সাকিব আল হাসান, শ্রীলংকা বসেই মিডিয়াকে তা জানিয়ে দিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এমপি। গতকাল বিসিবি’র পরিচালনা পরিষদের সভায় টি-২০’র নাম্বার ওয়ান অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে অধিনায়ক হিসেবে মনোনীত করার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। গতকাল সভা শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতিÑ ‘সামনে পাকিস্তান আসতে পারে, এছাড়া খুব শিগগির টি-২০তে আমাদের তেমন কোনো খেলা নেই। তারপরও আজ (গতকাল) বোর্ড সভায় আমরা নতুন টি-২০ অধিনায়ক কে হবে তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সাকিব যেহেতু সহ-অধিনায়ক ছিল, এমনিতেই ওর নাম চলে এসেছে। তাছাড়া অন্য নামও ছিল। তবে সব দিক বিবেচনা করে সবার চেয়ে এগিয়ে গেছে। ওর পারফরম্যান্স এখন অসাধারণ। অসাধারণ ক্রিকেট খেলছে সে।’
দ্বিতীয় মেয়াদে পেলেন তিনি এই দায়িত্ব। মাশরাফির ইনজুরিতে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে এর আগেও করেছেন টি-২০তে সাকিব অধিনায়কত্ব। তবে টি-২০ অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্বের প্রথম মেয়াদে তার রেকর্ড মোটেও ভাল নয়। ২০০৯ ও ২০১০ সালে ৪ ম্যাচের ক্যাপ্টেনসিতে সব ক’টি ম্যাচেই বাংলাদেশ হেরে গেছে।