১৭ দেশের ডিমে বিষাক্ত পদার্থের সন্ধান: ইউরোপেরই ১৫ দেশ
ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, ইউরোপের ১৫টি দেশ এবং হংকং ও সুইজারল্যান্ডের ডিমে বিষাক্ত পদার্থ পাওয়া গেছে। ডিমে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ফিপ্রোনিল থাকার বিষয়টি চলতি মাসেই জানান বেলজিয়ামের কর্মকর্তারা। গত জুনেই তারা বিষয়টি জানতে পারলেও গোপন রাখেন। কমিশন জানিয়েছে, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে বৈঠক করা হবে। তবে একে অপরের ওপর দোষ না চাপানোর আহবান জানিয়েছেন কমিশনের খাদ্য নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান। খবর বিবিসি
বেলজিয়ামের কর্মকর্তারা স্বীকার করেছিলেন, নেদারল্যান্ডসের ফার্ম থেকে পাঠানো ডিমে বিষ থাকতে পারে, যা কীটনাশক জাতীয় বিষ হতে পারে। এমনটি তারা জুন মাসেই জানতেন। কিন্তু বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছিল। যদিও জালিয়াতির আশংকা মাথায় রেখে তদন্তের কাজ শুরু করেছিল কর্তৃপক্ষ। দেশটির খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থার মুখপাত্র ক্যাটরেইন স্ট্রাগিয়ার জানিয়েছিলেন, ডিমে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ফিপ্রোনিল থাকার বিষয়টি গত জুন থেকেই জানা যায়। তখন এ বিষয়টি প্রকাশ না করে দ্রুত তদন্ত শুরু করা হয়। ফিপ্রোনিল নামের ওই বিষাক্ত রাসায়নিক মানুষের শরীরে ঢুকলে কিডনি, লিভার ও থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের ক্ষতি হতে পারে। ফিপ্রোনিল পোল্ট্রি জাতীয় প্রাণীর চামড়ার উকুন এবং অন্যান্য কীট মারার জন্য ব্যবহার করা হয়। প্রশ্ন উঠেছে, বেলজিয়াম এবং নেদারল্যান্ডস কর্তৃপক্ষ কতদিন ধরে ডিমের তথ্য লুকিয়ে রেখেছিল।
ইউরোপীয় কমিশনের মুখপাত্র ড্যানিয়েল রোসারিও জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, জার্মানি এবং ফ্রান্সে অনেকগুলো ফার্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ইইউভুক্ত যুক্তরাজ্য, সুইডেন, অস্ট্রিয়া, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, লুক্সেমবার্গ, পোল্যান্ড, রোমানিয়া, স্লোভেনিয়া, স্লোভাকিয়া এবং ডেনমার্ক ছাড়াও ইইউভুক্ত নয় এমন দেশ সুইজারল্যান্ড এবং হংকংয়ের ডিমে বিষাক্ত পদার্থ পাওয়া গেছে। বেলজিয়াম, জার্মানি ও নেদারল্যান্ডসের সুপারমার্কেট থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে ফিপ্রোনিলযুক্ত কোটি কোটি বিষাক্ত ডিম।
জার্মানিতে ধ্বংস করা হয়েছে এক কোটি ডিম। ইউরোপে ডিমের সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক দেশ নেদারল্যান্ডস। প্রতি বছর প্রায় এক হাজার কোটির মতো ডিম উত্পাদন করে দেশটি। এর মধ্যে ৬৫ শতাংশই রপ্তানি হয় ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।