৪৩ রানের লিড পেল বাংলাদেশ : সাকিব পেলেন ৫ উইকেট

চা–বিরতির ঠিক পরপরই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের বলে বোল্ড হলেন প্যাট কামিন্স। ভাঙল অ্যাগারের সঙ্গে নবম উইকেটে তাঁর ৪৯ রানের জুটি। একটু পরে হ্যাজলউডের উইকেটও তাঁর । ১৬তম বারের মতো ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেলেন সাকিব। তাতেই ২১৭ রানে অলআউট হলো অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের লিড ৪৩ রানের।
এই সাকিবের বলেই মুশফিকুর রহিম যখন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে স্ট্যাম্পিঙয়ের ফাঁদে ফেলেছিলেন, তখন অস্ট্রেলিয়া ১৪৪/৮। বাংলাদেশ এগিয়ে ছিল ১১৬ রানে। শেষ ২ উইকেট বাংলাদেশি বোলাররা কতক্ষণে তুলে নেবেন—ভাবনাটাও ছিল এমনই। কিন্তু প্যাট কামিন্স আর অ্যাশটন অ্যাগার সেই ভাবনাটারই মোড় ঘুরিয়ে দেন দুশ্চিন্তা আর হতাশার দিকে।
অ্যাগার অবশ্য অপরাজিত আছেন ৩২ রানে। অ্যাগার ব্যাটিংটা যে ভালো পারেন, সেটি জানা ছিলই। অভিষেকেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৮ রানের একটা ইনিংস খেলে ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। তিন বছর বিরতি দিয়ে টেস্ট খেলতে নেমে দলের বিপর্যয়ের মধ্যে ব্যাটিং-প্রতিভাটা আবারও প্রমাণ করলেন তিনি।
অ্যাগার–কামিন্স জুটি এত বড় হওয়ার কোনো কারণ ছিল না। সাকিবের বলে কামিন্স খুব সহজ ক্যাচ দিয়েছিলেন, কিন্তু সেই ক্যাচ হাতে নিয়েও তা ফেলে দেন শফিউল। কামিন্সের রান তখন ১১। সেই ব্যর্থতার খেসারতটা এখন ভালোভাবেই দিচ্ছে বাংলাদেশ। শফিউল অবশ্য ক্যাচ ফেলার দুঃখটা ভোলার একটা সুযোগ পেয়েছিলেন। তার বলেই কামিন্সের বিপক্ষে কট বিহাইন্ডের আবেদনে সাঁয় দিয়েছিলেন আম্পায়ার আলিম দার। কিন্তু রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান তিনি।
হ্যান্ডসকম্বকে ফেরানোর পর তাইজুল।
এর আগে মিরাজের বলে এলবিডব্লু হন ম্যাথু ওয়েড। ম্যাট রেনশ আর পিটার হ্যান্ডসকম্বের জুটিটা চোখ রাঙাচ্ছিল। ৬৯ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয়টা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। কিন্তু হ্যান্ডসকম্বকে ফিরিয়ে বাংলাদেশ-শিবিরে স্বস্তি ফেরান তাইজুল। ব্যক্তিগত ৩৩ রানে তাইজুলের বলে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন হ্যান্ডসকম্ব। এর কিছুক্ষণ পরই সাকিব আল হাসানের বলে স্লিপে সৌম্য সরকারের ক্যাচ হন অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৪৫ রান করা রেনশ।
১৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে প্রথম দিন শেষ কাঁপতে থাকা অস্ট্রেলিয়ার বিপদটা দ্বিতীয় দিন সকালে আরও বাড়ে অধিনায়ক স্মিথের ফেরায়। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে একটু এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে ব্যাট-প্যাডের ফাঁক দিয়ে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ৮ রানে আউট হন তিনি।
বাংলাদেশের পক্ষে সফল স্পিনাররাই। মিরাজ ও সাকিব দুজনেই নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। তাইজুল তুলে নিয়েছেন একটি।