জাপানে জেলহত্যা দিবস পালন

জাপানের রাজধানী টোকিওতে বাংলাদেশের ইতিহাসের কলঙ্কিত দিন জেলহত্যা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল রোববার (৬ নভেম্বর) টোকিওর কিতা কু-র তাকিনাগাওয়া বুনকা সেন্টারে দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাপান শাখা এই দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করে।

এক মিনিটের নীরবতা পালন ও মোনাজাতের মাধ্যমে জেলহত্যা দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হয়। মোনাজাতে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাসহ সকল শহীদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন নাজমুল হোসেন, আবদুল কুদ্দুস, শাহ আলম, মাহবুব হাসান, চৌধুরী সাইফুর রহমান, রায়হান কবির ভূঁইয়া, টি এম ফারুক, মাসুদ আলম, মোল্লা ওয়াহিদ, রায়হান হোসেন, কাজী মাসুদ, আবু রায়হান ও ডা. মো. খলিলুর রহমান প্রমুখ। আমন্ত্রিত হিসেবে প্রবাসী সাংবাদিক ইমদাদুল হক, রাহমান মনি, কাজী ইনসানুল হকসহ অনেক প্রবাসী উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে থেকে কয়েকজন বক্তব্যও দেন।

আলোচকেরামঞ্চে ছিলেন সংগঠনের সভাপতি ছালেহ মোহাম্মদ আরিফ, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আসলাম হীরা ও সহসভাপতি হারুনুর রশিদ। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুর রহমান।
বক্তারা বলেন, ৩ নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি কলঙ্কিত দিন। এদিন জেলের নিরাপদ আশ্রয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে।
দলীয় নেতারা জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি এখনকার হাইব্রিড আওয়ামী লীগারদের ব্যাপারে দলীয় নেতা-কর্মীদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে বলেন। তাঁরা বলেন, ক্ষমতার সুযোগ নিতে দেশে ও জাপানসহ বিভিন্ন দেশে প্রবাসীদের মধ্যে নতুন আওয়ামী লীগার সৃষ্টি হয়েছে। এরা প্রবাস ছেড়ে এখন ঢাকায় হালুয়া রুটির ধান্দায় ব্যস্ত।

উপস্থিতির একাংশতাঁরা আরও বলেন, দেশকে মর্যাদাবান একটি পরিচয়ে পরিচিত করতে দেশে ও প্রবাসেও আমাদের ভালো ভূমিকা রাখতে হবে। খবর বিজ্ঞপ্তির।