• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • একমাত্র ছেলে মাওলানা হওয়ায় হতাশ দাউদ ইব্রাহিম!

    ভারতের কুখ্যাত সন্ত্রাসী দাউদ ইব্রাহিম তার একমাত্র ছেলে মঈন নাওয়াজ ডি কাসকার ধর্মে মনপ্রান দেয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন। ৩১ বছর বয়সী মঈন নাওয়াজ মনপ্রাণ ইসলামের সেবায় সমর্পণ করে একজন শিক্ষক ও ধর্মপ্রচারক হতে মনস্থির করেছেন।
    মহারাষ্ট্রের থানে এলাকার শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা প্রদীপ শর্মা বলেছেন, মঈন তার বাবার বেআইনি কর্মকাণ্ডের প্রচণ্ড বিরোধী। তার বাবার ক্রিয়াকলাপের জন্যই দাউদ ইব্রাহিম পরিবার বিশ্বজুড়ে ফেরারি আসামিতে পরিণত। গত সেপ্টেম্বরে দাউদ ইব্রাহিমের ছোট ভাই ইকবাল ইব্রাহিম কাসকার গ্রেফতার হওয়ার পরে জিজ্ঞাসাবাদে এই কথা জানিয়েছেন।
    ইকবাল জানিয়েছেন, দাউদের পরে কে তার অপরাধ সাম্রাজ্যের দেখভাল করবে সেটা নিয়ে তিনি খুব চিন্তিত। এছাড়া তার অন্য আরেক ভাই আনিস ইব্রাহিম কাসকারের শারীরিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় সেটা নিয়ে আরো দুশ্চিন্তা বেড়েছে। মহারাষ্ট্র পুলিশের ‘এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট’ বলে খ্যাত মাফিয়া লর্ডদের ভয়ের উৎস পুলিশ কর্মকর্তা প্রদীপ বলেন, মঈন বলতে গেলে বাবা ও তার অবৈধ ব্যবসা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা রয়েছে। তবে এটা জানা যায়নি সে এখন বাবার সঙ্গে কথা বলেনি।
    ইকবাল কাসকার জানিয়েছেন, তার ভাতিজা একজন সম্মানিত ও গুণী মাওলানা যিনি কোরান হিফজ করেছেন। তিনি পাকিস্তানের করাচিতে দাউদের প্রাসাদতুল্য বাড়ি ছেড়ে মসজিদের দেয়া একটি ছোট কোয়ার্টারে সহজ সরল জীবনযাপন করছেন। সেখানে তার স্ত্রী  সানিয়া ও তিন সন্তানও তার সঙ্গে থাকছে। উল্লেখ্য, দাউদ ইব্রাহিমের স্ত্রী সানিয়া শেখ ধনাঢ্য পরিবারের মেয়ে যাদের পাকিস্তান ও যুক্তরাজ্যে বড় ব্যবসা রয়েছে। মসজিদের শিশুদের মঈন কোরান ও ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলো শিক্ষা দেন।
    প্রদীপ শর্মা বলেন, এটা পরিষ্কার যে মঈন চাইলেই তার বাবার আইনি ও বেআইনি সম্পদের মালিক হতে পারতেন। কিন্তু তিনি বিলাসী জীবন বর্জন করে স্রষ্টার কাছে নিজেকে সমর্পণ করেছেন। শুরুর দিকে ব্যবসায় ব্যবস্থাপনায় স্নাতক মঈন তার বাবার কাছে সহায়তা করত, কিন্তু আল্লাহর ডাকে সেখান থেকে ধীরে ধীরে সরে গেছেন।
    মঈনের আরো দুই বোন আছে, যাদের মধ্যে মাহরুখের বিয়ে হয়েছে পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াদাদের ছেলে জুনাইদের সঙ্গে। এছাড়া আরেক বোন মাহরীনের বিয়ে হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে। ইকবাল কাসাকার জানিয়েছেন, দাউদ ইব্রাহিম সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এবং বর্তমানে করাচিতে পাকিস্তানের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর নিরাপত্তায় সেখানে অবস্থান করছেন। তদন্তকারীদের ধারণা ইকবাল তার পরিবারের এই বিব্রতকর পরিস্থিতি সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানাবেন এবং এর ভবিষ্যত কর্মকাণ্ড সম্পর্কেও ধারণা দেবেন। এনডিটিভি।

    গভীর খাদের কিনারে আমাদের গণতন্ত্র: খালেদা জিয়া

    বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, আমাদের গণতন্ত্র আবারও গভীর খাদের কিনারে গিয়ে পড়েছে। ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আবারও গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় দু:শাসনের করাল গ্রাসে গিলে ফেলা হয়েছে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা। গণতন্ত্রের শত্রুরা গণতন্ত্রের সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে ফেলেছে। মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। মানুষের জীবন এখন দুঃর্বিষহ। গণতন্ত্র ধ্বংসকারী অপশক্তিগুলোর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিতে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গণতন্ত্রকে মজবুত ভীতের ওপর দাঁড় করাতে হবে। শহীদ ডা. মিলন দিবস উপলক্ষে রবিবার বেগম খালেদা জিয়া এক বাণীতে একথা বলেন।
    বেগম জিয়া বলেন, শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন সামরিক শাসন বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় নাম। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন চলাকালে ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর তৎকালীন স্বৈরাচারী সরকারের লেলিয়ে দেয়া পেটোয়া বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন তিনি। তাঁর শাহাদৎ বার্ষিকীতে আমি তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করি। একনায়কতান্ত্রিক দুঃশাসনের শৃঙ্খল থেকে গণতন্ত্রকে উদ্ধার করতে গিয়েই শহীদ হয়েছেন ডা. শামসুল আলম খান মিলন। গণতন্ত্রের জন্য তাঁর এই সর্বোচ্চ আত্মদান এদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। সকল কর্তৃত্ববাদী, স্বৈরাচারী গণতন্ত্র বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে ডা. মিলন আমাদের অবিরাম প্রেরণার উৎস।
    এদিকে সোমবার সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে বিএনপি এবং ৯০’র ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের উদ্যোগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে অবস্থিত শহীদ ডা. শামসুল আলম মিলন এর মাজার এবং টিএসসি মোড়ে মিলন চত্বরে সকাল ৮টায় পুস্পার্ঘ্য অর্পণ করা হবে।