৬ বছর নির্বাসনে কাটিয়ে ফিরছে আজ সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠ ওয়ানডে আয়োজনে। যে ভেন্যুতে বাংলাদেশের দুর্বিষহ অতীতের ( ১০ ম্যাচে ৯ হার) বিপরীতে শ্রীলংকার সাফল্য বলার মতো। নিজেদের প্রথম ওয়ানডে জয়ের এই ভেন্যুতে ৩৮ ম্যাচে ২২ জয়ে পয়মন্ত সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠটিই উল্টো স্বাগতিক দলকে আজ ফেলে দিয়েছে বড় পরীক্ষায়। ঘরের মাঠে ২০০৬’র পর জয়শুন্য থাকেনি শ্রীলংকার কোন ওয়ানডে সিরিজ। ০-১ এ পিছিয়ে থেকে সিরিজটি ড্র’য়ে নিস্পত্তি করতে হলে জয় ছাড়া অন্য কোন পথ খোলা নেই শ্রীলংকার, সেখানে সিরিজ হারের কোন শঙ্কা নেই বাংলাদেশের। সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতে ওয়ানডে র্যাঙ্কিং পয়েন্ট ২ বাড়িয়ে নিয়েছে বাংলাদেশ, আজ জিতলে আরো ২ পয়েন্ট হবে যুক্ত। ইতিহাস রচনার ম্যাচে এসব সমীকরণও মেলাতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।
এগিয়ে থাকা সিরিজের ট্রফি জয়ের ছক আঁকছেন মাশরাফি। পরিকল্পিত ক্রিকেট খেলাকেই দিচ্ছেন অগ্রাধিকারÑ ‘এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি ম্যাচ। আমরা নিজেদের সেরা চেষ্টা করবো। আশা করি, পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারব। জিততে পারলে খুবই ভালো লাগবে। তার জন্য আমাদের খুব ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে।’
প্রথম ম্যাচে তিন ডিপার্টমেন্ট আশ্বস্ত করেছে মাশরাফিকে। দ্বিতীয় ম্যাচে বোলারদের বোলিংয়ে প্রতিপক্ষ বাড়তি কিছু রান পাওয়ায় আজ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চোখ মাশরাফিরÑ ‘শেষ ম্যাচে ওরা কিন্তু তিনশ’ প্লাস স্কোর করেছে। ওখান থেকে আরো ২০/২৫ রান কমানোর চেষ্টা করতে হবে। এমন কিছু করতে পারলে আমাদের জন্য কাজটা সহজ হবে।’
সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ফ্লাড লইটের সুবিধা না থাকায় দিনে-দিনেই খেলাটি হবে সম্পন্ন। মাশরাফির গেমপ্লান তাই সহজ করে দিয়েছে। এই মাঠে হয়ে যাওয়া ৬৩ ম্যাচে ৩’শ প্লাস স্কোর মাত্র ২টি। এই অতীতও মাশরাফিকে অনেকটা নির্ভার রাখছেÑ ‘এখানে ডে ম্যাচে খেলব আমরা। তাই দুর্ভাবনা থাকবে না। শুনেছি ২৭০-২৮০ এখানে গড় স্কোর। আমাদের চেষ্টা থাকবে শ্রীলঙ্কাকে তিনশ’র নিচেওদেরকে আটকে রাখতে।’ সিনিয়ররা যথাযথভাবে পালন করছে দায়িত্ব, জুনিয়রদের পারফরমেন্স বাড়িয়ে দিচ্ছে তাদের উপর প্রত্যাশা। মাশরাফিও তাকিয়ে দলের কনিষ্ঠ ক্রিকেটারদের দিকেÑ ‘জুনিয়রদেরও দায়িত্ব আছে, তাদের কাছেও অনেক প্রত্যাশা আছে। ওরা যেভাবে খেলছে, এটা দারুণ। আমরা চাইবো ওরা যেন বারবার এর পুনরাবৃত্তি করে।’