• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • লরি শোকে কাঁদছে ফুটবলবিশ্ব

    মাত্র ৬ বছরের আয়ু নিয়ে এই দুনিয়ায় এসেছিল ব্র্যাডলি লরি। কাল সে চলে গেল না–ফেরার দেশে। মাত্র ১৮ মাস বয়সে শরীরে প্রাণঘাতী ক্যানসার বাসা বাঁধার পর ফুটবল দুনিয়ার গভীর সখ্য গড়ে উঠেছিল ফুটবল-অন্তঃপ্রাণ শিশুটির সঙ্গে। কিন্তু সেই ভালোবাসার বাঁধনটা ছিঁড়তেই হলো শেষ পর্যন্ত।
    লরির মৃত্যু হয়েছে মা-বাবার কোলেই। খবরটা তাঁরাই জানিয়েছেন ফেসবুকে। সান্ডারল্যান্ডের সমর্থক লরির চিকিৎসার জন্য উঠেছিল লাখ লাখ পাউন্ড। সবার কায়মনো-প্রার্থনা ছিল, বিধাতা যেন তাঁর শক্তির বলে সুস্থ করে দেন মায়াভরা চোখের এই শিশুকে। কিন্তু ক্যানসার তাকে ছিনিয়েই নিয়ে গেল জোর করেই, সবার ভালোবাসার মাঝখান থেকে। ইংল্যান্ড ছাড়িয়ে পুরো ফুটবল বিশ্বই ভালোবেসে ফেলেছিল এই সান্ডারল্যান্ড-ভক্তকে। বিশেষকরে সান্ডারল্যান্ড দলের ইংলিশ তারকা জারমেইন ডিফো। তার সঙ্গে ছোট্ট লরির সাক্ষাৎ হবার পর থেকেই প্রতিনিয়ত খোঁজ রেখেছেন তার চিকিৎসার, দেখতে গেছেন হাসপাতালে। ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ হিসেবে প্রায়শই তাদের দু’জনকে দেখা গেছে মাঠে। এসব এখন শুধু স্মৃতি হয়েই থাকবে ভেঙ্গে পড়া ডিফোর মনে। চিকিৎসকেরা অনেক চেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু ক্যানসার যে প্রাণঘাতী হয়েই বাসা বেঁধেছিল ছোট্ট লরির শরীরে।
    লরির জন্য গত মৌসুমে বিশেষ আয়োজন হয়েছিল সান্ডারল্যান্ড-এভারটন ম্যাচে। ছোট্ট শিশুটির নামে সেদিন ¯েøাগান তুলে গ্যালারি মুখর করেছিলেন দর্শকেরা। সান্ডারল্যান্ডের জার্সি পরে মাঠে নেমে সে একটি ‘গোল’ও করেছিল। পেনাল্টি থেকে পরাস্ত করেছিল এভারটনের গোলকিপার বোগোভিচকে। পুরোটাই ছিল লরির জন্য এক আনন্দ আয়োজন। সেই আয়োজন লরি উপভোগ করেছিল, কিন্তু ফুঁপিয়ে কেঁদেছিল গোটা গ্যালারি। সান্ডারল্যান্ড কিংবা এভারটনের সব ফুটবলার তাকে কোলে নিয়ে আদর করেছিলেন। গ্যালারিতে উঠেছিল প্রার্থনা- সৃষ্টিকর্তা যেন ক্যানসার সারিয়ে মা-বাবার কোলে ফিরিয়ে দেন লরিকে। এই তো সেদিন ইংল্যান্ড-লিথুনিয়া ম্যাচেও সে মাঠে নেমেছিল। কিন্তু সবাইকে কাঁদিয়ে সে এখন দূর আকাশের তারা।

    জাপানে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫

    জাপানে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫
    জাপানের দক্ষিণাঞ্চলে ভারী বর্ষণ ও বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। শনিবার দেশটির গণমাধ্যম একথা জানিয়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া অঞ্চলের মানুষকে উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকারীরা।
    টানা বৃষ্টিপাতের কারণে নদীর পানি বেড়ে দু’কুল উপচে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে এবং জাপানের দক্ষিণ প্রান্তের চারটি প্রধান দ্বীপের অন্যতম কিউশু কাদাপানিতে সয়লাব হয়ে গেছে। প্রাকৃতিক এ দুর্যোগের কারণে পথঘাট ভেসে গেছে এবং বাড়ি-ঘর ও কয়েকটি স্কুল ধ্বংস হয়ে গেছে। জিজি প্রেস জানিয়েছে, নিখোঁজ লোকদের সন্ধান করতে ও আটকা পড়া মানুষকে উদ্ধারে কয়েক হাজার উদ্ধারকর্মীকে ভারী কাদা ও বৃষ্টির সঙ্গে লড়তে হচ্ছে। এখনো ৬শ’র বেশি লোক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
    জিজি প্রেস ও সরকারি সংবাদ সম্প্রচারকারী সংস্থা এনএইচকে জানিয়েছে, আরো কয়েকটি লাশ উদ্ধার করায় মৃতের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এর আগে শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বন্যায় সাতজন মারা গেছে ও ২২ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানায়। পার্বত্যাঞ্চলের পুরু কাদার স্তর ও ভেজা পথঘাটের পাশাপাশি সেতু ভেঙ্গে যাওয়ায় উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে। তবে জাপান সরকার উদ্ধার অভিযানে প্রায় ১২ হাজার পুলিশ, সেনা, দমকল কর্মী ও কোস্টগার্ড সদস্যদের মোতায়েন করেছে।
    বৃষ্টিপাত ও বন্যায় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত ফুকুওকা এলাকার আসাকুরা নগরীর বাড়িঘরের ওপর গাছ উপড়ে পড়েছে। এখানে বুধবার রাত পর্যন্ত ১২ ঘণ্টায় ৫০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। শুক্রবার আসাকুরার বাসিন্দা কায়োকো ইশিবাশি বলেন, ‘আমার বাবা-মা আরো ১৬ জনের সঙ্গে এখনো কুরোগাওয়া এলাকায় আটকা পড়ে আছেন। সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না।’ আতঙ্কিত এই নারী আরো বলেন, ‘এখন আমি শুধু আশা করতে পারি, হেলিকপ্টারে করে উদ্ধারকারীরা আমাদের উদ্ধার করবেন।’ এএফপি।