• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • শাওয়ালের ছয়টি নফল রোজার সওয়াব:  অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান
    অল্পসংখ্যক নেকআমলের বিনিময়ে আল্লাহর অসীম দয়া ও অনুগ্রহের পাত্র হওয়ার জন্য নবী করিম (স)-এর মুখ নিঃসৃত অমিয় বাণীতে প্রদত্ত উত্তম পন্থাসমূহ থেকে একটি অতি সহজ পন্থা হলো শাওয়াল মাসের ছয়টি নফল বা ঐচ্ছিক সিয়াম পালন। বান্দা যখন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এই ছয়টি নফল রোজা রাখবে, তখন আল্লাহ তাকে পূর্ণ একটি বছর রোজা রাখার সওয়াব দিয়ে দেবেন। রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখল, অতঃপর তার সঙ্গে সঙ্গে শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা রাখল, সে যেন পূর্ণবছরই রোজা রাখল।’ (মুসলিম: ১১৬৪)
    শাওয়াল মাসের ছয়টি নফল রোজা পালন সারাটি বছর রোজা রাখার সওয়াব প্রাপ্তির এমনি একটি পরম সুবর্ণ সুযোগ এনে দেয়। হাদিস শরিফে উল্লেখ আছে যে, ‘রমজানের রোজা ১০ মাসের রোজার সমতুল্য আর (শাওয়ালের) ছয় রোজা দুই মাসের রোজার সমান; এই হলো এক বছরের রোজা।’ অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘যে ব্যক্তি রমজানের  রোজা শেষ করে ছয় দিন রোজা রাখবে, সেটা তার জন্য পুরো বছর রোজা রাখার সমতুল্য।’ (আহমাদ: ৫/২৮০, দারেমি: ১৭৫৫)
    জাগতিক কল্যাণকর কাজে মানুষের প্রতিযোগিতাস্বরূপ শাওয়ালের ছয়টি নফল সিয়াম পালনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা মুস্তাহাব বা পছন্দনীয়। মাহে রমজানের পরবর্তী মাস শাওয়ালের মধ্যে ছয়টি রোজা রাখার ফজিলত কতই না মহান! কোনো ঈমানদারের পক্ষে সহজেই সম্ভব নয় এক বছর লাগাতার রোজা রাখা। অথচ এই নেকআমলটা বিরাট ফজিলতসম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও তা সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব। একদিন রাসূলুল্লাহ (স)-কে সারা বছর সিয়াম পালন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, ‘নিঃসন্দেহে তোমার ওপর তোমার পরিবার-পরিজনের হক বা অধিকার রয়েছে। অতঃপর তিনি বললেন, মাহে রমজানের এবং তার পরবর্তী দিনগুলোরও প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবারে রোজা রাখবে। সুতরাং যখন তুমি এই রোজাগুলো রাখবে তখন যেন তুমি সারাটা বছরই রোজা রাখলে।’ নবী করিম (স) বলেছেন, ‘আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় হজরত দাউদ (আ)-এর রোজা। তিনি এক দিন রোজা রাখতেন এবং এক দিন বিনা রোজায় থাকতেন।’ (বুখারি ও মুসলিম)
    বান্দার ওপর আল্লাহ কতই না পরম দয়ালু ও অশেষ মেহেরবান যে তিনি অল্প আমলের বিনিময়ে অধিক সওয়াব দেবেন। বান্দা যখন আল্লাহর প্রেমে বিভোর হয়ে তাঁর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে সামান্যতম আমল তাঁর দরবারে পেশ করে, আল্লাহ তখন বান্দার এই আমলকে ১০ গুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেন। আল্লাহর পরম দয়া ও অনুগ্রহ বান্দারা তখনই লাভ করবেন যখন তারা নেকআমল করবেন। তাই মুসলমানরা যেন আল্লাহর খাস রহমতকে হাতছাড়া না করেন, বরং অল্প নেকআমলের বিনিময়েই যেন আল্লাহর অফুরন্ত দয়া ও অশেষ অনুগ্রহের অধিকারী হয়ে যান। সৎকর্ম সম্পাদনের প্রতিফল সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন, ‘কেউ কোনো সৎকর্ম করলে সে তার ১০ গুণ পাবে এবং কেউ কোনো অসৎকাজ করলে তাকে শুধু তারই প্রতিদান দেওয়া হবে।’ (সূরা আল-আনআম, আয়াত: ১৬) অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, ‘অনন্তর কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে তা দেখতে পাবে এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করলে তাও দেখতে পাবে।’ (সূরা আয-যিলজাল, আয়াত: ৭-৮)
    শাওয়ালের ঐচ্ছিক রোজা মাসের শুরু থেকে শেষ সময় পর্যন্ত পালন করা যাবে। ধারাবাহিক ও অধারাবাহিক যেভাবেই হোক না কেন, রোজাদার অবশ্যই এর সওয়াবের অধিকারী হবেন যদি আল্লাহর দরবারে রোজা কবুল হয়। তবে যার ওপর মাহে রমজানের রোজা কাজা আছে, সেই ব্যক্তি আগে কাজা আদায় করবেন, তারপর শাওয়ালের ঐচ্ছিক সিয়াম পালনে ব্রতী হবেন। কারণ, ওয়াজিব আদায়ের দায়িত্ব পালন নফল আদায়ের চেয়ে অধিক গুরুত্ব রাখে। রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, ‘যে মাহে রমজানের পূর্ণ রোজা রাখবে, আর যার ওপর কাজা রয়ে গেছে সে তো রোজা পুরো করেছে বলে গণ্য হবে না যতক্ষণ ওই রোজাগুলোর কাজা আদায় না করে।’ (মুগনি: ৪/৪৪০)
    রাসূলুল্লাহ (স) ফরজের আগে-পরে সুন্নত ও নফল প্রবর্তন করেছেন। যেমন- ফরজ নামাজের পূর্বাপর সুন্নতগুলো এবং মাহে রমজানের আগে ফজিলতময় শাবানের ঐচ্ছিক রোজা আর পরে বরকতময় শাওয়ালের নফল সিয়াম। এই নফল ইবাদতগুলো ফরজের ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলোর ক্ষতিপূরণ করে দেয়। কারণ রোজাদার কখনো অনর্থক বাক্যালাপ, কুদৃষ্টি প্রভৃতি খারাপ ও পাপকাজ থেকে সম্পূর্ণরূপে বাঁচতে পারে না, যা তার রোজার সওয়াব কমিয়ে দেয়। একজন মুমিন বান্দা যেন রমজান-পরবর্তী দৈনন্দিন জীবনে ইসলামের শিক্ষা অনুসারে সর্বাবস্থায় মিথ্যাচার, পরচর্চা-পরনিন্দা, লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষ, প্রতারণা-প্রবঞ্চনা, কপটতা-অসাধুতা, সুদ-ঘুষ, দুর্নীতিপরায়ণতা, আত্মকলহ, ঝগড়া-বিবাদ, সন্ত্রাস-সহিংসতা ইত্যাদি সামাজিক অনাচার জাতীয় শরিয়ত-গর্হিত ও অবৈধ কর্মকাণ্ড পরিহার করে আত্মসংযমী হন। কেউ যদি পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায়, সহিহ-শুদ্ধভাবে ফরজ ও নফল সিয়াম পালন এবং পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজকার, দোয়া-দরুদ, তওবা-ইস্তিগফার— এসব ইবাদতের মধ্য দিয়ে প্রাত্যহিক দিন অতিবাহিত করেন, তাহলে নিঃসন্দেহে তিনি পরম করুণাময় আল্লাহর একজন খাঁটি আবেদ বা প্রিয় মকবুল বান্দা হিসেবে ইহকাল ও পরকালে সফলকাম হবেন!
    লেখক: পরিচালক, এশিয়ান ইন্সটিটিউট, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। সম্পাদক, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি বার্তা
     
    হলি আর্টিজানে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা
    গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার এক বছর পূর্ণ হওয়ায় সেখানে জঙ্গিদের হাতে নিহত দেশি-বিদেশিদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। গতকাল শনিবার সকাল থেকে গুলশানের ৭৯ নম্বর রোডের এ রেস্তোরাঁয় নিহতদের শ্রদ্ধা জানাতে আসেন বিদেশি কূটনীতিক, উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও নিহতদের পরিবারের স্বজনসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এক বছর আগে যে স্থানে জঙ্গি হামলায় নিহত হয়েছিলেন ২২ জন, গুলশানের সেই ভবনে ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হল তাদের।
    সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবে ও দেশটির আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা জাইকার বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর মিকিও হাতায়েদা ওই ভবনে গিয়ে ফুল দিয়ে স্মরণ করেন নিহতদের। সকাল ১১টার দিকে ফুল দিতে যান ঢাকায় ইতালির রাষ্ট্রদূত মারিও পালমাসহ দূতাবাসের কর্মকর্তারা। ফুল দেয়ার পর একটি শোকবাণী পাঠ করেন ইতালি দূতাবাসের কর্মকর্তা। এসময় কয়েকজন কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। ফুল দিয়ে পুলিশ পাহারায় তারা চলে যান। জঙ্গি হামলায় নিহতদের মধ্যে ১৭ জন ছিলেন বিদেশি; তার মধ্যে নয়জন ছিলেন ইতালির, সাতজন ছিলেন জাপানি। নিহত জাপানিরা বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ করছিলেন। সকালে সাংবাদিকদের হলি আর্টিজানের ফটকের সামনে যেতে দেয়া না হলেও পরে সেখানে তাদের ঢুকতে দেয়া হয়। এর কারণ ব্যাখ্যা করে ডিএমপির উপকমিশনার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, বিদেশিদের অনুরোধ ছিল, তাদের ছবি তোলা যাবে না। সকাল ১১টার আগে শ্রদ্ধা মঞ্চে ফুল দেয়া হয় বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত আইজি মোখলেছুর রহমানের নেতৃত্বে। সেদিন হামলা ঠেকাতে গিয়ে এখানে নিহত হয়েছিলেন পুলিশের সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম ও পরিদর্শক সালাউদ্দিন। পুলিশ কর্মকর্তা মোখলেছুর গুলশান হামলার ঘটনাটিকে একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’ উল্লেখ করে সাংবাদিকদের বলেন, সে ঘটনার পর জঙ্গিবাদের যে ব্যাপকতা দেখা গিয়েছিল, তা মোকাবেলা করতে পেরেছি। আমরা এমন ঘটনার সঙ্গে পরিচিত ছিলাম না। আমরা সেদিন তাৎক্ষণিকভাবে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নিজেদের রক্ত দিয়ে জীবন দিয়ে সে ঘটনার মোকাবেলা করেছিলাম। সকাল ১০টার দিকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হলি আর্টিজানে শ্রদ্ধা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শ্রদ্ধা জানানো শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, জঙ্গিবাদ পুরোপুরিভাবে নির্মূল হয়নি, দুর্বল হয়েছে। শুধু ফোর্সের (আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী) উপর নির্ভর করলে চলবে না। দেশপ্রেমিক জনগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তি দিয়ে একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে হবে। সকাল ১১টার পর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে দলটির একটি প্রতিনিধি দল শ্রদ্ধামঞ্চে ফুল দিয়ে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা জানানো হয়। সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ইতিহাস বন্ধুত্বের। সেই জায়গা থেকে কখনও ভাবিনি বাংলাদেশে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। এ ঘটনা আমাদের বিপুলভাবে নাড়া দিয়ে গেছে। শিক্ষা-সংস্কৃতির ক্ষেত্রে সরকারের নানামুখী ভূমিকা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের  পথ রুখবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ফুল দেয়ার পর একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির সাংবাদিকদের বলেন, যারা এই জঙ্গিবাদের সঙ্গে যুক্ত তাদের দর্শন কোনো সাধারণ দর্শন নয়। শ্রদ্ধা জানান সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, সেলিম রেজা নূর, আসিফ মুনীর, শমী কায়সার। বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমরা আজ ব্যথিত, মর্মাহত ও একইসঙ্গে ক্ষুব্ধ। ধর্মের নামে সেদিন মানুষ হত্যা করা হয়েছে। এখন সরকারের একটি সুচিন্তিত কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের অপশক্তিতে মোকাবেলায় জনতা ও রাজনীতির এক সম্মিলিত রাজনৈতিক ঐক্য দরকার।
    হলি আর্টিজানের অন্যতম মালিক সাদাত মেহেদী জানান, এক বছর আগে এদিন এখানে অনেক দেশি-বিদেশি মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তাদের স্বজনেরা শ্রদ্ধা জানাতে আসবেন। মূলত এ বিষয়টি মাথায় রেখে চার ঘণ্টা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এমনকি বাড়িটির সামনে সাদা কাপড়ে মোড়ানো লম্বা আকৃতির একটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। এদিকে হলি আর্টিজানের বর্ষপূর্তিতে শ্রদ্ধা জানাতে ইতালি সরকারের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে এসেছে। ইতালি দূতাবাস এবং বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে হবে ওই স্মরণ অনুষ্ঠান। জাপানের সাত নাগরিকের স্মরণে শোকসভার আয়োজন করছে জাপান দূতাবাস ও বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। উল্লেখ্য, গত বছরের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এতে নিহত হয় তিন বাংলাদেশি নাগরিকসহ ২০ জন। অন্যদের মধ্যে ৯ জন ইতালির, ৭ জন জাপানের এবং একজন ভারতীয়। এছাড়া জঙ্গিদের হামলার শুরুতেই  তাদের আক্রমণে দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। রেস্তোরাঁর ভেতরে রাতভর জিম্মি ছিলেন অন্তত ২৫ জন, যাদের প্রায় ১১ ঘণ্টা পর পরদিন সকালে সেনা কমান্ডো পরিচালিত অপারেশন থান্ডারবোল্টের সময় উদ্ধার করা হয়। এছাড়া রাতের বিভিন্ন সময় উদ্ধার করা হয় আরও অন্তত ৭ জনকে। অপারেশন থান্ডারবোল্টের পর রেস্তোরাঁ থেকে ৫ জঙ্গিসহ ৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া পালাতে গিয়ে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরেক রেস্তোরাঁকর্মী। এ ঘটনায় গুলশান থানায় দায়ের হওয়া মামলাটি কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট তদন্ত করছে।