• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • আগামী রাজনীতির জন্য এ সফর নতুন দিকনির্দেশনা

    বিএনপি চেয়ারপার্সন লন্ডন যাচ্ছেন আজ

    বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসার উদ্দশ্যে আজ লন্ডন যাচ্ছেন। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এমিরাত এয়ার লাইন্সের ৫৮৭ নং ফ্লাইটে তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন। তার সফর সঙ্গী হিসেবে একান্ত সচিব আব্দুস সাত্তার এবং গৃহপরিচালিকা ফাতেমা বেগমের যাওয়ার কথা রয়েছে। চেয়ারপার্সনের প্রেস ইউং সদস্য শায়রুল কবীর খান ইনকিলাবকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে দলের বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে বিএনপি চেয়ারপার্সনের লন্ডন সফরে দলের আরও বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাও রয়েছেন। এর মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং সহ-আর্ন্তজাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা গতকাল সকালের ফ্লাইটে লন্ডনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ত্যাগ করেছেন। এ দুই নেতা লন্ডনের হাউজ অব কমন্সের একটি সেমিনারে প্রথম অংশ নেবেন এর পর তারা চেয়ারপার্সনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবেন। এ ছাড়া বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়ালেরও আজ লন্ডন যাওয়ার কথা রয়েছে। অন্যদিকে লন্ডনে অবস্থান করছেন দলের আর্ন্তজাতিক সম্পাদক মাহিদুর রহমান এবং ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম। তারাও চেয়ারপার্সনের এ সফরে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখবেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
    বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ব্যক্তিগত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাচ্ছেন দল থেকে এমনটি বলা হলেও রাজনৈতিক অঙ্গণে এ সফর নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। এ সফর দেশের আগামী রাজনীতির জন্য নতুন দিক নির্দেশনা হবে বলেও অনেকে মনে করছেন। বিশেষ করে বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে এ সফরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিএনপির আগামীদিনের কান্ডারি দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারকদের অন্যতম সিনিয়র ভাইসচেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘদিন ধরে লন্ডন অবস্থান করছেন। চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া লন্ডনে ছেলের বাসায় থেকে চিকিৎসা করাবেন। এ সময় আগামী নির্বাচন- আন্দোলন এবং দলের সার্বিক বিষয় নিয়ে দুই নেতা বিস্তারিত আলোচনা করবেন। বিশেষ করে বর্তমান সময়ে বিএনপির প্রধান দাবী নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখাও তারেক রহমানের সাথে আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হবে বলে দলের নেতাকর্মী এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও মনে করছেন। বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লন্ডন সফর থেকে দেশে ফিরে খালেদা জিয়া সহায়ক সরকারের রূপরেখা ঘোষণা করতে পারেন। লন্ডনে অবস্থানকালে খালেদা জিয়া তার ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখা নিয়ে পরামর্শ করে চূড়ান্ত করবেন। দেশে ফিরে আগামী কুরবানীর ঈদের পর সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেশবাসীর সামনে উপস্থাপন করবেন।
    দলের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের কয়েকজন নেতার সাথে কথা বলে জানা যায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের এ সফরে দলের আরো অনেক বিষয় চূড়ান্ত হবে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আগামী নির্বাচন। এ নির্বাচনে ২০দলীয় জোটকে সর্বদলীয় নির্বাচনী জোট বা ফ্রন্টে নেয়ার বিষয় আলোচনা হবে। সর্বদলীয় নির্বাচনী ফ্রন্ট হলে কত আসন ছাড় দেয়া হবে তা আলোচনা করে ঠিক করা হবে। ২০দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামীর বিষয়ে আলোচনা করা হবে। লন্ডনে অবস্থানরত জামায়াতের সিনিয়র নেতাদের সাথেও এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ইতিপূর্বে বাতিল হয়েছে। দলের নির্বাচনী মার্কা দাঁড়ি পাল্লাও আদালত বাতিল করেছে। এক্ষেত্রে জামায়াত কি ভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে? তারা কি জোটে থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবে? এ বিষয়েও দলের দুই শীর্ষ নেতা আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। এ ছাড়া নির্বাচনে দলের মনোনয়ন কারা পাবেন তাও তারেক রহমানের সাথে আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হবে।
    বিএনপির সিনিয়র নেতারা বিভিন্ন মামলার জালে আটকে আছেন। নির্বাচনের আগে সরকার বিএনপিকে বিপাকে ফেলতে নেতাদের বিরুদ্ধে মামলাগুলোকে টার্মকার্ড হিসেবে কাছে লাগাতে পারে। বিএনপি চেয়ারপার্সনসহ অনেক সিনিয়র নেতাদের সাজা দিয়ে নির্বাচনে অযোগ্য করার চেষ্টা করতে পারে। সরকারের এমন ষড়যন্ত্রে বিষয় মাথায় রেখে বিএনপি বিভিন্ন স্তরের নেতাদের নিয়ে তিনটি নির্বাচনী প্যানেল তৈরী করেছে। বিএনপি চেয়ারপার্সন সে প্যানেল নিয়ে সিনিয়র ভাইসচেয়ারম্যানের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করে চূড়ান্ত করবেন। তাই এ সফরে দলের অনেক নেতার ভাগ্যও নির্ধারিত হবে। সব মিলিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার লন্ডন সফর বিএনপির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের দিক থেকে যেমন তেমনি চেয়ারপার্সনের শারিরীক সুস্থতার বিষয়টিও রয়েছে। লন্ডনে এক মাসেরও বেশি সময় অবস্থান করে চিকিৎসা সেবা নিয়ে সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আগামী নির্বাচনের পূর্ণ প্রস্তুতি নেবেন এমনটাই প্রত্যাশা করছে বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেন, সহায়ক সরকারের রূপরেখার খসড়া তৈরী করা হয়েছে। ম্যাডাম ( বেগম খালেদা জিয়া) লন্ডনে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে এসেই সহায়ক সরকারের রূপরেখা চূড়ান্ত করে জাতির সামনে তুলে ধরবেন। সহায়ক সরকারের রূপরেখার বিষয়ে সরকার কি পদক্ষেপ নেয় তার উপরেরই আমাদের পরবর্তী করনীয় নির্ধারণ করা হবে।
    শুধু নিজের দল নয় সরকারীদল এবং অন্যান্য বিরোধীদলও বিএনপি চেয়ারপার্সনের এ সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে। আগামী নির্বাচনে সর্বদলীয় ফ্রন্ট গঠনের বিষয়ে লন্ডনে চূড়ান্ত আলোচনা হবে। এ লক্ষে গত বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের প্রধান উত্তরায় আ স ম আব্দুর রবের বাসায় বৈঠক করেছেন। আইন শৃংখলাবাহিনী তাতে বাধা দিলেও তাদের মধ্যে আগামী নির্বাচন এবং নির্বাচনী জোট গঠনের বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। বিরোধীদলের প্রতিনিধি হিসাবে কয়েকজন লন্ডনেও রয়েছেন। তারা এ বিষয়ে আলোচনা করবেন বলেও জানা গেছে। এ ছাড়া বিএনপি চেয়ারপার্সন লন্ডনে অবস্থান কালে বিশ্বের অন্যান্য দেশের নেতৃবৃন্দ বা বিভিন্ন প্রতিনিধিদের সাথেও মতবিনিময় করতে পারেন। বর্তমান সরকারের গুম খুন এবং নিপিড়ন নির্যাতনের বিষয় তুলে ধরতে পারেন বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কাছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এসব কারণে সরকারও বিএনপি চেয়ারপার্সনের এ সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করছে।

    জাপানে ২ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

    জাপানে সাজাপ্রাপ্ত দুই খুনির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তাদের মৃত্যুদণ্ড রহিত করার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গ্রুপগুলোর আহবান উপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার তা কার্যকর করা হলো। দেশটির বিচার মন্ত্রণালয় একথা জানায়।
    ২০১২ সালে জাপানের রক্ষণশীল প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এনিয়ে মোট ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। কয়েকটি জাপানি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ১৯৯১ সালে জাপানের পশ্চিমাঞ্চলে বারের মালিক এমন চার নারীকে হত্যার দায়ে মাসাকাতসু নিশিকাওয়াকে (৬১) দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া ২০১১ সালে নারী সহকর্মীকে হত্যার দায়ে সুমিদকে (৩৪) একই সাজা দেয়া হয়।
    উল্লেখ্য, উন্নত দেশগুলোর মধ্যে কেবলমাত্র জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রে এখনো মৃত্যুদণ্ডের মতো শাস্তি কার্যকর রয়েছে। সরকারের মুখপাত্র ইয়োশিহিদ সুগা জানান, বিচার মন্ত্রী কাতসুতোশি কানেদা এ দুই আসামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অনুমোদন দেন। এএফপি।