• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা

    আ’লীগকে ক্ষমতায় রেখেই সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব -সিইসি

    আইনি কাঠামোগুলো পর্যালোচনা ও সংস্কার : নির্বাচন প্রক্রিয়া সহজীকরণ ও যুগোপযোগী করতে সংশ্লিষ্ট সবার পরামর্শ গ্রহণ : সংসদীয় এলাকার নির্বাচনী সীমানা পুনর্নির্ধারণ : নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও সরবরাহ
    স্টাফ রিপোর্টার : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনী এই রোডম্যাপ প্রকাশ করা হয়। ৭টি কর্মপরিকল্পনা সামনে রেখে বই আকারে এই রোডম্যাপ প্রকাশ করেছে ইসি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রায় দেড় বছর আগে এ রোডম্যাপ প্রকাশের পর তা সব রাজনৈতিক দল ও সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানোর কথা জানিয়েছে কমিশন। রোডম্যাপ তুলে ধরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, নির্বাচনী রোডম্যাপের এই দলিল সর্বশেষ নয়। সময় ও বাস্তবতার নিরিখে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে কমিশন কর্মকর্তারা আরো বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ আস্থাশীল। নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে বিদ্যমান আইনেই যথেষ্ট। তবে সময়ের প্রয়োজনে ঘোষিত রোডম্যাপে পরিবর্তন আসতে পারে। ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে সিইসি ছাড়াও নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো: রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) শাহাদাত হোসেন চৌধুরীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, দশম সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয় ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি। সেক্ষেত্রে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির আগে ৯০ দিনের মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
    ইসির নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কোনো আলোচনা না করে এই রোডম্যাপ দিয়ে তো সমস্যার সমাধান হবে না। রোডটা তো থাকতে হবে। এখন পর্যন্ত আমরা রোড দেখতে পারছি না। ম্যাপ দিয়ে কি হবে? ঘোষিত ‘রোডম্যাপ’কে স্বাগত জানিয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল বলেছেন, নির্বাচন কমিশন যে পথনকশা জাতির সামনে পেশ করেছে তা খুবই সুন্দর এবং বাস্তবসম্মত হয়েছে। তবে নির্বাচন বিশেষজ্ঞরাও এই ইসিকে নিয়ে অবাধ-নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন।
    ইসির রোডম্যাপে যে ৭টি কর্মপরিকল্পনা উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে- (ক) আইনি কাঠামোগুলো পর্যালোচনা ও সংস্কার, (খ) নির্বাচন প্রক্রিয়া সহজীকরণ ও যুগোপযোগী করতে সংশ্লিষ্ট সবার পরামর্শ গ্রহণ, (গ) সংসদীয় এলাকার নির্বাচনী সীমানা পুনর্নির্ধারণ, (ঘ) নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও সরবরাহ, (ঙ) বিধিবিধান অনুসরণপূর্বক ভোটকেন্দ্র স্থাপন, (চ) নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন এবং নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নিরীক্ষা এবং (ছ) সুষ্ঠু নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট সবার সক্ষমতা বৃদ্ধির কার্যক্রম গ্রহণ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরবর্তী ৯০ দিন নির্বাচনী আইন-বিধি অনুযায়ী ইসি কাজ করবে। তবে ওই সময় সরকার কিভাবে পরিচালিত হবে, রাজনৈতিক কর্মপরিবেশ কিভাবে নিশ্চিত করা হবে সে ব্যাপারে রোডমাপে সুস্পষ্ট কোনো দিকনির্দেশনা নেই। বিএনপির ‘নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার’ দাবির মুখেই একাদশ সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করার কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ-গ্রহণযোগ্য অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে সংলাপে রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনের কাছ থেকে সুপারিশের পাশাপাশি সহযোগিতাও চাওয়া হবে।
    একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির দায় নেই নির্বাচন কমিশনের বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। আগামী ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির আগে ৯০ দিনের মধ্যে এ সংসদ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে জানিয়ে সিইসি বলেন, এটি একটি সূচনা দলিল। নির্বাচনের পথে কাজের জন্য এ কর্মপরিকল্পনাই সব নয়। সংযোজন-পরিমার্জন করে সবার মতামত নিয়ে আমরা কাজ করে যাব। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রত্যয় নিয়ে কমিশন কাজ করে যাচ্ছে। কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরা হলেও তফসিল ঘোষণার পর থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ইসির অধীনে প্রশাসনিকসহ সব ধরনের কাজের তদারকি শুরু হবে।
    সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, তফসিল ঘোষণার পরবর্তী ৯০ দিন নির্বাচনী আইন-বিধি অনুযায়ী আমরা কাজ করব। এ মুহূর্তে সরকার কিভাবে পরিচালনা হবে ও রাজনৈতিক কর্মপরিবেশের বিষয়গুলো আমাদের এখতিয়ারে নয়। সরকারের কর্মকান্ডে এখনই কমিশন হস্তক্ষেপ করবে না। অপর এক প্রশ্নের জবাবে কে এম নূরুল হুদা বলেন, আগামী নির্বাচন শুধু সরকার কেন, আমরা রাজনৈতিক দল বা যে কোনো দেশি-বিদেশি সংস্থার প্রভাবমুক্ত নির্বাচন করতে পারব। তিনি জানান, তফসিল ঘোষণা পর্যন্ত ৭ কর্মপরিকল্পনা ধরে এগোনো হবে। তফসিল ঘোষণার পর ইসির কাজে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা এলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনী রোডম্যাপের প্রসঙ্গের বাইরে স¤প্রতি একজন রাজনৈতিক দলের নেতার বাসায় সামাজিক অনুষ্ঠানে পুলিশের বাধা দেয়ার বিষয়টি উঠে আসে। এ ধরনের রাজনৈতিক তৎপরতায় বাধা দেয়ার বিষয়ে ইসির কোনো পদক্ষেপ থাকবে কি না জানতে চাইলে সিইসি বলেন, এটা সরকারের বিষয়। আমরা তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনী পরিবেশ বজায়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেব। এখন সরকারের কাছে কোনো অনুরোধ থাকবে না। তবে তফসিল ঘোষণার পর পরিস্থিতির প্রয়োজন হলে অনুরোধ করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম স্বাগত বক্তব্যে জানান, ১৫ ফেব্রুয়ারি ইসির দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এ পর্যন্ত সব কাজ প্রশ্নের ঊর্ধ্বে রেখে করা হয়েছে। ইসির সুচিন্তিত কাজের অংশই আজকের কর্মপরিকল্পনা কমিশনের কাজের ফসল। আমরা পরিকল্পনা ধরেই এগোচ্ছি। জনগণের সামনে সুষ্ঠু ও সুন্দর, সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন করতে চাই। নির্বাচন করতে গিয়ে সততা ও শক্তির স্বাক্ষর যেন আমরা রাখতে পারি সে জন্য সবার সহযোগিতা চাই।
    নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, নির্বাচনে ভোট গ্রহণে ইভিএম ব্যবহারের দরজা আমরা বন্ধ করে দিইনি। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর সরকার সহযোগিতা করলে এর ব্যবহার সম্ভব। বর্তমান কমিশন সরকার, কোনো দল বা দেশি-বিদেশি সংস্থার প্রভাবমুক্ত থেকে নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর। প্রভাবমুক্ত থেকেই নির্বাচন করতে পারবে বলে কমিশনের বিশ্বাস আছে। তিনি মনে করেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন অবস্থায় বর্তমান ইসির পক্ষে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব।
    আইনি কাঠামোসমূহ পর্যালোচনা ও সংস্কার : ইসির রোডম্যাপ অনুযায়ী চলতি বছরের জুলাই থেকে আইনি কাঠামো পর্যালোচনা, প্রয়োজনীয় সংস্কারের বিষয়গুলো চিহ্নিতকরণ, নির্বাচন সহায়তা ও সরবরাহ অধিশাখা/আইন অধিশাখা, আইনি কাঠামো সংস্কারের লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞ মতামত গ্রহণ, আইন সংস্কারের প্রাসঙ্গিক খসড়া প্রস্তুত করে ২০১৮ সালের ফেব্রæয়ারির মধ্যে আইন প্রণয়নের ব্যবস্থা নেয়া।
    কর্মপরিকল্পনার ওপর পরামর্শ গ্রহণ : কর্মপরিকল্পনা বা রোডম্যাপ অনুযায়ী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে উপকারভোগী, সুবিধাভোগী শ্রেণীর নাগরিকদের নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রমের ওপর পরামর্শ প্রদানের ক্ষেত্র সৃষ্টি করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সে প্রেক্ষিতে চলতি জুলাই মাস থেকে পর্যায়ক্রমে সুশীলসমাজ, সাংবাদিক, নির্বাচন বিষয়ে অভিজ্ঞ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় হবে।
    সংসদীয় এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ : দেশের জনসংখ্যার ভিত্তিতে ৩০০ আসন নির্ধারণ করা আছে। নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণ একটি চলমান কাজ। সাধারণত প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনের আগে সীমানা নির্ধারণের কাজ সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। এ জন্য এ সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ শেষ করে চলতি বছরের ডিসেম্বরে নীতিমালার আলোকে বিশেষজ্ঞদের কারিগরি সহায়তায় সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে খসড়া তালিকা প্রণয়ন করা হবে। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে এ সংক্রান্ত খসড়া তালিকা প্রকাশ করে দাবি/আপত্তি/সুপারিশ আহ্বান করবে তারা। আর এপ্রিলে ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ হবে।
    জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুতকরণ এবং বিতরণ : আগামী ২৫ জুলাই থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। সব কাজ শেষ করে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে হালনাগাদকৃত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। আর ওই বছরের জুনে ৩০০ নির্বাচনী এলাকার জন্য ভোটার তালিকা মুদ্রণ, ছবিসহ ও ছবি ছাড়া ভোটার তালিকার সিডি প্রণয়ন ও বিতরণ করা হবে।
    ভোটকেন্দ্র স্থাপন : ২০১৮ সালের জুন থেকে সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র চিহ্নিত করে ন্যূনতম সুবিধাদি নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেয়া হবে। আর ভোট গ্রহণের ৩৫ দিন আগে কমিশনের অনুমোদন নিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হবে। তফসিল ঘোষণার পর গেজেটে প্রকাশিত ভোটকেন্দ্রের তালিকা সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হবে।
    নতুন দলের নিবন্ধন এবং নিবন্ধিতদের নিরীক্ষা : ২০১৭ সালের অক্টোবরে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন শর্ত প্রতিপালন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ, নির্বাচন সহায়তা ও সরবরাহ করবে এ সংক্রান্ত অধিশাখা। এরপর আগামী বছরের (২০১৮) ফেব্রুয়ারিতে নতুন রাজনৈতিক দলের জন্য প্রাপ্ত আবেদন যাচাই-বাছাই করে নিবন্ধন দেয়া হবে। মার্চে প্রকাশ করা হবে নিবন্ধিত নতুন রাজনৈতিক দলের চূড়ান্ত তালিকা।
    নির্বাচনে সংশ্লিষ্টদের সক্ষমতা বৃদ্ধির কার্যক্রম : সুন্দর, সুষ্ঠু ও নিয়ম অনুযায়ী ভোট গ্রহণে ইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আগামী বছরের জুলাই থেকে প্রশিক্ষণ/নির্দেশনার কর্মসূচি শুরু হবে।

    গুগলের চাকরি ছেড়ে শিঙাড়া বিক্রি, তাতেও কোটিপতি

    ভারতের উচ্চশিক্ষিত তরুণ মুনাফ কাপাডিয়া। স্বপ্নের গুগলে ঈর্ষণীয় বেতনে চাকরি, মার্কিন মুলুকের বিলাসবহুল জীবন- কোনোটাই টানেনি তাকে। তবে যেটা টেনেছে সেটাতেই মন বসিয়ে বিশ্বের ৩০ তরুণ সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তার কাতারে নাম লিখিয়েছেন তিনি।
    গরম ধোঁয়া ওঠা সোনালি খোল। তার ভিতর হরেক কিসিমের মশলায় মাখামাখি তুলতুলে মাটনের পুর। যার বাহারি নাম ‘স্মোকড মাটন কিমা সমোসা’। বাংলায় যাকে বলে ‘মাটন শিঙাড়া’। এই শিঙাড়া বিক্রির ব্যবসা শুরু করার জন্যই টেক জায়ান্ট গুগলের আরামদায়ক চাকরি ছেড়েছিলেন মুম্বাইয়ের বাসিন্দা ২৯ বছরের মুনাফ কাপাডিয়া। যেমন ভাবা তেমন কাজ। ২০১৫ সালে তিনি ‘দ্য বোহরি কিচেন’ নামে একটি রেস্তোরাঁ খুলে ফেললেন। মাত্র দু’বছরের মধ্যে মুনাফের ‘দ্য বোহরি কিচেন’ হয়ে উঠল মুম্বাইয়ের অন্যতম আলোচিত খাবারের আশ্রম। আর এখান থেকেই বছরে ৫০ লক্ষ থেকে কোটি টাকার মতো আয় করছেন তিনি।
    জানা গেছে, মুম্বাইয়ের নার্সি মনজি থেকে এমবিএ করে বছরখানেক দেশেই চাকরি করেছিলেন তিনি। এর পর ডাক এলো গুগল থেকে। আমেরিকায় কয়েকবছর কাটিয়েও মন বসলো না তার। ফিরে এলেন মায়ের কোলে। আর সেই মায়ের হাতে তৈরি রান্না করা খাবার দিয়েই জার্নিটা শুরু করলেন মুনাফ। রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে উঠল ‘দ্য বোহরি কিচেন’। তবে শুধুমাত্র শিঙ্গারাই নয়। মা-ছেলে মিলে আরো বেশ কিছু খাবার যোগ করেছেন মেন্যুতে। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মুনাফের রেস্তোরাঁর সামনে লেগে থাকে ভোজনরসিকদের লাইন।
    তার ইচ্ছে কয়েক বছরের মধ্যে মুনাফার অঙ্কটাকে বছরে পঞ্চাশ লক্ষ থেকে পাঁচ কোটিতে নিয়ে যাবেন তিনি। সংবাদমাধ্যম টাইমস নাউ’কে মুনাফ বলেন, ‘সাফল্যের জন্য ঝুঁকি নিতে হয়।’ এখানেই থামছেন না মুনাফ। জার্নিটা সবে শুরু। আরও এগিয়ে যেতে চান অনেক অনেক দূর পর্যন্ত।  তার ‘বোহরি কিচেন’কে ছড়িয়ে দিতে চান ভারতের সীমানা পেরিয়ে দেশের বাইরেও। ফোর্বস ম্যাগাজিন সম্প্রতি ‘আন্ডার থার্টি’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে মুনাফ কাপাডিয়ার নাম। ইন্ডিয়া টাইমস।