• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • টিকার বড় সরবরাহের নিয়ন্ত্রণ ধনী দেশগুলোর হাতে- অক্সফাম

    একটি আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা অক্সফাম বলছে, ধনী দেশগুলোর একটি ছোট গোষ্ঠী ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাস টিকার ভবিষ্যৎ বৈশ্বিক সরবরাহের অর্ধেক কিনে নিয়েছে।

    দাতব্য সংস্থাটি একটি বিশ্লেষক সংস্থার সংগৃহীত উপাত্ত ব্যবহার করে বর্তমানে পরীক্ষার শেষ পর্যায়ে থাকা পাঁচটি প্রতিদ্বন্দ্বী টিকার উৎপাদক এবং ওষুধ কোম্পানিগুলোর সাথে ইতিমধ্যে সম্পন্ন হওয়া চুক্তি বিশ্লেষণ করে দেখেছে।

    অক্সফাম বলছে, যদি পাঁচটি টিকার সবগুলোই সফল হয়, তবে ৫৯০ কোটি ডোজের চাইতে বেশি টিকার সরবরাহ নিশ্চিত হবে। আর প্রত্যেকে দুটি করে টিকা নিলে এটি ২শ ৯০ কোটি মানুষের জন্য যথেষ্ট।

    গবেষণায় এটি দেখা যাচ্ছে যে ৫শ ৩০ কোটি ডোজের জন্য চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে এবং এর মধ্যে ২শ ৭০ কোটি বা ৫১ শতাংশের সরবরাহ যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন ও জাপানের মত উন্নত দেশগুলো নিশ্চিত করে নিয়েছে।

    অক্সফাম বলছে, এই দেশগুলো বিশ্বের মোট জনগোষ্ঠীর মাত্র ১৩ শতাংশকে প্রতিনিধিত্ব করে।

    গ্রুপটি বলছে যে গবেষণার ফলাফল এই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে দেশগুলোর মধ্যে বিরাট অসাম্য বিরাজ করছে। সারা বিশ্বের সব মানুষের জন্যই করোনাভাইরাসের টিকা নিশ্চিত করতে সংশ্লিস্ট সরকারগুলোর কাছে তারা আহ্বান জানাচ্ছে।

     

    টিকার বড় সরবরাহের নিয়ন্ত্রণ ধনী দেশগুলোর হাতে- অক্সফাম

    একটি আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা অক্সফাম বলছে, ধনী দেশগুলোর একটি ছোট গোষ্ঠী ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাস টিকার ভবিষ্যৎ বৈশ্বিক সরবরাহের অর্ধেক কিনে নিয়েছে।

    দাতব্য সংস্থাটি একটি বিশ্লেষক সংস্থার সংগৃহীত উপাত্ত ব্যবহার করে বর্তমানে পরীক্ষার শেষ পর্যায়ে থাকা পাঁচটি প্রতিদ্বন্দ্বী টিকার উৎপাদক এবং ওষুধ কোম্পানিগুলোর সাথে ইতিমধ্যে সম্পন্ন হওয়া চুক্তি বিশ্লেষণ করে দেখেছে।

    অক্সফাম বলছে, যদি পাঁচটি টিকার সবগুলোই সফল হয়, তবে ৫৯০ কোটি ডোজের চাইতে বেশি টিকার সরবরাহ নিশ্চিত হবে। আর প্রত্যেকে দুটি করে টিকা নিলে এটি ২শ ৯০ কোটি মানুষের জন্য যথেষ্ট।

    গবেষণায় এটি দেখা যাচ্ছে যে ৫শ ৩০ কোটি ডোজের জন্য চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে এবং এর মধ্যে ২শ ৭০ কোটি বা ৫১ শতাংশের সরবরাহ যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন ও জাপানের মত উন্নত দেশগুলো নিশ্চিত করে নিয়েছে।

    অক্সফাম বলছে, এই দেশগুলো বিশ্বের মোট জনগোষ্ঠীর মাত্র ১৩ শতাংশকে প্রতিনিধিত্ব করে।

    গ্রুপটি বলছে যে গবেষণার ফলাফল এই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে দেশগুলোর মধ্যে বিরাট অসাম্য বিরাজ করছে। সারা বিশ্বের সব মানুষের জন্যই করোনাভাইরাসের টিকা নিশ্চিত করতে সংশ্লিস্ট সরকারগুলোর কাছে তারা আহ্বান জানাচ্ছে।

    বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে সংক্রমণের ঘটনা ৩ কোটি ছাড়িয়ে গেছে

    যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে যে, সারা বিশ্বে নিশ্চিতভাবে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৩ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। তারা এও জানাচ্ছে, মোট মৃতের সংখ্যা ১০ লক্ষের কাছাকাছি।

    বিশ্ববিদ্যালয়টি তাদের প্রতিবেদনে জানায়, আন্তর্জাতিক মান সময় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সারা বিশ্বে সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৩ হাজার ৩৭৮-এ। তারা এও জানায়, মোট মৃতের সংখ্যা হচ্ছে ৯ লক্ষ ৪২ হাজার ৯৮৯।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও জানাচ্ছে, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকায় নতুন করে সংক্রমণের সংখ্যা কমছে। তবে তারা এও জানাচ্ছে, এশিয়া এবং ইউরোপে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।

    ডব্লিউএইচও আরও জানাচ্ছে, ইন্দোনেশিয়ায় সম্প্রতি দৈনিক নতুন সংক্রমণের সংখ্যা মাঝে-মধ্যে সাড়ে ৩ হাজার ছাড়িয়ে যায়।

    সিঙ্গাপুরের জন্য জাপান প্রবেশের বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে

    জাপান সরকার সিঙ্গাপুর থেকে লোকজনের এদেশে আসার ওপর বিধিনিষেধ শিথিল করেছে। শুক্রবার থেকে কার্যকর হওয়া এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য হোল দু দেশের মধ্যে ব্যবসায়ীদের স্বল্পমেয়াদী সফর আবার স্বাভাবিক করে তোলা।

    যেসব দেশ ও ভূখণ্ডে করোনাভাইরাস মহামারী অনেকটাই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে এসে গিয়েছে, সেখান থেকে লোকজনের জাপানে আসার ওপর বিধিনিষেধ শিথিল করার ব্যাপারে সরকারি নীতির সাথে সঙ্গতি রেখে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

    জাপান ইতোমধ্যে তাইওয়ান এবং ভিয়েতনাম সহ ৬টি দেশ থেকে কর্মীরা সমেত, দীর্ঘ মেয়াদী ভিসা যাদের আছে তাদের জন্য জাপানে প্রবেশের বিধিনিষেধ শিথিল করেছে।

    সর্বসাম্প্রতিক পদক্ষেপের মধ্যে দিয়ে জাপান এই প্রথম এমন ব্যক্তিদের জন্য জাপান প্রবেশের বিধিনিষেধ শিথিল করলো যারা অল্পদিন এদেশে থাকবেন। এদের মধ্যে ব্যবসায়ীরা অন্তর্ভূক্ত।

    আগেভাগে সফরসূচি জানানোর মত কয়েকটি শর্ত পূরণ করলে সিঙ্গাপুর থেকে আসা এই ব্যক্তিদের জাপানে ১৪দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার নিয়ম মানতে হবে না।

    অর্থনীতিকে ফের চাঙ্গা করে তোলার লক্ষ্যে জাপান সরকার স্বল্প এবং দীর্ঘ, উভয় মেয়াদে আসা লোকজনের জন্য প্রবেশের বিধিনিষেধ শিথিল করার কথা বিবেচনা করছে।

    শুক্রগ্রহে ফসফিন গ্যাসের উপস্থিতি জীবনের ইঙ্গিতবাহী হতে পারে

    আন্তর্জাতিক একটি গবেষণা দল জানিয়েছে যে তারা শুক্রগ্রহের মেঘের মধ্যে ফসফিন গ্যাস শনাক্ত করেছে যা এই গ্রহে জীবনের উপস্থিতির সম্ভাব্য সংকেত হতে পারে।

    বৃটেন’এর কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়, জাপানের কিয়োতো সানগিয়ো বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা তাদের লব্ধ তথ্য বৃটেনের বিজ্ঞান জার্নাল নেচার অ্যাস্ট্রোনমি’তে সোমবার প্রকাশ করেন।

    দলটি রেডিও দূরবীক্ষণ যন্ত্র ব্যবহার করে শুক্রগ্রহের পৃষ্ঠের প্রায় ৬০ কিলোমিটার উপরে হাইড্রোজেন ও ফসফরাস অণুর মাধ্যমে গঠিত এই গ্যাস সামান্য পরিমাণে শনাক্ত করে।

    কিছু কিছু গ্রহের উপরে একটি রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে ফসফিন গ্যাস তৈরি হয়, তবে পৃথিবীতে এই গ্যাস অনুজীবের মাধ্যমে তৈরি হয়।

    দলটি জানায়, শুক্রগ্রহের পরিমণ্ডলের ফসফিন গ্যাস একটি অজ্ঞাত রাসায়নিক বিক্রিয়া বা জৈবিক কর্মকাণ্ড থেকে তৈরি হয়ে থাকতে পারে।

    তারা ব্যাখ্যা করে বলেন, এই রাসায়নিক পদার্থটি গ্রহের পরিমণ্ডলে সৃষ্টি হওয়ার সাথে সাথে দ্রবীভূত হয়ে যেতে পারে এবং সেই আগ্নেয় কর্মকাণ্ড বা বজ্রপাত থেকে সনাক্ত হওয়া পরিমাণের ফসফিন গ্যস তৈরি হতে পারে না।

    পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের প্রতিবেশী গ্রহ, শুক্রগ্রহে জীবনের উপস্থিতি থাকতে পারে না বলেই বিশ্বাস করা হয়। এর কারণ হচ্ছে, সূর্যের সাথে এর নৈকট্য এবং এর কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পুরু স্তর গ্রহটির উপরিভাগের তাপমাত্রাকে খুব বাড়িয়ে রাখা।

    তবে, কয়েকজন বিজ্ঞানী এই গ্রহ পৃষ্ঠের বেশ কয়েক কিলোমিটার উপরে জীবনের লক্ষণ খুঁজে পাওয়ার আশা করছেন, যেখানে তাপমাত্রা এবং চাপ অপেক্ষাকৃত কম।

    গবেষণা দলটি এও জানাচ্ছে, প্রাপ্ত এই তথ্য এটা প্রমাণ করে না যে শুক্রগ্রহে জীবনের অস্তিত্ব রয়েছে।

    তবে, এই আবিষ্কার ইতোমধ্যেই উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

    বৈশ্বিক উন্নয়নকে ২০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে করোনা’

    প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস বৈশ্বিক উন্নয়নকে দুই দশক পিছিয়ে দিয়েছে । বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে।

    প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনার কারণে কোটি কোটি মানুষ চরম দারিদ্রতা, রোগ এবং বৈষম্যে ভুগছেন। যা জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় প্রভাব ফেলেছে।

    ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী বিল গেটস বলেন, আশা করছি ২০২১ সালের শুরুতেই কার্যকর ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। কার্যকর ভ্যাকসিন বের হলে গরীব দেশগুলো যাতে সহজে সেটির ওপরও গুরুত্বারোপ করেছেন বিল গেটস।

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন কৃষকের ছেলে ইয়োশিহিদে সুগা

    জাপানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন ইয়োশিহিদে সুগা। ক্ষমতাসীন দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির ভোটে সোমবার তিনি দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন।

    বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে ইয়োশিহিদে সুগা প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে খবর প্রকাশ করেছে দ্যা গার্ডিয়ান।

    মোট ৫৩৪ ভোটের মধ্যে ইয়োশিহিদে সুগা পেয়েছেন ৩৭৭। তার প্রতিদ্বন্দ্বী নীতি-নির্ধারক পরিষদের চেয়ারম্যান প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুমিদো কিশিদা পেয়েছেন ৮৯ ভোট। আর সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিগেরু ইশিবা পেয়েছেন ৬৮ ভোট।

    উত্তর জাপানের গ্রামাঞ্চলের একজন স্ট্রবেরি কৃষকের ঘরে জন্ম নিয়েছিলেন ইয়োশিহিদে সুগা। মেধা আর পরিশ্রমে তিনি বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদে পরিণত হন।

    এদিকে গত মাসে স্বাস্থ্যকে কেন্দ্র করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) নেতা শিনজো আবে।

    এলডিপি সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সুগা ইয়োশিহিদে

    জাপানের প্রধান ক্ষমতাসীন দল নিজেদের নতুন নেতা হিসেবে চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি সুগা ইয়োশিহিদেকে নির্বাচিত করেছে।

    ৭১ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদের প্রধানমন্ত্রী আবে শিনযোর উত্তরসূরি হওয়াটা মূলত নিশ্চিত। উল্লেখ্য, স্বাস্থ্যগত সমস্যা সামাল দেয়ার জন্য আবে গতমাসে নিজের পদত্যাগের অভিপ্রায় ঘোষণা করেন।

    ৫শ ৩৫টি ভোটের মধ্যে ৩শ ৭৭টি পেয়ে সুগা তার অপর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী এলডিপির সাবেক মহাসচিব ইশিবা শিগেরু এবং দলের বর্তমান নীতি বিষয়ক প্রধান কিশিদা ফুমিওকে পরাজিত করেন।

    সরকারের শীর্ষ এই মুখপাত্র কাজের ক্ষেত্রে তার প্রধান অগ্রাধিকারগুলোকে সনাক্ত করেছেন। তিনি একটি অধিক কার্যকর সরকারের জন্য প্রশাসনিক সংস্কারকে এগিয়ে নিতে চান।
    এছাড়া, লোকজনকে একে অপরকে সহায়তা করতে উৎসাহিত করার পাশাপাশি তিনি এমন একটি সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাও গড়ে তুলতে চান যা লোকজনকে সুরক্ষা দিবে।

    আগামী বুধবার জাতীয় সংসদের সদস্যরা দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে বেছে নিবেন।

    আর সংসদের উভয় কক্ষই এলডিপি নেতৃত্বাধীন জোটের নিয়ন্ত্রণে থাকায় সুগা যে এতে জয়লাভ করবেন, তা অনেকটাই নিশ্চিত।

    একইদিনের পরের ভাগে নতুন মন্ত্রী পরিষদের নাম ঘোষণা করা হবে।

    টোকিওতে নতুন করে ১৮৭টি করোনাভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে

    টোকিও মহানগর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, শুক্রবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত রাজধানীতে নতুন করে ১৮৭টি করোনাভাইরাসে আক্রান্তের খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।

    এটি পর পর চতুর্থদিন টোকিও’তে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যাওয়ার ঘটনা।

    রাজধানীতে এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৬৩১-এ।

    গুরুতর উপসর্গ থাকা রোগীর সংখ্যা হচ্ছে মোট ২৪ জন যা বৃহস্পতিবার থেকে ১ জন বেশি।

    এলডিপি’র নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় সুগা এগিয়ে রয়েছেন

    এনএইচকে জানতে পেরেছে যে, জাপানের চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি সুগা ইয়োশিহিদে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী আবে শিনযো’র উত্তরসূরী হিসেবে প্রধান ক্ষমতাসীন দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি বা এলডিপি’র নতুন নেতায় পরিণত হওয়ার প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রয়েছেন।

    বিজয়ী ব্যক্তির দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বিষয়টি নির্ধারিত হয়ে আছে। চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি সুগা দলীয় নেতৃত্বের জন্য এলডিপি’র সাবেক মহাসচিব ইশিবা শিগেরু এবং এলডিপি’র নীতি বিষয়ক প্রধান কিশিদা ফুমিও’র সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

    বিজয়ী নির্বাচনের জন্য ৫৩৫টি ভোটের ব্যবস্থা রয়েছে। দলীয় আইনপ্রণেতারা ৩৯৪টি ভোট দেবেন। অবশিষ্ট ভোট আসবে দলের ৪৭টি জেলার প্রতিনিধিত্বকারী স্থানীয় শাখাগুলো থেকে যাদের প্রত্যেকটির ৩টি করে ভোট থাকবে।

    এনএইচকে এলডিপি’র আইনপ্রণেতা এবং প্রতিনিধিত্বকারী স্থানীয় শাখাগুলোর সাক্ষাৎকার নিয়েছে এবং জানতে পেরেছে যে, এলডিপি’র আইনপ্রণেতাদের ৭০ শতাংশেরও বেশি সুগা’কে ভোট দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।

    সুগা উপ-প্রধানমন্ত্রী ও অর্থ মন্ত্রী আসো তারো এবং এলডিপি’র মহাসচিব নিকাই তোশিহিরো’র নেতৃত্বাধীনগুলো সহ ৫টি উপদলের বিস্তৃত সমর্থন অর্জন করেছেন। কোন উপদলের না হয়েও অনেক আইনপ্রণেতা সুগা’কেই সমর্থন করছেন। তিনি প্রতিনিধিত্বকারী স্থানীয় শাখাগুলোরও সমর্থন পেয়েছেন।

    কিশিদা এবং ইশিবা প্রত্যেকে তাদের নিজেদের উপদল এবং অন্য কয়েকজন আইনপ্রণেতার সমর্থন পেয়েছেন।

    ভোটগ্রহণ সোমবার অনুষ্ঠিত হবে।

    করোনাভাইরাস সতর্কতা একধাপ নামিয়ে এনেছে টোকিও

    প্রায় দু’মাস ধরে চার মাত্রার সতর্কতা পরিমাপকের সর্বোচ্চ মাত্রায় ধরে রাখার পর টোকিও নতুন সংক্রমণের সাপ্তাহিক হিসাব পড়ে যাওয়ার জবাবে করোনাভাইরাস সতর্কতা একধাপ নিচে নামিয়ে এনেছে।

    টোকিও মেট্রোপলিটন সরকার বৃহস্পতিবার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখার জন্য জনস্বাস্থ্য ও সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞদের সাথে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

    টোকিও চিকিৎসক সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান ইনোকুচি মাসাতাকা ব্যাখ্যা দিয়েছেন যে গত এক সপ্তাহে নতুন সংক্রমণের গড় সংখ্যা পূর্ববর্তী সপ্তাহের ১৮৩টি থেকে ১৪৯টিতে নেমে এসেছে।

    তবে ইনোকুচি সতর্ক করে দেন যে হ্রাসের হার মাঝামাঝি ধরনের এবং পরিস্থিতির উপর অব্যাহত নজর রেখে যাওয়া দরকার।

    তিনি বলেছেন নতুন সংক্রমণের সংখ্যা সম্প্রতি স্থিতিশীল হারে হ্রাস পেতে থাকলেও পরিস্থিতি এখনও অনিশ্চিত রয়ে গেছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে পূর্বের পরিস্থিতি আবারও ফিরে আসতে পারে যখন কিনা সর্বোচ্চ মাত্রার সতর্কতার দরকার হতে পারে।

    বৈঠকের পর টোকিও’র মেট্রোপলিটন সরকার রাজধানীর ২৩টি ওয়ার্ডে বার ও রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেয়ার উপর আরোপিত নিয়ন্ত্রণ তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। রাত দশটায় বন্ধ করে দেয়ার সর্বোচ্চ সময়সীমা আগামী মঙ্গলবার শেষ হবে।

    মূল্যায়ন বৈঠক একই সাথে টোকিও’র স্বাস্থ্য সেবা পরিস্থিতির উপরও নজর দেয়। বৈঠক এটা নির্ধারণ করে নিয়েছে যে রাজধানীর চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান সমূহ দীর্ঘ সময় ধরে চাপের মুখে আছে এবং এদের সমর্থন করা দরকার। দশ সপ্তাহ ধরে মূল্যায়নে কোনরকম রদবদল ঘটেনি।

    পরবর্তী মহামারির জন্য আরো ভালোভাবে তৈরি হতে হবে: হু

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাধানম গেব্রিয়াসুস বলেছেন, করোনাই শেষ মহামারি নয়। পরবর্তী মহামারির জন্য বিশ্বকে আরো ভালোভাবে তৈরি হতে হবে । সোমবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটি বলেন গেব্রিয়াসুস।

    সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, মহামারি পৃথিবীর নানা দেশেরই অঙ্গ। ফলে একথা নিশ্চিত করে বলা যায়, এটাই শেষ মহামারি নয়। তবে পরবর্তী মহামারি যখন আসবে, তখন আজকের থেকে অনেক বেশি প্রস্তুত থাকবে পুরো বিশ্ব। কারণ এই মহামারি বড়ো শিক্ষা দিয়ে গিয়েছে বিশ্ববাসীকে।

    একইসঙ্গে তিনি বলেন, এই মহামারি থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রতিটি দেশের সরকার যেন জনস্বাস্থ্য খাতে খরচ বাড়ায় আরও। তাহলে এই লড়াই লড়তে ভবিষ্যতে অনেকটাই সুবিধা হবে।

    গত বছর ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়। যা এখন বিশ্বের ২১৩টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বে ইতোমধ্যে প্রায় ৯ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত বিশ্বে ২ কোটি ৬১ লাখের চেয়ে বেশি করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।

    এলডিপি’র সভাপতি নির্বাচনের প্রতিযোগিতা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু

    জাপানের প্রধান ক্ষমতাসীন দলের পরবর্তী নেতা বেছে নেয়ার জন্য প্রচার কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে।

    লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি বা এলডিপির সভাপতি হবার প্রত্যাশায় তিনজন প্রার্থী তাদের বক্তব্য তুলে ধরছেন। বিজয়ী ব্যক্তির দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবার বিষয়টি নির্ধারিত হয়ে আছে।

    স্বাস্থ্যগত কারণে আবে শিনযো পদত্যাগের পরিকল্পনা ঘোষণার পর এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়।

    এলডিপির সাবেক মহাসচিব ইশিবা শিগেরু, চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি সুগা ইয়োশিহিদে এবং এলডিপির নীতি বিষয়ক প্রধান কিশিদা ফুমিও নেতৃত্বের এই লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন।

    এই প্রতিযোগিতার মুখ্য বিষয়গুলো হচ্ছে আবে প্রশাসনের নীতিসমূহ এগিয়ে নেয়া হবে কিনা বা হলে তার উপায় কি হবে, করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারী মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপসমূহ এবং অর্থনৈতিক ও আঞ্চলিক পুনরুজ্জীবন।

    আগামী সপ্তাহের সোমবার জাতীয় সংসদের উভয় কক্ষের এলডিপির আইনপ্রণেতাদের একটি সাধারণ সভায় এই ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

    প্রার্থীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ ৫শ ৩৫টি ভোটের জন্য লড়বেন যার মধ্যে ৩শ ৯৪ জন এলডিপির আইনপ্রণেতার প্রত্যেকের একটি ভোটের পাশাপাশি দেশের ৪৭টি জেলার প্রতিনিধিত্বকারী স্থানীয় শাখাগুলোর প্রত্যেকটির তিনটি করে ভোট থাকবে।

    এদিকে, এলডিপির সাতটি উপদলের মধ্যে পাঁচটিরই সমর্থন নিশ্চিত করায় সুগা দৃশ্যত প্রতিযোগিতায় সামনের সারিতে আছেন।

    সে কারণে ইশিবা এবং কিশিদা মূলত দলের সাধারণ সদস্যদের সমর্থন লাভের উপর মনোযোগ নিবদ্ধ করেছেন।

    জাপানে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে প্রায় ৫শ কোম্পানি দেউলিয়া

    জাপানি বাণিজ্য নিয়ে এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর কারণে ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম একটি কোম্পানির দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার পর থেকে এই সংখ্যা প্রায় ৫০০’তে গিয়ে পৌঁছেছে।

    এ সংক্রান্ত গবেষণা নিয়ে কাজ করা কোম্পানি তেইকোকু ডাটাব্যাংক জানায়, গত শুক্রবার পর্যন্ত এই সংখ্যা ৪৮৯-এ গিয়ে পৌঁছায়। এই সংখ্যার মধ্যে সেইসব কোম্পানি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যেগুলো দেউলিয়া সুরক্ষার জন্য আবেদন করেছে বা পরিচালনা বন্ধ হয়ে পড়ার পর বৈধ তরলীকরণ প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

    এর মধ্যে অধিকাংশই হচ্ছে রেস্তোরাঁ খাতের। এর পরে রয়েছে আবাসিক স্থাপনাগুলো এবং পোষাকের খুচরা বিক্রেতারা।

    পৃথকভাবে টোকিও শোকো রিসার্চ ক্ষুদ্র এবং মাঝারি আকারের ব্যবসা নিয়ে জুলাই থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত এক সমীক্ষা চালায়।

    ৮.৫% উত্তরদাতা জানায়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের দ্রুত অবসান না হলে, তারা হয়তো বাণিজ্য বন্ধ করে দেবে।

    সারা দেশ জুড়ে প্রায় ৩৬ লক্ষ ক্ষুদ্র এবং মাঝারি আকারের কোম্পানি রয়েছে বলে অনুমান করা হয়। এর অর্থ হচ্ছে, এগুলোর মধ্যে ৩ লক্ষেরও বেশি কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকির মুখে রয়েছে।

    তাইফুন হাইশেনের প্রভাবে তীব্র বাতাস এবং ভারী বৃষ্টিতে জাপানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

    তাইফুন হাইশেন জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমের দ্বীপ কিউশু অতিক্রম করে গেলেও দেশটির কর্তৃপক্ষসমূহ লোকজনকে সতর্কতা বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছে।

    ঝড়টি জাপানের কিউশু এবং চুগোকু অঞ্চলে জোরালো হাওয়া এবং ভারী বৃষ্টি বয়ে আনে। এটির কারণে দেশের অন্যান্য বেশকিছু অঞ্চলেও ভারী বৃষ্টিপাত ঘটে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসমূহ ভূমিধ্বস, নদীর পানি ফুলে ওঠা এবং নিম্নাঞ্চলে প্লাবনের ব্যাপারে সতর্ক করে দিচ্ছে।

    কিউশু’তে অন্ততপক্ষে ৪৬ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। মিয়াযাকি জেলার কর্তৃপক্ষসমূহ বলছে, একটি ভূমিধ্বসের কারণে কয়েকটি দালান অদূরের নদীগর্ভে ভেসে যাওয়ার কারণে চার ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন।

    কিছু খামারও ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। নাগাসাকি জেলায় দমকা হাওয়ার কারণে অনেক গ্রীনহাউস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষকরা বলছেন, তাদের ফসলগুলো মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

    তাইফুনের কারণে প্রধানত কিউশু’তে ৩ লক্ষেরও বেশি বাড়িঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পরিষেবা কোম্পানিগুলো বলছে, যত দ্রুত সম্ভব বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় চালুর কাজ শুরু করা হবে।

    সোমবার দুপুর আড়াইটা নাগাদ ছয়টি জেলার প্রায় ৮ লক্ষ ৭০ হাজার মানুষ নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার আদেশের অধীনে ছিলেন।

    ঘুর্ণিঝড়টি যোগাযোগ ব্যবস্থায়ও বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। সোমবার প্রায় ৫শ ৮০টি অভ্যন্তরীণ বিমান যাত্রা বাতিল করা হয়। এগুলোর মধ্যে শিকোকু ও চুগোকুর পাশাপাশি কিউশু অঞ্চলের মধ্যে আসা-যাওয়া করা বিমান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

    কিউশুর সকল শিনকানসেন বুলেট ট্রেনের পাশাপাশি হাকাতা ও হিরোশিমার মধ্যে চলাচল করা সানিয়ো শিনকানসেন বুলেট ট্রেনগুলোর যাত্রাও বাতিল করা হয়েছে।