• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • মাইক্রোসফট ট্রান্সলেটরে যুক্ত হলো বাংলা ভাষা

    বাংলাদেশ ও ভারত উপমহাদেশে বাংলা ভাষাভাষীদের সুবিধার্থে অত্যাধুনিক অনুবাদক প্ল্যাটফর্ম ‘মাইক্রোসফট ট্রান্সলেটর’-এ বাংলা ভাষা যুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট।
    এ প্রসঙ্গে মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির বলেন, ‘বাংলাদেশ ও এ দেশের মানুষের প্রতি দায়ব’তা থেকে মাইক্রোসফট ট্রান্সলেটরে বাংলা ভাষা যুক্ত করেছি আমরা। বিশ্বের সব মানুষ ও প্রতিষ্ঠানগুলোর দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি ভাষার বৈচিত্র্যতা যেনো বিশ্বব্যাপি একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রতিবন্কতার সৃষ্টি না করে সে লক্ষ্যে কাজ করছি আমরা। বিশ্বব্যাপি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এমনকি ব্যক্তিগতভাবে যেনো মোবাইল ফার্স্ট-ক্লাউড ফার্স্ট ওয়ার্ল্ডের মাধ্যমে যুক্ত থাকার পাশাপাশি অনায়াসে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে তা নিশ্চিত্ করতেই আমাদের এ পদক্ষেপ।‘স্থানীয়রা, পর্যটক কিংবা বিশ্বের যে কোনো মানুষ উইন্ডোজ, অ্যান্ড্রয়েড, কিন্ডল ও আইওএস ডিভাইসে মাইক্রোসফট ট্রান্সলেটর অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন। মোবাইল অ্যাপ কিংবা ওয়েবে গিয়ে মাইক্রোসফট ট্রান্সলেটর লাইভ ফিচারের মাধ্যমে নয়টি ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় অনুবাদ করার সুবিধা পাবেন ব্যবহারকারীরা।
    গ্রাহক সহায়তা ও সেবা, ওয়েব লোকালাইজেশন বা স্থানীয়করণ, প্রশিক্ষণ বা অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের উদ্দেশ্যে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো অনায়াসে তাদের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে মাইক্রোসফটের ট্রান্সলেটর টেক্সট এপিআই যুক্ত করতে পারবে। সোনিয়া বশির কবির আরো বলেন, ‘প্ল্যাটফর্মটিতে বাংলা ভাষা যুক্ত করার ফলে বিশ্বের অন্যান্য দেশ, বাংলাদেশ এবং এদেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা পাবে। মাইক্রোসফট ট্রান্সলেটরে সমর্থনযোগ্য ৬০টিরও বেশি ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় লিখিতভাবে যোগাযোগ করতে পারবেন বাংলা ভাষাভাষীরা। সর্বোপরি, সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ বলে আমি মনে করি।’  বিং-এর আউটলুক মাইক্রোসফট ট্রান্সলেটর, কর্টানা, এজ, শেয়ারপয়েন্ট ও ইয়ামারে মাইক্রোসফট ট্রান্সলেটর ইতিমধ্যে যুক্ত করা হয়েছে। ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট কিংবা পিডিএফ ফাইলে অনুবাদ করতে চাইলে ‘ডকুমেন্ট ট্রান্সলেটর’-এর মাধ্যমে তা অনায়াসে করা যাবে। ‘ডকুমেন্ট ট্রান্সলেটর’ একটি ওপেন-সোর্স বা মুক্ত অ্যাপ্লিকেশন যা জিটহাব থেকে ব্যবহারযোগ্য। মূলত ৬০টির বেশ ভাষা থেকে যে কোনো টেক্সট বা লিখিত ডকুমেন্ট বাংলা ভাষায় অনুবাদ করা যাবে। পুরো পদ্ধতটি অনেক কম সময়ে ও কম খরচে সম্পন্ন করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।

    হাসিনা দেশ বিক্রি করে দিয়েছে : খালেদা জিয়া

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেশ বিক্রির অভিযোগ তুলে এ থেকে পার পাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, হাসিনা প্রধানমন্ত্রী নন। জনগণের ভোটে প্রধানমন্ত্রী হননি। আজকে সে খুনী। তার বিচার এদেশের মানুষ এদেশের মাটিতে করবে। গতরাতে এক অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন এই অভিযোগ করেন।
    তিনি বলেন, হাসিনার আজীবন ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন। আজীবন ক্ষমতায় থাকার স্বপ্নের জন্য সে এরমধ্যে অনেক কাজ করেছে। সে এখন এদেশের কিছুই রাখেনি, সবই বিক্রি করেছে। আরো বোধ হয় বাকী যেটা আছে, সেটাও বিক্রি করে আসবে। কিন্তু দেশ বিক্রি করেও পৃথিবীর ইতিহাসে ধারণা আছে, কেউ রক্ষা পায় নাই। হাসিনা মনে করে না, যাদের কাছে দেশ বিক্রি করলাম, যখন মানুষ জেগে উঠবে, তখন তিনারা তাকে বাঁচাতে আসবে না ! তারা বাঁচাতে আসবে না!!
    সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, এদেশের মানুষ অলরেডি ফুলে উঠেছে, ফুঁসে উঠেছে। এখন দেশের মানুষ শুধু সময়ের অপেক্ষা করছে, কখন তারা রাস্তায় বেরুবে এবং এই অন্যায়-জুলুম অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে তারা রুখে দাঁড়াবে- এটা সময়ের ব্যাপার।
    গুলশানের কার্যালয়ে রাত সোয়া ৯টায় নিহত ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম নুরুর বিধবা স্ত্রী সুমী আখতার, বড় মেয়ে উম্মে হাবিবা মীম, দুই ছেলে নাঈমুল আলম ও নুবায়েত আলম পরিবারের সদস্যরা বিএনপি চেয়ারপার্সনের সাথে সাক্ষাৎ করতে আসেন। এই উপলক্ষে ছাত্র দলের আয়োজিত অনুষ্ঠানে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। বেগম খালেদা জিয়াকে দেখে নিহতের স্ত্রীসহ সন্তানেরা ঘুমরে ঘুমরে কাঁদতে থাকে।
    বিএনপি চেয়ারপাসন তাদের কাছে টেনে সান্তনা দেন। নুরুর স্ত্রীর হাতে অনুদানের একটি চেকও দেন বেগম খালেদা জিয়া। এ সময়ে নিহত নুরুর শাশুড়ি জাহানারা বেগম, ছোট বোন মনোয়ারা বেগমসহ পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন।
    গত ৩০ মার্চ রাতে সাড়ে ১১টায় নুরুল আলম নুরুকে চট্টগ্রামের বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্য পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর ওইদিন ভোরে তার লাশ রাউজান উপজেলার পাগুয়ান ইউনিয়নের কর্ণফুলী নদীর তীরে খেলাঘাট কৈইয়াপাড়া এলাকায় পাওয়া যায়।
    নুরুর পরিবারের উদ্দেশে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, নুরুকে হত্যা করা হয়েছে। তার পরিবারকে সান্ত¦না দিলে তো নুরু আর ফিরে আসবে না, কী সান্ত¦না দেবো। তারপরও বলবো আমরা যেন তার পরিবারের পাশে থাকি, আমরা যেন তাদের সাহায্য সহযোগিতা করি। নুরুর স্বপ্ন ছিলো তার বাচ্চারা লেখা-পড়া করবে। তার পরিবার যেন সেই কাজটি করে।
    সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, আজকে আওয়ামী লীগ এবং হাসিনার হাতে মানুষ রক্তে রঞ্জিত। হাসিনা প্রতিনিয়ত দেশের মানুষকে খুন করছে, হত্যা করছে। সে (হাসিনা) ভাবতে পারেনা, জনগণ হয়ত জানতে পারে না, উপরে একজন আছেন যে, তিনি সব দেখছেন, সব জানেন। সময়মতো তিনি ঠিকই বিচার করবেন। শেখ হাসিনার বিচার এদেশের মানুষ এদেশের মাটিতে করবে।
    বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আপনারা র‌্যাবের যে ঘটনা বেরিয়েছে, সেটা যদি দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন কীভাবে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। শুধু র‌্যাব তো নয়, আরো বহুবাহিনী বানিয়েছে কী কী সব। সমস্ত বাহিনী দেশে গড়ছে, যত রাজনৈতিক ভালো ভালো ছেলে আছে, যারা ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দিতে পারবে, দেশের মানুষের সেবা করতে পারবে, কাজ করতে পারবে, সেই সব লোকজনকে বাছাই করে যাতে দেশটা দূর্বল হয়ে থাকে, পঙ্গু হয়ে থাকে। অন্যায় করলে যাতে কেউ প্রতিবাদ করতে না পারে, সেই সব ছেলেদের বেঁছে বেঁছে, মেধাবী শিক্ষিত ছেলে-পেলেদেরকে র‌্যাব খুন করছে, হত্যা করছে। এর পেছনে একটা বড় পরিকল্পনা আছে। কী পরিকল্পনা হাসিনা আজীবন ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন।
    ক্ষমতাসীন দলের প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে খালেদা জিয়া বলেন, হাসিনা আজকে খুনী, সে প্রধানমন্ত্রী নন। জনগণের ভোটে প্রধানমন্ত্রী হননি। অবশ্যই একদিন তাকে এই হত্যাকান্ডের জন্য জবাবদিহি করতে হবে। রক্ত কখনো বৃথা যায় না।
    খালেদা জিয়া বলেন, সে (শেখ হাসিনা) শহীদদের সাথে বেঈমানী করেছে। আজ দেশের মানুষের সাথে বেঈমানী করছে। প্রতিটি বেঈমানীর জবাব তাকে দিতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, দুনিয়াতে তাকে এই জবাবদিহিতো করতে হবে আর আল্লাহর কাছেও তো তাকে একদিন জবাবদিহি করতে হবে।
    নুরুর পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, নুরুর মেয়েকে আমি আমি সান্ত¦না দিতে পারবো না। কারণ নুরুর মেয়ে বলেছে, আপনারা তো আমার বাবাকে ফিরিয়ে দিতে পারবেন না। তবে আমি আমার বাবার বিচারটা চাই।
    আমরা সকলে আশা করবো- নুরুসহ আরো অনেকে হত্যা হয়েছে, সবার লিস্ট আমাদের কাছে আছে। হত্যাকারীদের যাতে বিচার হয়, শাস্তি হয় এই প্রত্যাশা আমরা করবো। নুরুর পরিবারকে দেখাশুনো করার জন্য চট্টগ্রাম নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ জানান খালেদা জিয়া।
    ছাত্র দলের সভাপতি রাজীব আহসানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি ডা. সাহাদাত হোসেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন, নিহত নুরুর মেয়ে উম্মে হাবিবা মীম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
    অনুষ্ঠানে দলে স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মীর মো. নাসির, রুহুল আলম চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, আমানউল্লাহ আমান, রুহুল কবির রিজভী, আসাদুজ্জামান রিপন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, মাহবুবুর রহমান শামীম, আনোয়ারুল আজীম, আজিজুল বারী হেলাল, হারুনুর রশীদ, আব্দুল আউয়াল খান, শহীদুল ইসলাম বাবুল, অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন ডোনার, ফাওয়াজ হোসেন শুভ, সাইফুল ইসলাম নিরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, শফিউল বারী বাবু, আব্দুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, চট্টগ্রাম মহানগর সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বকর, জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, আবু সুফিয়ান, আবদুল ওয়াদুদ ভুঁইয়া, কাদের গনি চৌধুরীসহ শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

    গাজর-গুণে ও মানে সমৃদ্ধ

    গাজর হলো মূল জাতীয় সবজি। অন্যান্য সবজির ন্যায় গাজরকেও রান্না করে খেতে হয়। আবার বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই গাজর সালাদ হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। গাজরকে পোলাও, খিচুড়ির সাথে মিশিয়ে রান্না করলে তা পুষ্টিযুক্ত ও সুস্বাদু হয়। এছাড়া গাজর দিয়ে আচার, হালুয়া তৈরি করা হয়- যা শরীরের জন্য অত্যন্তউপকারী। কেউ কেউ আবার কাঁচা গাজর ছেটে ছেটে খেতে পছন্দ করেন। যাই হোক গাজরের উপকারিতার শেষ নেই।
    গাজর আমাদের দেশের সর্বত্রই পাওয়া যায়। সাধারণত চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, গাজরের মধ্যে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে, যা আমাদের শরীরের জন্য অতীব প্রয়োজনীয়। এটি এমন এক ধরনের সবজি যাতে রয়েছে খনিজ লবণ ও ভিটামিন। এতে ভিটামিন এ,বি,সি,ই ও খনিজ লবণের মধ্যে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম, মেঙ্গানিজ, সিলিকন, আয়োডিন, সালফার, ফসফরাস, ক্লোরিন ইত্যাদি রয়েছে।
    গাজরে খুব বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকার ফলে তা আমাদের দাঁত, হাড়, ত্বকের সুস্থতার জন্য উপকারী। আয়রন মৌল থাকার জন্য রক্তের চলাচল স্বাভাবিক করে তোলার ক্ষেত্রে গাজরের ভ‚মিকা যথেষ্ট। ‘এ’ ভিটামিন থাকা সবজিগুলোর মধ্যে গাজর অন্যতম। সাধারণত কেরোটিন যৌগ হিসাবে থাকা রঞ্জক পদার্থগুলো আমাদের খাদ্য নালিতে গিয়ে ভিটামিনে রূপান্তরিত হয়। চোখের দুর্বলতাও মানসিক চাপ দূরীকরণে গাজর সহায়ক ভ‚মিকা পালন করে থাকে।
    রাতকানা রোগ দূরীকরণে গাজর বেশ উপকারী। ভিটামিন-এ ত্বক মসৃণ ও সতেজ রাখে। গাজরে থাকা ভিটামিন ‘বি’, ‘সি’ ও এ শরীরকে স্বাভাবিক সুস্থ রাখে। দেহের শক্তি ও বিকাশের জন্য আবশ্যকীয় প্রোটিন, শক্তিদায়ক উপাদান চর্বি-ও কার্বো-হাইড্রেট গাজরে রয়েছে। তাই শরীরে দুর্বলতা অনুভব করলে গাজর খেলে শক্তি ফিরে পাওয়া যায়। কারণ কার্বন-হাইড্রেট থেকে আমাদের শরীর শক্তি আহরণ করে। গাজরের রস খেলে উপকার পাওয়া যায়। এতে শক্তি বৃদ্ধি হয়।
    পাচন কাজে গাজরের ভ‚মিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এতে থাকা ভিটামিন বি, পাচনকার্য সহজ করে তোলে। ফলে পাকস্থলীতে অ্যাসিড গঠনে বাধাগ্রস্ত হয়। গাজর পাকস্থলী পরিষ্কার রাখে। গাজর কাঁচা খেলে দাঁত মজবুত হয় ও হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়। গাজরের রস সব ধরনের জ্বর, দুর্বলতা, নাড়ি স¤পর্কিত বিকার, রক্তলপ্সতা, নিরাশ ক্ষীন জীবনী শক্তি ও দুর্বলতার ক্ষেত্রে অত্যধিক প্রভাবশালী বলা যায়। আবার গ্রীষ¥ ঋতুতে গাজর খাওয়া উচিত নয়। কারণ এসব গাজর খেলে উচ্চ রক্তচাপ এবং অনিদ্রা দেখা দিতে পারে। ঠাÐায় শরীরকে গরম রাখার জন্য এবং ঠাÐা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য গাজর খাওয়া উচিত। গাজরের রস আশ্চর্যজনক কাজ দেয়। যারা বিভিন্ন রোগে ভোগে থাকেন তারা যদি খাদ্যের সঙ্গে গাজরের রস যুক্ত করে খান তাহলে তাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে এবং কোনো ধরনের রোগ থাকবে না বলে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। ভিটামিন-এ হাড় এবং দাঁতের বিকাশ ঘটায়। শারীরিক দিক থেকে সুস্থ রাখে এবং গ্রন্থি সম্বন্ধিত প্রক্রিয়া সঠিক রাখে। গাজর সংক্রমণের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। গর্ভবতী মহিলাদের ভিটামিন-এ এর খুবই প্রয়োজন। তাতে প্রসূতি এবং গর্ভস্থ সন্তান সুস্থ থাকে। গাজরে থাকা ভিটামিন-এ, ই ও বিটা কেরোটিন ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধ করে বলে চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের অভিমত। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন ‘ই’ যুক্ত রক্ত প্রবাহ ক্যান্সারকে বিকশিত হতে দেয় না। গাজর ক্যান্সার রোগীদের জন্য খুব ফলদায়ক বলে গবেষণায় প্রকাশ।

    মাশরাফি বন্দনায় আনন্দবাজার: বিদায় ক্যাপটেন
    দুই পায়ে মোট আটবার অস্ত্রোপচার। পা বাঁচাতে যখন মাশরাফিকে না খেলার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল, তখন তিনি বলেছিলেন, ‘পায়ে গুলি খেয়ে যদি মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করতে পারে, তাহলে আমি কেন সামান্য সার্জারি নিয়ে মাঠে খেলতে পারবো না?’ দৃঢ়চেতা মনোভাব, ব্যক্তিত্ব আর সহজাত ক্রিকেটীয় মেধার সঙ্গে দারুণ নেতৃত্বগুণ অন্য আরো ১০ জন ক্রিকেটার থেকে আলাদা করে চিনিয়েছে বাংলাদেশের ক্যাপ্টেন মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। তিনিই দেখিয়েছেন কেবল তীব্র ইচ্ছাশক্তি আর দেশের প্রতি প্রচণ্ড ভালোবাসা থাকলে- অনেক কিছুই সম্ভব।ম্যাচ জিতিয়ে গোটা দেশ যখন আনন্দে মাতে, মাশরাফি তখন হাঁটুর ব্যাথায় কাতরান ড্রেসিংরুমে।  ক্রিকেটে তাঁর মতো ইনজুরি জয় করা খেলোয়াড় আর একজন আছেন বলে ইতিহাস সাক্ষী দেয় না। বাংলাদেশের ক্রিকেটে তিনি তাই ধ্রুবতারা!
    প্রিয় ম্যাশ দেশের মানুষের হৃদয়ে কতটা জায়গা করে নিয়েছেন, তা বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কিংবা গণমাধ্যমে চোখ রাখলেই সহজেই বোঝা যায়। বিদায়েও তাই খেলোয়াড় মাশরাফির বাইরে তাই মানুষ মাশরাফিকে নিয়েই জয়গান। টি টোয়েন্টিতে অবসরের ঘোষণাতেই ব্যথিত বাংলার কোটি জনতা।
    বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সবার প্রিয় ম্যাশ বা পাগলার আবির্ভাব অনেক কারণেই গুরুত্বপূর্ণ। যখন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে প্রয়োজন ছিল একজন বোলারের, ঠিক সেই সময়ে প্রতিভা আর পরিশ্রমের মিশ্রণে একটু ভিন্ন ধাতুতে গড়া এই তরুণের খোঁজ পেল এ দেশের ক্রিকেট। আক্রমণাত্মক, গতিময় বোলিং দিয়ে প্রথমে নজর কেজেছিলেন সবার। কালে পরিণত হয়ে তিনি এখন বাংলাদেশের সফলতম পেস বোলারদের একজন। সফলতম অধিনায়ক তো বটেই।
    একটু একটু করে বেড়ে ওঠা আজকের মাশরাফির। ধারাবাহিকভাবে জয় করেছে হাজারও ক্রিকেটপ্রেমীর মন। শুধু খেলা দিয়ে নয়, বিনয় আর লড়াকু মনোভাবের সঙ্গে সহজাত নেতৃত্বের গুণ তাঁকে আর দশটা ক্রিকেটার থেকে আলাদা করে রেখেছে। ইনজুরিতে পড়ে পায়ে অপারেশনের এখন আর কোনো জায়গা বাকি নেই! তবুও তিনি বারবার মাঠে ফিরেছেন ক্রিকেটকে ভালোবেসে। জীবন বাজি রেখে, দেশকে ভালোবেসে খেলে গেছেন দেশের জন্য, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য। ক্রিকেটে যতটা লড়াকু, ব্যক্তি হিসেবে ততটাই বিনয়ী মাশরাফি। আর এই বিনয়ে বশ বাংলার কোটি মানুষ। সহজাত বুদ্ধিমত্তা, বিচক্ষণতা তো আছেই; সঙ্গে ভালোবাসা ও উদারতার এক উদাহরণও তিনি। এই তো কদিন আগে নিরপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে মাঠে ঢুকে পড়া এক ভক্তকে যেভাবে বুকে টেনে নিলেন, তা হৃদয় ছুঁয়ে গেছে হাজারও ক্রিকেটপ্রেমীর। পরে তো আবার নিরাপত্তাকর্মীদের হাত থেকে তাঁকে রক্ষায় ব্যস্ত হয়ে গেলেন নিজেই।
    আবার বাংলার আবেগী ক্রিকেট দর্শক যখন ক্রিকেটারদের ‘মুক্তিযোদ্ধা’ উপাধি দিতে ফেসবুকে ইভেন্ট খোলেন তখন সেখানে গিয়েও প্রতিবাদ জানিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘ক্রিকেটারদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা টানলেই খুব খারাপ লাগে। আগেও অসংখ্যবার বলেছি, আমার কাছে মুক্তিযুদ্ধ সব কিছুর আগে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্থান সব কিছুর ওপরে। সামান্য ক্রিকেট খেলা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে তুলনা বাতুলতা ছাড়া আর কিছু নয়।’
    দলের কাছে কোনোদিন তিনি নামকাওয়াস্তে অধিনায়ক ছিলেন না। ছিলেন সবার প্রিয় ‘মাশরাফি ভাই’ । দলটাকে সাজিয়ে রেখেছেন তিনি নিজের ঘরের মতো! নেই কোনো ভেদাভেদ, নেই কোনো কোন্দল। কারো বিয়ে, কিংবা কারো কোনো কাজে এগিয়ে যেতেন বড় ভাইয়ের মতোই।
    এতো ইনজুরির ঝাপ্টা পেরিয়ে মাশরাফিকে তো যেতেই হতো একদিন। কিন্তু এত তাড়াতাড়ি এই বিদায় মানতে পারছেন না অনেক অনুরাগীই। বাংলাদেশের ক্রিকেটের ইতিহাসে ৬ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার দিনটা তাই কালো অক্ষরে লেখা থাকবে প্রিয় ক্যাপ্টেনের টি টোয়েন্টি থেকে বিদায়ের দিন হিসেবেই। আনন্দবাজার।

    জিহ্বা দিয়ে ফ্যান থামিয়ে বিশ্বরেকর্ড

    ফ্যানের ব্লেডগুলো ধারাল হওয়ার কারণে সাধারণত টেবিল ফ্যানের সামনে এক ধরনের ঢাকনা থাকে যাতে আঙুল কিংবা অন্য কিছু না পড়ে। দ্রুত বেগে ঘুরতে থাকা ফ্যানের ব্লেডের সামনে কোনো কিছু পড়লে সাথে সাথে কেটে যায়। তবে এদিন ইতালির একটি গেম শো’তে অস্ট্রেলিয়ান এক সার্কাস কর্মী ধারাল ফ্যানের ব্লেড থামিয়েছেন জিহ্বা দিয়ে।

    ইলিস নামের ঐ নারী সার্কাস কর্মী এক মিনিটে ৩২ বার বন্ধ করেছেন দ্রুতবেগে চলা ৩৫ ওয়াটের দুটি ফ্যান। অর্থাত্ ফ্যানটিকে একবার বন্ধ করতে তার সময় লেগেছে দুই সেকেন্ডেরও কম সময়। হাত দিয়ে ফ্যানের ব্লেড থামাতে গেলেই যেখানে দুর্ঘটনার ভয় থাকে সেখানে তিনি তা বন্ধ করেছেন জিহ্বা দিয়ে। জিহ্বা দিয়ে ফ্যান বন্ধ করে জো ইলিস নাম লিখিয়েছেন গিনেস বুকে। ঐ গেম শো’তে উপস্থিত লোকজন জো ইলিসের এই কাণ্ড দেখে চমকে যান। জিহ্বা দিয়ে ফ্যান বন্ধ করার ভিডিওটি ইউটিউবে প্রকাশের পর রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গেছে।-ইউপিআই

    টি-২০ অধিনায়ক হচ্ছেন সাকিব!

    মঙ্গলবারই টি-২০ থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। আগামিকাল লঙ্কানদের বিপক্ষে শেষবারের মত আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ খেলে বল-ব্যাট তুলে রাখবেন নড়াইল এক্সপ্রেস। তার আকস্মিক অবসরে অবাক গোটা ক্রিকেট বিশ্ব।
    মাশরাফির অবসর ব্যাথাতুর হয়ে উঠেছে স্বয়ং বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। কলম্বোয় আজ সাংবাদিকদের সঙ্গে মুখোমুখি হয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি।মাশরাফিকে নিয়ে বলতে গিয়ে যেন একটু আবেগপ্রবণই হয়ে পড়েছেন তিনি।
    তিনি জানান, তার চোখে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক ‘পারফরম্যান্সের ঊর্ধ্বে।’ বাংলাদেশের ক্রিকেটে আরও একজন মাশরাফি খুঁজে পাওয়া সম্ভব কি না! সন্দিহান তিনি। ওই আলাপেই বিসিবি সভাপতি ধারণা দিয়ে রাখেন যে, নতুন টি-২০ অধিনায়ক হিসেবে তার পছন্দ বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
    মাশরাফির একরাশ প্রশংসা করে পাপন বলেন, ‘ওর যে নেতৃত্ব গুণ, দল ও দেশের প্রতি ওর যে টান, ভালোবাসা, আত্মত্যাগ। এটা খুবই বিরল। সুতরাং, মাশরাফি এমন একজন খেলোয়াড়, যাকে বাংলাদেশের ক্রিকেট সব সময়ই মিস করবে। ও অধিনায়কত্ব না করলেও আমরা মিস করব। পুরোপুরি অবসর নিয়ে নিলেও আমরা তাকে মিস করব। আমরা ভালো খেলোয়াড় হয়তো আরও পাব। কিন্তু আরও একজন মাশরাফিকে পাওয়া খুবই কঠিন।’
    টি-২০ থেকে মাশরাফি অবসর নেওয়ায় নতুন অধিনায়ক খুঁজে নেবে বিসিবি। সাকিব মাশারফির ডেপুটি হিসেবে দীর্ঘদিন হল কাজ করে যাচ্ছে। টি-২০র অধিনায়ক হিসেবে তাই সাকিবকেই চিন্তা করছে নীতি-নির্ধারকরা। এর বাইরে মাহমুদুল্লাহ বোর্ডে চিন্তায় আছে বলে বিসিবি সূত্রে জানা গেছে।
    টি-২০ থেকে অবসর নিলেও ওয়ানডে খেলে যাবেন মাশরাফি। তাই ওয়ানডেতে অধিনায়ক থাকছেন তিনি। এটি পরিবর্তিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলেই জানিয়েছেন নাজমুল, ওয়ানডের অধিনায়কত্ব পরিবর্তন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এক বছর আগেও আমরা মনে করেছিলাম, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলাটাই হয়তো ওর জন্য কঠিন। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে মাশরাফি ওয়ানডে খেলবে আরও অনেক দিন।

    বাংলাদেশে জনপ্রতিনিধিত্বকারী সংসদীয় ব্যবস্থা গড়ে তুলতে আইপিউকে ভূমিকা রাখার আহ্বান বিএনপির

    বাংলাদেশের বর্তমান সংসদে ‘জনগনের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব নেই’ দাবি করে দেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধিত্বকারী সংসদীয় ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ভূমিকা (নৈতিক অবস্থান) রাখার জন্য ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের সদস্যদেশগুলো প্রতি আহবান জানিয়েছে বিএনপি। আজ
    সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষে স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার এই আহবান জানান।

    তিনি বলেন, আমাদের দেশে অনুষ্ঠিত সংসদীয় রাজনীতির এই মহাসম্মেলনে বাংলাদেশের জনগনের প্রকৃত কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। সংসদ সদস্য নামে যারা আজ এই সম্মেলনে প্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশ পার্লামেন্টের পক্ষে অংশ নিচ্ছেন, তারা সবাই ভুতুড়ে ভোটারদের প্রতিনিধিত্ব করছেন।

    আইপিইউ সদস্যদের প্রতি আমাদের আহবান থাকবে, তারা যেন বাংলাদেশে অংশগ্রহনমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধিত্বকারী সংসদীয় ব্যবস্থা গড়ে তুলতে নৈতিক অবস্থান গ্রহন করেন। বাংলাদেশের জনগনের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তাদের নৈতিক সমর্থন এদেশে সত্যিকার অর্থে সংসদীয় গণতন্ত্র পুণঃপ্রতিষ্ঠায় বিশেষ অবস্থান রাখবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

    সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই আইপিইউতে অংশগ্রহনকারীদের সদস্যদেশগুলোর প্রতিনিধিদের ‍শুভেচ্ছা জানিয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিশ্বের যেসব দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র রয়েছে, তাদের প্রতিনিধিত্বকারী পার্লামেন্টের যেসকল সদস্য এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন, তাদের অভিনন্দন জানিয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি। একই সঙ্গে এই কমিটি বিস্ময় প্রকাশ করেছে, যে দেশের সংসদ জনগনের প্রতিনিধিত্ব করে না, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে এবং নাগরিকদের মানবাধিকার লুন্ঠিত, হত্যা, গুম, গ্রেপ্তার ও মিথ্যা মামলায় জনগন জর্জরিত, সেই দেশে আইপিইউ‘র সম্মেলন একটা প্রহসন ছাড়া অন্য কিছু নয়।

    শনিবার থেকে ঢাকায় শুরু হয়েছে বিশ্বের ১৬৪টি দেশের আইনসভার সংগঠন ‘ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের(আইপিইউ)’ এর ১৩৬তম সম্মেলন। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় শনিবার সন্ধ্যায় এই সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই সংসদীয় ফোরামের সম্মেলনের আয়োজক জাতীয় সংসদ।

    নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। রোববার রাতে গুলশানে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া স্থায়ী কমিটির সাথে বৈঠকের পর বিএনপির পক্ষ থেকে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।

    ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনকে ‘প্রহসনমুলক’ অভিহিত করে জমিরউদ্দিন সরকার বলেন,‘‘ প্রশাসনসহ রাষ্ট্রযন্ত্রের সকল প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে ওই নির্বাচন এতোটাই প্রহসনমূলক হয়েছে যে, একজন ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ও বিনাভোটে নির্বাচিত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। বাদ বাকী আসনগুলোতে মাত্র ৫ শতাংশ মানুষ ভোট প্রদান করেছে। ৯৫ শতাংশ ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে বিরত ছিলেন বা ভোট প্রদানের মতো মৌলিক অধিকার প্রয়োগের তাগিদ বোধ করেননি।

    দশম সংসদে বিরোধী দল নেই অভিযোগ করে সাবেক স্পিকার বলেন, ‘তখাকথিত সংসদে কার্য্কর কোনো বিরোধী দল নাই। ওই বিরোধী দলের সদস্যদের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দিয়ে এক নজিরবিহীন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।

    রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নির্বাচিত মেয়রদ্বয়কে বরখাস্ত করার প্রসঙ্গটি টেনে জমির উদ্দিন সরকার বলেন, আইপিইউ সম্মেলন চলাকালে দেশের দুইটি প্রধান শহরের বিপুল ভোটে নির্বাচিত সিটি মেয়রদের শুধুমাত্র বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপির সদস্য হওয়ার কারণে প্রশাসনিক ক্ষমতা ব্যবহার করে এক কলমের খোঁজায় বরখাস্ত করা হয়েছে। এতে দেশে গণতন্ত্র যে কতটা কর্তৃত্ববাদী ও একচোখা তা আবারো প্রমানিত হয়েছে। এটা বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মী নিগ্রহের একটি ক্ষুদ্র নমুনা মাত্র।

    দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ পরীক্ষিত সর্বোত্তম সংসদীয় গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা হতে বঞ্চিত। দেশে মানবাধিকার পুরোপুরি ভুলন্ঠিত। গুম,খুন, গ্রেপ্তার, রাজনৈতিক মিথ্যা মামলায় জনগনের নির্বাচিত বর্তমান ও সাবেক প্রতিনিধিরা জর্জরিত। কোথাও কারো কোনো অধিকার নেই।

    গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও রীতিনীতি শাসকমহল পুরোপুরি বিসর্জন দিয়েছে। চালু হয়েছে একদলীয় নিষ্ঠুর কর্তৃত্ববাদী শাসন।

    এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পরপরই আমাদের ওই সময়ের (নবম সংসদ) প্রধান হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক আইপিইউ সেক্রেটারি জেনারেল এন্ডার পি জনসনের কাছে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। সেই চিঠিতে বলা হয়েছিলো, বাংলাদেশে নির্বাচন কীভাবে হয়েছে এবং ওই নির্বাচনে যে নির্বাচন নয়, ওই পার্লামেন্ট যে বাংলাদেশের ভোটারদের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। ওই চিঠি দেয়া হয়েছিলো ২০১৪ সালের ১৫ জানুয়ারি।

    আইপিইউ‘র সদস্য দেশগুলো কি কেনো চিঠি আপনারা দেবেন কিনা প্রশ্ন করা হলে মহাসচিব বলেন, আমরা আপনাদের (গণমাধ্যম) মাধ্যমে এটা জানাতেই এই সংবাদ সম্মেলন করছি। আমরা ইতিমধ্যেই বেশিরভাগ সদস্যকে জানিয়েছে যে, দেশে এই অবস্থা রয়েছে।

    আইপিইউ‘র সভাপতি পদে বাংলাদেশের সাবের হোসেন চৌধুরীর নির্বাচিত হওয়ার পর তারই আমন্ত্রণে এই সম্মেলনে প্রতিনিধিরা এসেছে, সেক্ষেত্রে আসলে দায়ী কে, দোষটা কার ওপর বর্তায় প্রশ্ন করা হলে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, যারা তাকে(সাবের হোসেন চৌধুরী) ভোট দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছেন, তারা জানতেন না তিনি (সাবের হোসেন চৌধুরী) এমন একজন ব্যাক্তি যিনি বিনাভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। এটা যদি তারা জানতেন, তাহলে তাকে নির্বাচিত করতেন না।

    কিভাবে সদস্য রাষ্ট্রগুলো কিভাবে ভুমিকা রাখতে পারে জানতে চাইলে জমির উদ্দিন সরকার বলেন, আইপিইউ দুইভাবে তারা ভুমিকা রাখতে পারেন। এক হচ্ছে, নিজ নিজ দেশের পার্লামেন্টের যেকোনো ডিলিগেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের পাঠিয়ে বলা যে, এখানে আসা আমাদের জন্য অত্যন্ত পীড়াদায়ক হয়েছে যে, বাংলাদেশে প্রকৃত নির্বাচন হয়নি।

    আরেকটি হচ্ছে- নিজ নিজ দেশে সংবাদ সম্মেলন করে তারা বলতে পারেন, আইপিইউতে আমরা ঢাকায় গিয়েছি, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, সেখানে যারা প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছে, তারা এককভাবে একপেশেভাবে হয়েছেন, সেখানে(বাংলাদেশ) গণতন্ত্র নেই।

    সংবাদ সম্মেলনে দলের আরো ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, তরিকুল ইসলাম, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আহমেদ আজম খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা সাখাওয়াত হোসেন জীবন উপস্থিত ছিলেন।

    দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের নৌ মহড়া

    উত্তর কোরীয় ডুবোজাহাজের ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি মোকাবিলার লক্ষ্যে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র সোমবার যৌথ নৌ-মহড়া শুরু করেছে। তিন দিনব্যাপী এই যৌথ নৌ-মহড়ায় ৮শ’র বেশি সৈন্য অংশ নিচ্ছে। সিউলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একথা জানায়।
    উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে সক্ষম এমন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে দেশটি এ পর্যন্ত পাঁচটি পরমাণু পরীক্ষা চালিয়েছে। সর্বশেষ গত বছর দু’দফা পরমাণু পরীক্ষা চালায় দেশটি। এদিকে মহড়া শুরুর আগে ট্রাম্প রবিবার হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘চীন যদি উত্তর কোরিয়ার বিষয়টি সমাধান না করে এবং এ ব্যাপারে সহায়তা করতে যদি তাদের সদিচ্ছা ও আন্তরিকতায় ঘাটতি থাকে তাহলে আমরা একাই তা করব। এটাই আমার শেষ কথা।’
    প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, জাপানের কাছে দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ উপকূলে মহড়াটি শুরু হয়। এতে নৌবাহিনীর কয়েকটি ডেস্ট্রয়ার ও হেলিকপ্টার অংশ নেয়। ডুবোজাহাজের বিরুদ্ধে এ ধরনের হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়। তারা আরো জানান, ‘উত্তর কোরিয়ার ডুবোজাহাজ থেকে নিক্ষেপণযোগ্য ব্যালিস্টিক মিসাইলসহ (এসএলএমবি) বিভিন্ন ধরনের হুমকি কার্যকরভাবে মোকাবিলার নিশ্চিতের’ লক্ষ্যে এবং এই হুমকি মোকাবিলায় আমাদের তিন দেশের জোরালো অবস্থান তুলে ধরাই মহড়াটির লক্ষ্য। এএফপি।

    জিতলেই ইতিহাস

    Posted by admin on April 1
    Posted in Uncategorized 

    জিতলেই ইতিহাস
    শ্রীলংকার সঙ্গে ব্যবধান ঘুঁচছে ক্রমশ:-ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ের চিত্রটাই বলে দিচ্ছে তা। শ্রীলংকার কাছে অতীতে ৬টি ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের নেই কোনো জয়, শ্রীলংকার মাটিতে ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ সিরিজটি বাদ দিলে অবশিষ্ট ৩টি সিরিজের সব ক’টিতেই হোয়াইট ওয়াশ ছিল বাংলাদেশের নিয়তি। বাংলাদেশের জন্য প্রবল পরাক্রমশালী হয়ে ওঠা সেই শ্রীলংকার মাটি থেকেই এখন ৯৬’র বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের নাভিশ্বাস উঠিয়ে ছেড়েছে বাংলাদেশ। দেখছে শ্রীলংকার বিপক্ষে, শ্রীলংকার মাটি থেকে প্রথম ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বপ্ন! ২০১৩ সালে ওয়ানডে সিরিজ ১-১ এ ড্র’র নিকট অতীত থেকে টনিক নিয়ে এবার ১-১ এ টেস্ট সিরিজ করেছে ড্র’ বাংলাদেশ। দেশের শততম টেস্ট জয়ে অন্য এক বাংলাদেশের আবির্ভাব দেখেছে বিশ্ব, দেখেছে ডাম্বুলায় ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকাকে রান পাহাড়ে চাপা দিয়ে ৯০ রানের বিশাল জয়ে বাংলাদেশের উৎসব। কেনিয়া, জিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর শ্রীলংকার মাটি থেকে ওয়ানডে সিরিজ জয়ে নুতন ইতিহাস রচনার সামনে দাঁড়িয়ে এখন বাংলাদেশ। মাশরাফির নেতৃত্বে ওয়ানডেতে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের সাফল্য সে স্বপ্নই দেখাচ্ছে।
    ৬ বছর নির্বাসনে কাটিয়ে ফিরছে আজ সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠ ওয়ানডে আয়োজনে। যে ভেন্যুতে বাংলাদেশের দুর্বিষহ অতীতের ( ১০ ম্যাচে ৯ হার) বিপরীতে শ্রীলংকার সাফল্য বলার মতো। নিজেদের প্রথম ওয়ানডে জয়ের এই ভেন্যুতে ৩৮ ম্যাচে ২২ জয়ে পয়মন্ত সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠটিই উল্টো স্বাগতিক দলকে আজ ফেলে দিয়েছে বড় পরীক্ষায়। ঘরের মাঠে ২০০৬’র পর জয়শুন্য থাকেনি শ্রীলংকার কোন ওয়ানডে সিরিজ। ০-১ এ পিছিয়ে থেকে সিরিজটি ড্র’য়ে নিস্পত্তি করতে হলে জয় ছাড়া অন্য কোন পথ খোলা নেই শ্রীলংকার, সেখানে সিরিজ হারের কোন শঙ্কা নেই বাংলাদেশের। সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতে ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিং পয়েন্ট ২ বাড়িয়ে নিয়েছে বাংলাদেশ, আজ জিতলে আরো ২ পয়েন্ট হবে যুক্ত। ইতিহাস রচনার ম্যাচে এসব সমীকরণও মেলাতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।
    এগিয়ে থাকা সিরিজের ট্রফি জয়ের ছক আঁকছেন মাশরাফি। পরিকল্পিত ক্রিকেট খেলাকেই দিচ্ছেন অগ্রাধিকারÑ ‘এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি ম্যাচ। আমরা নিজেদের সেরা চেষ্টা করবো। আশা করি, পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারব। জিততে পারলে খুবই ভালো লাগবে। তার জন্য আমাদের খুব ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে।’
    প্রথম ম্যাচে তিন ডিপার্টমেন্ট আশ্বস্ত করেছে মাশরাফিকে। দ্বিতীয় ম্যাচে বোলারদের বোলিংয়ে প্রতিপক্ষ বাড়তি কিছু রান পাওয়ায় আজ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চোখ মাশরাফিরÑ ‘শেষ ম্যাচে ওরা কিন্তু তিনশ’ প্লাস স্কোর করেছে। ওখান থেকে আরো ২০/২৫ রান কমানোর চেষ্টা করতে হবে। এমন কিছু করতে পারলে আমাদের জন্য কাজটা সহজ হবে।’
    সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ফ্লাড লইটের সুবিধা না থাকায় দিনে-দিনেই খেলাটি হবে সম্পন্ন। মাশরাফির গেমপ্লান তাই সহজ করে দিয়েছে। এই মাঠে হয়ে যাওয়া ৬৩ ম্যাচে ৩’শ প্লাস স্কোর মাত্র ২টি। এই অতীতও মাশরাফিকে অনেকটা নির্ভার রাখছেÑ ‘এখানে ডে ম্যাচে খেলব আমরা। তাই দুর্ভাবনা থাকবে না। শুনেছি ২৭০-২৮০ এখানে গড় স্কোর। আমাদের চেষ্টা থাকবে শ্রীলঙ্কাকে তিনশ’র  নিচেওদেরকে আটকে রাখতে।’ সিনিয়ররা যথাযথভাবে পালন করছে দায়িত্ব, জুনিয়রদের পারফরমেন্স বাড়িয়ে দিচ্ছে তাদের উপর প্রত্যাশা। মাশরাফিও তাকিয়ে দলের কনিষ্ঠ ক্রিকেটারদের দিকেÑ ‘জুনিয়রদেরও দায়িত্ব আছে, তাদের কাছেও অনেক প্রত্যাশা আছে। ওরা যেভাবে খেলছে, এটা দারুণ। আমরা চাইবো ওরা যেন বারবার এর পুনরাবৃত্তি করে।’

    জিংজিয়াং প্রদেশে দাড়ি ও হিজাব নিষিদ্ধ করলো চীন

    ইসলামী চরমপন্থার বিরুদ্ধে একটি প্রচারণা হিসেবে পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং প্রদেশে দীর্ঘ দাড়ি রাখা ও হিজাব পড়ার ক্ষেত্রে নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে চীন।
    চীনের নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়েছে, উইঘুর মুসলিম অধ্যুষিত এ অঞ্চলে পুরুষদের অস্বাভাবিক লম্বা দাড়ি রাখা ও নারীদের হিজাব পড়ে প্রকাশ্য চলাফেরা এমনকি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন দেখতে অস্বীকার করা সম্পূর্ণ বেআইনি বলে গণ্য হবে।
    উল্লেখ্য, জিনজিয়াং প্রদেশে প্রায় ১ কোটি উইঘুর মুসলিমের বসবাস, যারা দীর্ঘদিন থেকেই চীনা শাসকদের দ্বারা তীব্র বৈষম্যের শিকার। এছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেখানে রক্তাক্ত সংঘর্ষ লেগেই রয়েছে। তবে চীনের সরকার বরাবরই ইসলামপন্থী জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উপর এসব সহিংসতার দায় চাপিয়ে আসছে।
    কিন্তু নতুন এই নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে মানবাধিকার সংগঠনগুলো যুক্তি দিয়েছে, চীনের এমন অস্থির ও দমনমূলক নীতির প্রতিক্রিয়া হিসেবে উইঘুর মুসলিমদের আরো চরমপন্থার দিকে ঠেলে দিতে পারে।
    যদিও জিংজিয়াং প্রদেশে বসবাসরত উইঘুর মুসলিমদের উপর অনুরূপ নিষেধাজ্ঞা এর আগেও জারি করে চীন। তবে এবারের বিষয়টি নিয়ে এ সপ্তাহের শেষে আইন করে তা সিদ্ধি করা হয়েছে, যা থেকে চীনের দ্রুত সরে আসা উচিত বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। বিবিসি।