Posted by admin on May 26
Posted in Uncategorized
সরনো হলো সুপ্রিম কোর্ট চত্বরের ভাস্কর্য
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে স্থাপিত আলোচিত ভাস্কর্যটি বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ভাস্কর্যটি সরিয়ে ফেলার সময় ঘটনাস্থলে সুপ্রিম কোর্টে কর্তৃপক্ষের কারও দেখা মেলেনি। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে সেখানে সুপ্রিম কোর্টে দায়িত্বরত কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে দেখা গেছে। ভাস্কর্যটি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নাকি অন্য কোন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে-এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার বা অন্য কোন কর্মকর্তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে বহুবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। গভীর রাতে প্রগতিশীল বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ভাস্কর্য সরানোর প্রতিবাদ জানান এবং সড়ক অবরোধ করেন।
তবে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার অপরাহ্ণে প্রধান বিচারপতি বারের বর্তমান ও সাবেক সভাপতি এবং সম্পাদকগণকে তাঁর কার্যালয়ে ডেকেছিলেন। সেখানে ভাস্কর্যটি সরিয়ে ফেলার বিষয়ে আলোচনা হয়।
শ্রমিকরা যখন ভাস্কর্যটি ভাঙার কাজ করছিল তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভাস্কর মৃণাল হক। একপর্যায়ে তিনি রাস্তার দিকে এলে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকরা তার প্রতিক্রিয়ার জন্য ঘিরে ধরেন। কথা বলতে গিয়ে তিনি কিছুক্ষণ দুই হাত দিয়ে চোখ মোছেন। একপর্যায়ে কান্নাভেজা কণ্ঠে বলেন, ‘এখানে কিছু বলার নাই। অনেকের অনেক ক্ষমতা আছে। এটি আমি বানিয়েছি। আমাকে চাপ দেয়া হয়েছে, তাই সরাতে বাধ্য হচ্ছি।’
ভাস্কর্যটির কি হবে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শুনেছি অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ের সামনে সরানো হতে পারে। তিনি বলেন, এরপর হয়তো সারাদেশের ভাস্কর্য সরানোর দাবি উঠবে।
উল্লেখ্য, রোমান যুগের ন্যায়বিচারের প্রতীক ‘লেডি জাস্টিস’-এর আদলে এই ভাস্কর্যটি ৬ মাস আগে সুপ্রিম কোর্টের সামনে স্থাপন করা হয়েছিল।