• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • পবিত্র হিজরি নববর্ষ আজ

    আজ শুক্রবার পয়লা মহররম। শুরু হলো আরবি নববর্ষ, হিজরী ১৪৩৯। বাংলাদেশের আকাশে গতকাল সন্ধ্যায় মহররম মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামী ১ অক্টোবর রবিবার সারা দেশে পবিত্র আশুরা উদযাপিত হবে।

    বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে গতকাল সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।  আশুরার দিন সরকারি ছুটি পালিত হবে।

    বিশ্বনবী হজরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হিজরতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে হিজরি সনের শুভ সূচনা। হিজরি বছরের প্রথম মাস মহররম।

    বাংলা ও ইংরেজি নববর্ষে আমাদের দেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকে। আরবি নববর্ষের অনেক গুরুত্ব ও তাৎপর্য থাকা সত্ত্বেও উল্লেখ করার মতো কোনো কর্মসূচি পালন করা হয় না বললেই চলে।

    হিজরি বছরের শেষ মাস এবং শুরুর মাস অনেক মর্যাদা ও ফজিলতের মাস। তাই এ হিজরি বছরের শেষ এবং নতুন বছরের প্রথম রাত ও দিন বিগত দিনের গোনাহ মাফ এবং আগামী দিনের কল্যাণ লাভের এক মর্যাদপূর্ণ সময়।

    রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ত্যাগ ও কুরবানির ঐতিহাসিক স্মৃতি স্মারক হিজরি (আরবি) সন। ইসলামের প্রচার, প্রসার এবং বিজয় কেতন উড্ডীনে হিজরি সনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অত্যাধিক। আইয়্যামে জাহেলিয়াতের জ্ঞানপাপীরা বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও ইসলামকে পৃথিবী থেকে চিরতরে সরিয়ে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল। আল্লাহর নির্দেশে বিশ্বনবী দ্বীন প্রচারে প্রিয় মাতৃভূমি ত্যাগ করে মাদিনা মুনাওয়ারায় হিজরত করেন। যাকে কেন্দ্র করেই আজকের হিজরি সন। যা আজো মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ে আলোকবর্তিকা হিসেবে জাগরিত হয়ে আছে।

    মুহাররম মাস শুধুমাত্র কারবালার ঘটনা স্মরণ করার মাসই নয়, এ মাস গোনাহ থেকে বেঁচে থাকার, ত্যাগের, ভালো কাজ করার, খারাপ কাজ থেকে বেঁচে থাকার এবং মুসলিম বিশ্বকে নতুন করে গড়ার প্রতিজ্ঞা করার মাস। ইসলাম ও মুসলমানের জন্য এ মাসের রয়েছে অনেক শিক্ষণীয় ও পালনীয় বিষয়। তাইতো  এ মাসের ৯, ১০ ও ১১ তারিখে রোজা রাখা উত্তম।

    পবিত্র আশুরা মুসলিম উম্মাহর জন্য এক তাৎপর্যময় ও শোকাবহ দিন। হিজরি ৬১ সালের এই দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) ও তার পরিবারের সদস্যরা ইয়াজিদের সৈন্যদের হাতে কারবালার ময়দানে শহীদ হন।

    এছাড়া এই দিনে হজরত মুসা (আ.) ফেরাউনের জুলুম থেকে পরিত্রাণ লাভ করেছিলেন তার অনুসারীদের নিয়ে নীল নদ পার হয়ে। তাদের পিছু নেয়া ফেরাউন সদলবলে নীল নদে ডুবে যায়।

    এমন আরও অনেক তাৎপর্যময় ঘটনা ঘটেছিল এই দিনে। তবে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে কারবালার প্রান্তরে। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) এবং তার পরিবার ও অনুসারীরা যুদ্ধ করতে গিয়ে ফোরাত নদীর তীরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শহীদ হন। শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম ইসলামের সুমহান আদর্শ সমুন্নত রাখতে তাদের এই আত্মত্যাগ মানবতার ইতিহাসে সমুজ্জ্বল হয়ে আছে।

    কারবালার এই শোকাবহ ঘটনা ও পবিত্র আশুরার শাশ্বত বাণী আমাদের অন্যায় এবং অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে আজও অনুপ্রেরণা জোগায়। প্রেরণা জোগায় সত্য ও সুন্দরের পথে চলার। মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় পবিত্র আশুরা পালিত হবে।

    জাপানে অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাচনের ঘোষণা অ্যাবের

    মেয়াদ শেষ হওয়ার এক বছর আগেই অন্তর্বর্তীকালীন সাধারণ নির্বাচনের ডাক দিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে। বৃহস্পতিবার পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার কথা জানিয়ে অ্যাবে বলেন, জাতীয় সংকট ও উত্তর কোরিয়ার ক্রমশ বেড়ে ওঠা হুমকি মোকাবেলায় জনগণের ম্যান্ডেটের জন্য এই নির্বাচন।
    নির্বাচনের সিদ্ধান্ত এমন সময়ে আসলো যখন অ্যাবের জনপ্রিয়তা রেকর্ড সর্বনিম্ন থেকে উন্নতির দিকে এবং বিরোধীদলও বিক্ষিপ্ত অবস্থায় রয়েছে। অ্যাবে নির্বাচনের তারিখ জানাননি তবে জাপানি গণমাধ্যম ধারণা করছে ২২ অক্টোবর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উ. কোরিয়ার হুমকির মুখে অ্যাবের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর আগে স্বজনপ্রীতির অভিযোগে তার জনপ্রিয়তা নিম্নমুখী ছিল।
    জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা ও সামাজিক খাতে ২ ট্রিলিয়ন ইয়েন (১৭.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) প্রণোদনা প্যাকেজের ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, জাপানকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে নতুন প্রণোদনা প্যাকেজ প্রয়োজন।

    চতুর্থবারের মতো জার্মান চ্যান্সেলর মার্কেল

    চতুর্থবারের মতো জার্মানির চ্যান্সেল নির্বাচিত হলেন অ্যাঙ্গেলা মার্কেল। নিজে নির্বাচিত হলেও সাত দশকের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ করেছে মার্কেলের দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ)। তবে ৩২ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট পেয়ে সিডিইউ জার্মান পার্লামেন্টে সবচেয়ে বড় দল হিসেবেই অবস্থান ধরে রেখেছে।
    মার্কেলের জোটের বর্তমান অংশীদার সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এসপিডি ২০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তবে এসপিডি ট্রেজারি বেঞ্চে না বসে আপাতত বিরোধী দলের আসনে বসার ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়া কট্টর ডানপনন্থি দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) ১৩.১ শতাংশ আসন পেয়ে তৃতীয়, এফডিপি সাড়ে ১০.৫ শতাংশ, গ্রিনস পার্টি ৮.৯ শতাংশ ও বাম দল ৮.৯ শতাংশ ভোট পেয়েছে।
    নির্বাচিত হওয়ার পর জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন মার্কেল। তিনি বলেন, ‘তাঁর প্রত্যাশা ছিল দল আরও ফল করবে। রক্ষণশীল শক্তির (এএফডি পার্টি) উত্থান ঘটায় জনগণের ভয়, উদ্বেগের কথা আমরা শুনব।’ অপরদিকে নির্বাচনের ফলাফ ঘোষণার পর কট্টর ডানপণ্থি দল এএফডি সমর্থকরা বিক্ষোভ করেছে।
    জার্মান পার্লামেন্টে ৫৯৮ আসনের মধ্যে ২৯৯টিতে সরাসরি নির্বাচন হয়। বাকি ২৯৯ আসনে ভোটপ্রাপ্তির হারের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন দলের মধ্যে কোটাভিত্তিক আসন বণ্টন হয়।

    হাইড্রোজেন বোমায় তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ!

    উত্তর কোরিয়া হুমকি দিয়েছে, তারা প্রশান্ত মহাসাগরে হাউড্রোজেন বোমার পরীক্ষা চালাতে পারে। যদি সত্যিই উত্তর কোরিয়া এই পরীক্ষা চালায় তাহলে কয়েক দশকের মধ্যে এই প্রথম পরমাণু বোমার পরীক্ষা চালানোর ঘটনা ঘটবে। এই হুমকি ইতোমধ্যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি করেছে। আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প উত্তর কোরিয়াকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করার হুমকি দিয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় মঞ্চ জাতিসংঘে।
    হুমকি মোতাবেক প্রশান্ত মহাসাগরে উত্তর কোরিয়া যদি হাইড্রোজেন বোমা ফেলে, তাহলে আমেরিকার সঙ্গে দেশটির যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার প্রবল আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আর একবার যুদ্ধ বেধে গেলে তা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা প্রবল। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের ভবিষ্যদ্বাণী হচ্ছে, উত্তর কোরিয়ার ‘যুদ্ধবাজ’ প্রেসিডেন্ট এখন চিতাবাঘের পিঠে সওয়ার হয়েছেন, সেখান থেকে নামার সুযোগ কম। আবার ছোট্ট একটি দেশের হুমকি মুখ বুঝে মেনে নিতেও পারবেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এই অবস্থায় দুই দেশই গোপনে ও প্রকাশ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সামরিক প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে।
    উত্তর কোরিয়া কী পারে?: উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্রের আধুনিকায়নে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। যাতে এই ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্র দেশগুলোতে আঘাত হানতে পারে। ছয়টি পরমাণু অস্ত্রের এবং একটি ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষার পর বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, পিয়ংইয়ং খুব কাছেই পৌঁছে গেছে। তবে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ লুইস জেফরি কিছুটা কৌতুকের সুরে বলেন, উত্তর কোরিয়ার সামর্থ্য বা তারা পরমাণু অস্ত্রে কতটা সক্ষম তা বোঝা যাবে তারা যখন পরীক্ষা বা হামলা চালাবে। মার্কিন সামরিক বাহিনী ধরে নিয়েছে, উত্তর কোরিয়া ইতোমধ্যে সামর্থ্য অর্জন করেছে। গত জুনে এক বক্তব্যে ইউএস প্যাসিফিক কমান্ডের (ইউএসপ্যাকম) অ্যাডমিরাল হ্যারি হ্যারিস বলেন, আমি জানি উত্তর কোরিয়ার সামর্থ্য নিয়ে কিছুটা বিতর্ক আছে। কিন্তু আমাদের আজকের জন্যই প্রস্তুতি নিতে হবে। আমি তার কথায় (কিম জং উন) বিশ্বাস করি। আমি তার আকাঙ্ক্ষা সম্পর্কে জানি।
    উত্তর কোরিয়া কিভাবে করতে পারে?: সাধারণত হাইড্রোজেন বোমা ফেলা হয় বিমান থেকে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পিয়ংইয়ং মিসাইল আকারে বোমা ফেলতে পারে। কারণ তারা জটিল প্রযুক্তি তৈরিতে সফলতা দেখাতে চায়। পরমাণু নীতি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ এবং এমআইটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রফেসর ভিপিন নারাং বলেন, পরমাণু অস্ত্র সজ্জিত মিসাইল সুযোগ বুঝে পরীক্ষা করা হতে পারে। আর এটা খুবই খারাপ হবে বিশ্বের  জন্য। এটা কেবল উস্কানিই হবে না, এটা বড় ধরনের একটা ভুল সিদ্ধান্তও হবে।
    তারা কী করবে?: নারাং বলেন, জাতিসংঘে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি খুব সতর্কতার সঙ্গে মন্তব্য করেছেন। তিনি পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার কথা বললেও তা কিম জং উনের হাতেই আছে বলে উল্লেখ করেছেন। আমার মনে হয় এটা তাদের চালাকি। কারণ তারা পরীক্ষার আগে খারাপ পরিণতি সম্পর্কে অবশ্যই চিন্তা করবে। প্রথমে তারা হয়তো ছোট মাপের পরীক্ষা চালাতে পারে। উদাহরণ হিসেবে আরেকটি আন্ত:মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইলের কথা বলা যায়। আর সত্যিই যদি বড় ধরনের কোনো পরীক্ষা চালায় তাহলে বিস্মিত হওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। তবে লুইস মনে করেন, রি তার দেশের বিস্তর কৌশলের সঙ্গে তাল মিলিয়েই হুমকি দিয়েছেন। কারণ উত্তর কোরিয়া তার ভবিষ্যত্ বিপদের কথা চিন্তা করছে না। আমরা ১৯৬৬ সালে চীনকে দেখেছি তাদের পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাতে। আমরা এখন উত্তর কোরিয়ার পরীক্ষার অপেক্ষায় আছি।
    তারা করলে কী হবে?: ভৌগোলিক দিক থেকে উত্তর কোরিয়ার একটা গুরুত্ব আছে। তাই বোমার পরীক্ষা হলে সবচেয়ে বিরূপ প্রভাব পড়বে পরিবেশের ওপর। যারা বিকিনি অ্যাটলের কাছে বাস করেন তারা এখনো হুমকির মধ্যে আছেন। কারণ বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে যুক্তরাষ্ট্র তাদের অনেকগুলো পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। ফলে তারা এখনো স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে আছেন। বিস্ফোরণ মাছ তথা পানির নিচে বাস করা প্রাণীর জীবন ধ্বংস করতে পারে। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্স ইনস্টিটিউটের তথ্যানুসারে, বিশ্ব ১৯৮০ সালের পর এই ধরনের পরমাণু পরীক্ষা দেখেনি। ওই সময় চীন উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় লপ নুরকে কেন্দ্র করে অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছিল। সিটিবিটিও’র তথ্য অনুযায়ী, পরমাণু অস্ত্রের আবির্ভাবের পর দুই হাজারের বেশি পরীক্ষা চালানো হয়েছে। শতাধিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। মার্শাল দ্বীপপুঞ্জেও যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। সেখানেও জনগণের মধ্যে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়েছে, জন্মগত সমস্যা দেখা দিয়েছে এবং থাইরয়েড সমস্যাও দেখা দিয়েছে।  ফ্রান্সের পলিনেসিয়ায়ও একই প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। পরীক্ষার কারণে ভূমিধস, সুনামি এবং ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটেছে বলে সিটিবিটিও জানিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, উত্তর কোরিয়া যদি বিচ্ছিন্ন কোথাও পরীক্ষা চালায় তাহলে হয়তো মানুষের ক্ষতি কম হবে। ক্ষতির পরিমাণটা নির্ভর করছে তারা কোথায় পরীক্ষা চালাবে এবং ওই সময়ের আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানান সেন্টার ফর ননপ্রোলিফারেশন স্টাডিজের সিনিয়র গবেষক মেলিসা হ্যানহ্যাম। তিনি বলেন, এটা তো সত্য যে, পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষায় মানুষ এবং পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে।
    তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা!: উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রকে বাধা দেওয়ার সব ধরনের প্রচেষ্টা চালানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। চীন এবং রাশিয়া উত্তর কোরিয়ার ওপর অবরোধে সমর্থন দিলেও কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় সমস্যার সমাধানের চেষ্টা চালানোর আহবান জানিয়েছে। চীন আগের চেয়ে উত্তর কোরিয়ার প্রতি কঠোর হচ্ছে। কিন্তু তাই বলে কোরীয় উপদ্বীপে কোনো যুদ্ধ বাধলে তাতে দুই দেশ জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষে অবস্থান নেবে এমনটা ভাবছেন না বিশ্লেষকরা। কোরীয় উপদ্বীপে কিংবা উত্তর কোরিয়ায় হামলা চালালে তাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং চীন। রাশিয়ায়ও পড়বে প্রভাব। আর রাশিয়া সুযোগ বুঝেই উত্তর কোরিয়ার পক্ষে অবস্থান নেবে। কারণ তারা সোভিয়েত ভাঙার কষ্ট এখনো ভুলতে পারেনি, আর পারবেও না বলে মনে করেন জেনেভা ভিত্তিক রাশিয়ান নিউক্লিয়ার ফোর্সেস রিসার্স প্রজেক্টের স্বাধীন বিশ্লেষক পাভেল পডভিগ। যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালালে তা তার বিরোধী দেশগুলো মেনে নিতে পারবে না। ফলে উত্তর কোরিয়ার হুমকিতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে।

    রোহিঙ্গাদের জন্য ২০ কোটি ডলার প্রয়োজন: জাতিসংঘ

    বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য ২০ কোটি ডলার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির বাংলাদেশ আবাসিক সমন্বয়কারী রবার্ট ডি ওয়াটকিন্স। ৪ লাখ রোহিঙ্গাকে আগামী ছয় মাস সহায়তা দিতে এই সহায়তা প্রয়োজন।
    রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, এটা সুনিশ্চিত তথ্য নয় তবে আমাদের কাছে থাকা তথ্যানুযায়ী এটি আমরা ধারণা করছি। ওয়াটকিন্স বলেন, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আসা এখনো অব্যাহত আছে তাই বলা যাচ্ছে না কত মানুষের জন্য কতদিনের ব্যবস্থা করতে হবে।
    তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই ১০ বছরব্যাপী পরিকল্পনা করতে চাই না কারণ আমরা আশা করতে চাই আলোচনার মাধ্যমে এদের ফেরত পাঠানো সম্ভব হবে। আমরা বেশি দূরের ভবিষ্যত নিয়েও পরিকল্পনাও করতে চাই না কারণ এতে একটা খারাপ সংকেত যাবে যে এই মানুষগুলো এখানে দীর্ঘ সময়ের জন্য থাকবে।
    ওয়াটকিন্স বলেন, আমাদের দাতাগোষ্ঠী একবছরের বেশি সময়ের জন্য সহযোগিতা করতে প্রস্তুত নয় কারণ আমরা অনেক বেশি অর্থের চাহিদা দিয়েছি। রয়টার্স।

    মিয়ানমারে মুসলিম ইস্যু : বিশ্ব কি অস্বীকার করবে এই ছবি?

    ১৯৩৬ সালে তোলা একটি ঐতিহাসিক ছবি। স্থান- তৎকালিন রেঙ্গুন বিশ্ব বিদ্যালয়, বার্মা। ছবিতে মাঝখানে চেয়ারে পা তুলে বসে আছেন একজন রোহিঙ্গা, তার নাম আবদুর রশীদ। তিনি ছিলেন অল বার্মা স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সভাপতি এবং তার ডান পাশে বসে বসে থাকা লোকটি সুচির পিতা অং সান ওই সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক। বাম পাশে যিনি বসে আছেন তিনি আবদুর রাজ্জাক, বার্মা মুসলীম লীগের সভাপতি। মূলত বার্মার স্বাধীনতা এসেছিলো তাদের হাত ধরেই। আর এই রোহিঙ্গা সভাপতি আবদুর রাজ্জাক আজকের মিয়ানমারের সংবিধানের খসড়া প্রণয়নকারী। অথচ জেনারেল মিন অং হিয়াং এবং অং সান সুচি উভয়েই জাতি ঘৃনার প্রকাশ ঘটাতে গিয়ে কার্যত বার্মার রাজনৈতিক ইতিহাসকেই অস্বীকার করলেন।
    সুচির বাবা জেনারেল অং সানের অন্যতম রাজনৈতিক সহযোগী ছিলেন আবদুর রাজ্জাক এবং জেনারেল অং সানের গঠিত বার্মার স্বাধীনতা পূর্ববর্তী অন্তর্বর্তীকালীন মন্ত্রিসভার শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রী ছিলেন আবদুর রাজ্জাক। ১৯৪৭ এর ১৯ জুলাই জেনারেল অং সানের সাথে যে ৬ জন মন্ত্রী খুন হন তাদের মধ্যে আবদুর রাজ্জাক অন্যতম। বার্মা আজও রাষ্ট্রীয়ভাবে ১৯ জুলাইকে ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকে। কেবল আবদুর রাজ্জাকই নন, সুচির বাবা এবং বার্মার জাতির পিতা জেনারেল অং সানের সবচেয়ে ঘনিষ্ট রাজনৈতিক সহযোগীদের মধ্যে আরও অনেক মুসলমান ছিলেন। সূত্র : ইউকিপিডিয়া, ইন্টারনেট।

    বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে জাপান ৪০ লক্ষ ডলার দেবে

    রোহিঙ্গা মুসলিমদের পরিস্থিতি মোকাবেলায় জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কোনো বলেছেন জাপান বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে ৪০ লক্ষ দেয়ার অঙ্গীকার করেছে।

    জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নিতে যাওয়া কোনো নিউ ইয়র্কে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছিলেন।

    মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলার জন্যে কোনো রোহিঙ্গাদের সমালোচনা করে বলেন তার প্রেক্ষিতেই এই সহিংসতার উৎপত্তি। তিনি সাধারণ রোহিঙ্গাদের হত্যাকান্ডেরও সমালোচনা করেন যার প্রেক্ষিতে ৪ লক্ষেরও বেশি মানুষ প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এনএইচকে।

    রোহিঙ্গা সংকট, জাতিসংঘকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান ট্রাম্পের

    মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে শক্তিশালী ও দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কারণ এই সহিংসতা ওই অঞ্চলকে হুমকির মুখে ফেলছে। এই তথ্য জানিয়েছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। গতকাল বুধবার শান্তিরক্ষা কার্যক্রম সংস্কারের ওপর নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকে এই কথা বলেন মাইক পেন্স।
    মাইক পেন্স বলেন, সরকারি বাহিনীর ওপর হামলার কথা বলে রোহিঙ্গা গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে, ভয়ংকর হামলা চালানো হচ্ছে এবং রোহিঙ্গাদের বাড়ি ছাড়া করা হচ্ছে। পেন্স আবারো মিয়ানমারকে সামরিক অভিযান বন্ধ করতে বলেন এবং কূটনৈতিক পথে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের দিকে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানান। পেন্স বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং আমি নিরাপত্তা পরিষদকে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে বলিষ্ঠ ও দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলেছি। রোহিঙ্গাদের সহায়তা এবং তাদের আশা জাগাতে যা করা দরকার তার ব্যবস্থা করার কথাও বলেছি, জানান মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট।
    গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনীর তথাকথিত ক্লিয়ারেন্স অপারেশন শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘ সামরিক বাহিনীর এক অভিযানকে জাতিগত নিধন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের সমালোচনা করে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, সংস্থাটি এই নামের উপযুক্ত নয়। কারণ এতে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী অনেক দেশকে স্বাগত জানানো হয়েছে। রয়টার্স।

    কুকুরটি ক্লাস ফাঁকি দেয় না

    যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির পলিটিক্যাল সায়েন্স ক্লাসে একজন ব্যতিক্রমী ‘ছাত্রী’কে দেখা যায়। আর তা হলো একটি কুকুর। প্রতিদিন দেখা যায়, শিক্ষক ক্লাসে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে কুকুরটিও ঢুকে পড়ে।
    এরপর ক্লাসের একদম সামনে সে শিক্ষার্থীদের দিকে মুখ করে বসে পড়ে। পুরো ক্লাসে সে একই ভঙ্গিমায় বসে থাকে। কুকুরটির নাম লুনা। জানা গেছে, একটি ঘুর্ণিঝড়ে লুনা তার মনিবের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। পরে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের জেসিকা নামের এক ছাত্রী তাকে কুড়িয়ে পায়। এরপর থেকে সে জেসিকার সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে।
    কিন্তু প্রতিদিন সে পলিটিক্যাল সায়েন্স ক্লাসে কেন ঢোকে সেই রহস্যের কিনারা হয়নি। মনোযোগী এই ‘ছাত্রীর’ ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রকাশ হলে তা লাখ লাখ মানুষ দেখে প্রশংসা করেছে। শেয়ার হয়েছে হাজার হাজার বার। এনডিটিভি

    রোহিঙ্গা নিপীড়ন বন্ধে সু চিকে অ্যাঞ্জেলিনা জোলির আহ্বান

    মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে চলমান নিপীড়নের নিন্দা জানিয়েছেন হলিউডের হার্টথ্রব নায়িকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি।
    একই সঙ্গে দেশটির নেত্রী ও শান্তিতে নোবেল জয়ী অং সান সু চিকে আর নীরব না থেকে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। রোববার বলিউডের এই কুইন সাপ্তাহিক উয়েল্ট অ্যাম সনত্যাগকে বলেন,‘এটা একেবারেই
    পরিষ্কার যে সেনাবাহিনীকে সহিংসতা বন্ধ করতে হবে এবং শরণার্থীদের নিজ দেশে ফেরতের অনুমতি দিতে হবে। রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার দেয়া উচিত।’মার্কিন এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমরা সকলেই চাই যে, এই অবস্থায় অং সান সু চি মানবাধিকারের কণ্ঠস্বর হবেন।’
    রাখাইনের সহিংসতার ঘটনায় নিন্দা জানানোয় বিশ্বজুড়েই ব্যাপক সমালোচনার মুখে রয়েছেন মিয়ানমারের নেত্রী
    অং সান সু চি।মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাপক বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। ২০১২ ধর্মীয় সহিংসতার সময় তারা লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। এসময় শতাধিক রোহিঙ্গা মুসলিমকে হত্যা করা হয়; বাস্তুচ্যুত হয় প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা।

    ‘প্রয়োজনে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে খাবার ভাগ করে খাবো’

    প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, চলমান রোহিঙ্গা ইস্যুতে সারাবিশ্ব আজ জেগে উঠেছে। রোহিঙ্গাদের প্রতি নির্যাতন বন্ধ করতে মিয়ানমারকে অনুরোধ করা হচ্ছে সব দেশ থেকে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে রোহিঙ্গা ইস্যুটি তুলে ধরবেন বলে তিনি জানান।
    বৃহস্পতিবার দশম জাতীয় সংসদের সপ্তদশ অধিবেশনের সমাপনী বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের কষ্ট হলেও মানবিক কারণেই মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে খাবার ভাগ করে খাওয়া হবে। কিন্তু তাদের কোনো কষ্ট হতে দেওয়া হবে না। কেননা তারা আমাদের আশ্রয়ের জন্য এসেছে। তাদের আমরা ফেলে দিতে পারি না। মিয়ানমারের মতো নাফ নদী কিংবা বঙ্গোপসাগরের দিকে আমরা তাদের ঠেলেও দিতে পারি না। মানবিক দিক বিবেচনা করে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছি। আশা করি মিয়ানমারের চেতনা ফিরে আসবে, তাদের নাগরিকদের ফেরত নিয়ে নিরাপদে বসবাসের ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে।
    মিয়ানমারে নিজের দেশের নাগরিকদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালানো হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দেশটির পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ওপর হামলার পরই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। যারা দোষী তাদের খুঁজে বের করা হোক, শাস্তি দেওয়া হোক। কিন্তু নিরীহ মানুষের ওপর এমন নির্যাতন কেন? সেখানে গিয়ে দেখেছি কী করুণ অবস্থা। শিশু, নারী, বয়োবৃদ্ধই বেশি এসেছে। তাদের কাছ থেকে যে ভয়াবহ ঘটনা  শোনা যায়, পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী যেভাবে আক্রমণ করেছিল সেটিই ফুটে উঠেছে। একাত্তরেও আমাদের এক কোটি শরণার্থী ভারতে গিয়েছিল। এখনো মিয়ানমারে ঘর-বাড়িতে আগুন জ্বলছে। আমাদের ওপর বিরাট বোঝা হলেও মানবিক কারণে আমরা তাদের আশ্রয় দিতে বাধ্য হয়েছি। তিনি বলেন, কীভাবে এবং কেমন করে রাখবো সেটাই বড় সমস্যা। ৩ লাখের বেশি মানুষ এসেছে। আরও আসছে। মিয়ানমারকে জানিয়েছি, সন্ত্রাসীদের কাউকে প্রশ্রয় দেব না। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সারাবিশ্ব জেগে উঠেছে। সব দেশ থেকে মিয়ানমারকে অনুরোধ করা হচ্ছে নির্যাতন বন্ধ করে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত নিতে। ৪৫টি দেশের প্রতিনিধি ঘটনাস্থলে গিয়ে সার্বিক অবস্থা দেখে এসেছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদও মিয়ানমারকে হত্যাকাণ্ড-নির্যাতন বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। আশ্রয় দেওয়ার জন্য তারা বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য ভারত, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া রিলিফ পাঠিয়েছে। রিলিফ যাতে সুষ্ঠুভাবে বণ্টন হয় সেজন্য সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দিয়েছি। আমাদের দলের পক্ষ থেকেও আশ্রিত রোহিঙ্গাদের  যেন কষ্ট না হয় সেই কাজ করা হচ্ছে। যারা এসেছে তাদের জন্য ছবিসহ আইডি কার্ড করা হচ্ছে। ২ হাজার একশ’ একর জায়গায় সাময়িকভাবে রাখা হবে। এছাড়া ভাষানচরে একটি জায়গা নির্ধারণ করেছি, সেখানে অস্থায়ী আবাসিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাদের নিরাপত্তার ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসন সজাগ রয়েছে। তিনি বলেন, বাবা-মা, ভাই-বোন সবাইকে মেরে ফেলা হয়েছে। অনেক শিশুর আপনজন বলে কেউ নেই। এ ধরনের করুণ কাহিনী সেখানে চলছে। এ দৃশ্য আমার পক্ষে সহ্য করা সম্ভব নয়। কারণ রিফিউজি হিসেবে থাকার কষ্ট আমি ও আমার বোন শেখ রেহানা বুঝি। আমাদের যতই কষ্টই হোক না কেন আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছি। কিন্তু মিয়ানমারকে তাদের নাগরিকদের ফেরত নিতেই হবে। তাদের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নেই।
    বিপদে পড়ে আশ্রয় নিয়েছে, তাদের যেন কোনো কষ্ট না হয় সেজন্য দেশবাসীর কাছে আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জনস্রোতের সঙ্গে মূল দোষী সন্ত্রাসীরা ঢুকতে না পারে, আশ্রয় না পায় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। ত্রাণ যেসব আসছে সেগুলোও ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছি।

    পেট্রোল ও ডিজেল চালিত গাড়ি নিষিদ্ধের পরিকল্পনা চীনের

    গাড়ির সবচেয়ে বৃহৎ বাজারের দেশ চীন দেশ থেকে পেট্রোল ও ডিজেল চালিত গাড়ি উৎপাদন ও বিক্রি নিষিদ্ধের পরিকল্পনা করেছে।
    এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যেই ‘প্রয়োজনীয় গবেষণা’ শুরু হয়েছে বলে দেশটির শিল্প উপমন্ত্রী। তবে কখন থেকে নিষিদ্ধর পরিকল্পনা কার্যকর হবে তার সুস্পষ্ট তারিখ এখনো ঠিক হয় নি।
    চীনের সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে জিন গুওবিন বলেন, ‘গাড়ি শিল্প উন্নয়নে এই পদক্ষেপগুলো গভীর পরিবর্তন আনবে এটা নিশ্চিত।
    গতবছর চীন ২৮ মিলিয়ন গাড়ি তৈরি করে। যা বিশ্বের প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ।
    এদিকে বায়ুদূষণ ও কার্বন নি:সরণ কমাতে ২০৪০ সালের মধ্যেই ব্রিটেন ও ফ্রান্স পেট্রোল ও ডিজেল চালিত গাড়ি উৎপাদন ও বিক্রি নিষিদ্ধের ঘোষণা দিয়েছে।
    চীনা মালিকানাধীন গাড়ি নির্মাতা-প্রতিষ্ঠান ভলভো বলেছে, ২০১৯ সালের জুলাই থেকে তারা তাদের নির্মিত গাড়িতে বৈদ্যুতিক মটর ব্যবহার শুরু করবে। ২০২৫ সালের মধ্যে ভলভো সারা বিশ্বে ১ মিলিয়ন বৈদ্যুতিক মটর ব্যবহৃত গাড়ি বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। বিবিসি।
    অ্যাবের দিল্লি সফর
    কৌশলগত অংশিদারিত্ব বাড়াতে ভারত-জাপান ঐকমত্য
    দুই এশীয় গণতান্ত্রিক শক্তি ভারত ও জাপান কৌশলগত অংশিদারিত্ব বাড়ানোর ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করেছেন। ভারত সফররত জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে গতকাল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, আমাদের এই সম্পর্ক কেবল দ্বিপাক্ষিক পরিমন্ডলে সীমাবদ্ধ নয়। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও দিল্লি-টোকিও উন্নত সম্পর্ক এবং প্রভাব বিদ্যমান।
    যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মোদী উল্লেখ করেন, ভারতের দ্রুত উন্নয়নে জাপান তো শরিক হবেই, একই সঙ্গে সন্ত্রাসবাদ, পরমাণু শক্তির আস্ফালন এবং অন্য যেকোনো আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় ভারত-জাপান হাত মিলিয়ে কাজ করবে। আর লস্কর-ই-তৈয়বা, জইশ-ই-মোহাম্মদ এর মতো জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে যৌথ লড়াইয়ের কথাও ঘোষণা করেন তারা।
    অন্যদিকে, দুই দেশের মধ্যে ১৫টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। আর উত্তর কোরিয়া যেভাবে পরমাণু অস্ত্র বানাচ্ছে এবং ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছে, কঠোরতম ভাষায় তার নিন্দা করেন দুই নেতা। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারত ও জাপান হাত মিলিয়ে কাজ করবে এবং সামরিক সহযোগিতা আরও বাড়াবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    জাপানের ওপর দিয়ে ফের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ উ. কোরিয়ার

    ফের জাপানের ওপর দিয়ে ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া। ক্ষেপণাস্ত্রটি ৩ হাজার ৭০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে হোক্কাইডো সাগরে গিয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী। এতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেছেন, ‘তার দেশ এমন বিপজ্জনক কাজ ‘কখনও সহ্য’ করবে না।’
    আবে আরো বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া যদি এমন কাজ করতেই থাকে তবে তাদের ভবিষ্যৎ ভালো নয়।’ এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী রেক্স টিলারসন উত্তর কোরিয়ার প্রধান বাণিজ্যিক মিত্র চীন ও রাশিয়ার উপর এই দোষ চাপিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ায় তেল রফতানি করে চীন আর সেদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক কর্মী নিয়োগ দেয় রাশিয়া। এই দুই দেশকে অবশ্যই এমন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিপক্ষে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
    এর আগেও, গত মাসে উত্তর কোরিয়া এমন একটি আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে যা দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানা যায়। পিয়ংইয়ং বহুবার সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানার হুমকি দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ক্ষেপণাস্ত্র বহনযোগ্য একটি হাইড্রোজেন বোমার সফল পরীক্ষা চালানোরও দাবি করে পিয়ংইয়ং। বিবিসি।

    রোহিঙ্গাদের রক্ষায় ‘অকার্যকর’ জাতিসংঘ

    মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনী সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর ‘জাতিগত গণহত্যা’ চালাচ্ছে। গত ২৫ আগস্ট থেকে সেনাবাহিনীর অভিযানে ৩ হাজারের অধিক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। আর প্রাণ বাঁচাতে প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

    জাতিসংঘই (শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর) এমন তথ্য দিয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানটি কার্যকর ভূমিকা পালন না করে রোহিঙ্গা ইস্যুকে উপেক্ষা করছে বলে অভিযোগ করেছে শীর্ষস্থানীয় দুটি মানবাধিকার সংগঠন।

    নিউইয়র্কভিত্তিক হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও লন্ডনভিত্তিক অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এ অভিযোগ করেছে।

    তারা রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভূমিকার নিন্দাও জানিয়েছে।

    বুধবার নিউইয়র্কে শুরু হয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন। ঠিক এই সময়ে এইচআরডব্লিউ আর অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জাতিসংঘের কড়া সমালোচনা করল।
    সংস্থা দুটির অভিযোগ, মিয়ানমারের রাখাইনের সংঘাত বন্ধ এমনকি বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট কথা বলতে ব্যর্থ হয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।

    মিয়ানমারের রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর দমন অভিযানে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানুষ দেশত্যাগে বাধ্য হলেও নিন্দা জানানো ছাড়া জাতিসংঘকে কোনো ধরনের কার্যকর উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।

    যদিও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বুধবার এই বিষয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের আয়োজন করেছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর রোহিঙ্গা নিধন অভিযান নিয়ে পরিষদের বৈঠকের দু’সপ্তাহ পর ব্রিটেন এবং সুইডেন মিয়ানমারে বৈঠকের অনুরোধ জানায়।

    তবে গত ৩০ আগস্টের ওই বৈঠক সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি।

    জাতিসংঘে নিযুক্ত হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রধান লুইস লুই ক্যারবনেউউ সাংবাদিকদের বলেন, মিয়ানমার বড় ধরনের জাতিগত নিধন অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ তার দুয়ার খোলেনি, ক্যামেরার সামনেও দাঁড়ায়নি। এটা স্পষ্টভাবেই ভয়ানক।

    গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ওপর রোহিঙ্গা যোদ্ধারা হামলা চালালে জাতিগত নিধন অভিযানে নামে মিয়ানমার। সেনা অভিযানের কারণে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়ের এক তৃতীয়াংশ মানুষ দেশত্যাগে বাধ্য হয়।

    নিজভূম ছেড়ে তারা সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এসব রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং উগ্রবাদী বৌদ্ধদের দ্বারা তারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সেখানে তাদের গ্রামের বাড়িঘরও আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

    অপর মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের জাতিসংঘ কার্যালয়ের প্রধান শেরিন ট্যাডরোস বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা মিয়ানমারকে যে ধরনের বার্তা পাঠিয়েছে, তা ভয়ানক। ফলে মিয়ানমার তার এই হত্যাযজ্ঞ চালিয়েই যাবে।